নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পর দ্বিতীয় দিনে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছে ২৭ হাজারের বেশি গাড়ি। এসব গাড়ি থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ এইচ এম এস আখতার বলেন, দ্বিতীয় দিনে টোল আদায় হয়েছে দ্বিগুণ। সামনে যত দিন যাবে ততই টোল আদায় বাড়বে, কারণ চালকেরা উড়ালপথ ব্যবহারে আরও দক্ষ হবেন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় (৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি উঠেছে মোট ২৭ হাজার ১২১টি। এসব গাড়ির মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী, ফার্মগেটের পথে ১৪ হাজার ৩০০টি, কুড়িল থেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেটের পথে ৩ হাজার ১০৫টি গাড়ি, বনানী থেকে কুড়িল-বিমানবন্দরের পথে ২ হাজার ৯৪৪টি গাড়ি এবং তেজগাঁও থেকে মহাখালী, বনানী, কুড়িল ও বিমানবন্দরের পথে ৬ হাজার ৭২৮টি গাড়ি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠেছে। এসব গাড়ি থেকে মোট টোল আদায় হয়েছে ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪০ টাকা।
নিয়ম অনুযায়ী এতে চলতে পারছে না মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা। তবে সুযোগ থাকলেও গণপরিবহন খুব একটা চলছে না। বেশিরভাগই ব্যক্তিগত গাড়ি চলছে এক্সপ্রেসওয়েতে।
এদিকে যাত্রীদের চলাচলের জন্য ৭৯টি বিআরটিসি বাস চলাচলের ঘোষণা দেওয়া হলেও পরে তা স্থগিত করার কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো ধরনের যানজট ছাড়াই চলতে পেরে ব্যবহারকারীদের অনেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তবে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামার পর যানজটে পড়ায় কেউ কেউ বিরক্তি প্রকাশ করেন। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জোর দেওয়ার দাবি জানান তারা। শনিবার উদ্বোধনের পর রোববার সকাল ৬টায় জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) নিজের অভিব্যক্তি জানিয়ে পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন-‘৮০ টাকার বিনিময়ে ৮০ হাজার টাকার বেশি সুখ কিনলাম। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মাত্র ১৫ মিনিটে বসুন্ধরা থেকে বনানী, আলহামদুল্লিাহ। টাকার চেয়ে সময়ের মূল্য আমার কাছে অনেক বেশি। জ্যামের কষ্ট হলো না, গাড়ির তেল বাঁচল, সময় বাঁচল অনেক। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
রেজওয়ান উল করিম লিখেছেন-বিমানবন্দর টোল প্লাজা থেকে মহাখালী পর্যন্ত ৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে পৌঁছেছেন।