নিজস্ব প্রতিবেদক :
জনগণ নয়, বিএনপির সঙ্গে শুধু নেতাকর্মীরা থাকায় তাদের আন্দোলনে সুনামি তৈরি না হওয়া স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বনানী কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রথম প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এবং পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে ফুল দিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনে তাদের নেতারাই হতাশ। ক্ষমতায় আসার মূলা ঝুলিয়ে নেতাকর্মীদের জড়ো করেছিল। তাদের এসব সমাবেশে জনগণের সম্মেলন ঘটেনি, অংশগ্রহণ ঘটেনি। জনগণ ছাড়া গণ আন্দোলন কেমন করে হবে?
এ দেশে আন্দোলনের বস্তুগত কোনও পরিস্থিতি বিরাজমান নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের জন্য দুটা বিষয় লাগে। একটা অবজেক্টিভ, আরেকটা সাবজেক্টিক। তাদের (বিএনপি) অবজেক্টিভ কন্ডিশনও নেই, সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একুশে আগস্টের হত্যাকাণ্ড একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বাংলাদেশে ‘৭৫ থেকে শুরু হওয়া হত্যাকাণ্ড, ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারাবাহিকতা চলে আসছে। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মূল টার্গেট বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী লীগ।
হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মূল টার্গেট বঙ্গবন্ধু পরিবার এবং আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করা, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকে শুরু করে ‘৭৫ এর ৩ নভেম্বর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এক সুতায় গাথা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্ট এর মাধ্যমে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে জিয়া পরিবার। তাদের টার্গেট বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী লীগ। ১৫ আগস্ট জিয়াউর রহমানের মদদে হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। ২১ আগস্ট তার ছেলে তারেক রহমানের নির্দেশে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা হয়েছে। আজ গণতন্ত্রের জন্য যারা মায়াকান্না করে, তাদের রাজনীতি হচ্ছে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। গণতন্ত্রের জন্য যারা আজকে মায়া কান্না করে তাদের রাজনীতি হচ্ছে ষড়যন্ত্র ও হত্যার। আজকে আমরা একটা কথা বলতে চাই ও দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই- এই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত, যারা গণতন্ত্রের নামে মায়া কান্না করছে তাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির সঅবস্থানের কোন সুযোগ আছে কি না?
তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের ইতিহাস কত নির্মম। পার্লামেন্টে তৎকালীন সময়ে বিরোধী দলীয় নেত্রী যখন প্রসঙ্গটি তুলছিল, তখন বেগম জিয়া বলেছিলেন, উনাকে (শেখ হাসিনা) আবার কে মারতে যাবে? উনি তো ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছে। একুশে আগস্ট ঘটনাকে নিয়ে এই উপহাস করেছিলেন তিনি। জজ মিয়ার নাটক আরো নির্মম। সেটা আরেক প্রহসন।
এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাড. আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, ত্রাণ ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।