Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংলাপের বিষয়ে সরকারের আপত্তি নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করার বিষয়ে সরকারের আপত্তি নেই। তবে কার সঙ্গে সংলাপ হবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একই সঙ্গে মন্ত্রী জানান, বন্ধু দেশ কোনো পরামর্শ দিলে তা মূল্যায়ন করে সরকার।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু সংলাপের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা সরকারের অবস্থান জানতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সংলাপে আপত্তি নেই। আমরা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাই না। গণতন্ত্র সমুন্নত করতে যা যা করা দরকার আমরা তাই করব। সেখানে যদি সংলাপের প্রয়োজন হয়, আমরা সেটা করব। কিন্তু কার সঙ্গে করব, সেটা বিবেচনার বিষয় আছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

সংলাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন— ট্রাম্প সাহেব আর বাইডেন সাহেব যদি সংলাপ করেন তাহলে আমিও রাজি।

বন্ধু দেশগুলো কোনো ভালো পরামর্শ দিলে সরকার সেটাকে আমলে নেয় জানিয়ে মোমেন বলেন, যার যার মতামত রয়েছে, তারা দিচ্ছেন। আমরা এটা মাইন্ড করছি না। আমাদের বন্ধু দেশ যদি আমাদের কোনো পরামর্শ দেয় আমরা ওটাকে খুব ভালোভাবে নিই, সেটাকে মূল্যায়ন করি। দেশের মঙ্গলের জন্য আমরা সেটাকে গ্রহণ করি।

এর আগে সোমবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। চিঠিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলগুলোকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানান সম্প্রতি একাধিকবার বাংলাদেশ সফর করা এই মার্কিন কূটনীতিক।

যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ রকম পরামর্শ বহুত আসে। আসুক, আমরা দেখি পরামর্শ যেগুলো আসে সেগুলো প্রয়োগ করা যায় কি না, বাস্তবতা দেখতে হবে। ডিএসের (ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন) ক্ষেত্রে বিদেশিরা বলেছে, আমরা ওটা গ্রহণ করেছি। আমরা খুব বাস্তবসম্মত দেশ, খুব বাস্তববাদী সরকার। মানুষের কোনো সত্যিকারের অভিযোগ থাকলে সেটা আমরা গ্রহণের চেষ্টা করি।

মোমেন বলেন, অন্যান্য দেশ যদি কোনো পরামর্শ দেয় আর সেগুলো যদি উন্নতমানের হয় আমরা তা গ্রহণ করি। খালি বললে তো হবে না। একজন বলল, শ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার করতে। এটা করতে গেলে ওই মালিক ফ্যাক্টরি চালাতে পারবে কি না বা লাভ করতে পারবে কি না, সেটাও তো দেখতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতার উদ্যোগ নিচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ওদের জিজ্ঞেস করেন। তারা কী কারণে করেছে তাদের জিজ্ঞেস করেন। তারা ভালো উত্তর দিতে পারবেন। আওয়ামী লীগ দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে চাই।

সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ভলকার টুর্কের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দণ্ডিত অপরাধীকে অন্য দেশে পাঠায় কি না, সেটা তাকে জিজ্ঞেস করুন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সুনামগঞ্জে প্রাইভেটকার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২

সংলাপের বিষয়ে সরকারের আপত্তি নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৯:২০:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করার বিষয়ে সরকারের আপত্তি নেই। তবে কার সঙ্গে সংলাপ হবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একই সঙ্গে মন্ত্রী জানান, বন্ধু দেশ কোনো পরামর্শ দিলে তা মূল্যায়ন করে সরকার।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু সংলাপের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা সরকারের অবস্থান জানতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সংলাপে আপত্তি নেই। আমরা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাই না। গণতন্ত্র সমুন্নত করতে যা যা করা দরকার আমরা তাই করব। সেখানে যদি সংলাপের প্রয়োজন হয়, আমরা সেটা করব। কিন্তু কার সঙ্গে করব, সেটা বিবেচনার বিষয় আছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

সংলাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন— ট্রাম্প সাহেব আর বাইডেন সাহেব যদি সংলাপ করেন তাহলে আমিও রাজি।

বন্ধু দেশগুলো কোনো ভালো পরামর্শ দিলে সরকার সেটাকে আমলে নেয় জানিয়ে মোমেন বলেন, যার যার মতামত রয়েছে, তারা দিচ্ছেন। আমরা এটা মাইন্ড করছি না। আমাদের বন্ধু দেশ যদি আমাদের কোনো পরামর্শ দেয় আমরা ওটাকে খুব ভালোভাবে নিই, সেটাকে মূল্যায়ন করি। দেশের মঙ্গলের জন্য আমরা সেটাকে গ্রহণ করি।

এর আগে সোমবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। চিঠিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলগুলোকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানান সম্প্রতি একাধিকবার বাংলাদেশ সফর করা এই মার্কিন কূটনীতিক।

যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ রকম পরামর্শ বহুত আসে। আসুক, আমরা দেখি পরামর্শ যেগুলো আসে সেগুলো প্রয়োগ করা যায় কি না, বাস্তবতা দেখতে হবে। ডিএসের (ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন) ক্ষেত্রে বিদেশিরা বলেছে, আমরা ওটা গ্রহণ করেছি। আমরা খুব বাস্তবসম্মত দেশ, খুব বাস্তববাদী সরকার। মানুষের কোনো সত্যিকারের অভিযোগ থাকলে সেটা আমরা গ্রহণের চেষ্টা করি।

মোমেন বলেন, অন্যান্য দেশ যদি কোনো পরামর্শ দেয় আর সেগুলো যদি উন্নতমানের হয় আমরা তা গ্রহণ করি। খালি বললে তো হবে না। একজন বলল, শ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার করতে। এটা করতে গেলে ওই মালিক ফ্যাক্টরি চালাতে পারবে কি না বা লাভ করতে পারবে কি না, সেটাও তো দেখতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতার উদ্যোগ নিচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ওদের জিজ্ঞেস করেন। তারা কী কারণে করেছে তাদের জিজ্ঞেস করেন। তারা ভালো উত্তর দিতে পারবেন। আওয়ামী লীগ দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে চাই।

সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ভলকার টুর্কের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দণ্ডিত অপরাধীকে অন্য দেশে পাঠায় কি না, সেটা তাকে জিজ্ঞেস করুন।