Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে যারা আছে তারা দেশপ্রেমী, স্বাধীনতা প্রেমী ও গণতন্ত্র প্রেমী : দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে যারা আছে তারা দেশপ্রেমী, স্বাধীনতা প্রেমী ও গণতন্ত্র প্রেমী।

শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দী করে রাখা হয়েছে। বিচারের নামে তার ওপর প্রহসন করা হয়েছে। তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন, তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান একটি সুনামধন্য পরিবারের সন্তান। তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন। তার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে, বিচার করে জেলখানায় ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না বলে বলে মন্তব্য করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সূর্য যদি সত্য হয়, পৃথিবী যদি সত্য হয়, আমাদের দেশপ্রেম যদি সত্য হয় তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, আবহাওয়ার অবস্থা খারাপ, দেশের অবস্থাও খারাপ। আপনারা একটা বিশ্বাস নিয়ে যেতে পারেন। এই বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হবে না।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ৯৪, ৯৫ এবং ৯৬ সালে যে দাবি করেছিলেন খালেদা জিয়ার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তখন সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল না। তখন যদি শেখ হাসিনার মাথায় তত্ত্বাবধায়কের ভূত না চাপতো তাহলে এখন আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করতাম না। সে সময় শেখ হাসিনা, জামায়াতে ইসলাম, জাতীয় পার্টি ও বাম দলগুলো মিলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেছিলেন। তিনি (হাসিনা) বলেছিলেন, আমি আজীবন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে বিশ্বাসী। আজ তিনি যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখতে চাচ্ছেন না তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করেছিলেন তার জন্য জাতির কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত। সংবিধানের দোহাই দিয়ে তিনি জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে। সারা পৃথিবী ঐক্য তত্ত্বাবধায়ক প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ কি বলল, কি ভাবল, কি করল এই নিয়ে দেশবাসীর কোনো চিন্তা করে না।
এ সময় নেতা কর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং বিএনপি যে কর্মসূচি দিবে তাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ফরহাদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপির সহ তত্ত্ব বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, কৃষকদলের সাবেক নেতা এস কে সাদি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

যে তরুণরা দেশ গঠন করবে তারাই এখন চাঁদাবাজি করছে : মির্জা ফখরুল

জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে যারা আছে তারা দেশপ্রেমী, স্বাধীনতা প্রেমী ও গণতন্ত্র প্রেমী : দুদু

প্রকাশের সময় : ০২:২৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে যারা আছে তারা দেশপ্রেমী, স্বাধীনতা প্রেমী ও গণতন্ত্র প্রেমী।

শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দী করে রাখা হয়েছে। বিচারের নামে তার ওপর প্রহসন করা হয়েছে। তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন, তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান একটি সুনামধন্য পরিবারের সন্তান। তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন। তার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে, বিচার করে জেলখানায় ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না বলে বলে মন্তব্য করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সূর্য যদি সত্য হয়, পৃথিবী যদি সত্য হয়, আমাদের দেশপ্রেম যদি সত্য হয় তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, আবহাওয়ার অবস্থা খারাপ, দেশের অবস্থাও খারাপ। আপনারা একটা বিশ্বাস নিয়ে যেতে পারেন। এই বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হবে না।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ৯৪, ৯৫ এবং ৯৬ সালে যে দাবি করেছিলেন খালেদা জিয়ার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তখন সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল না। তখন যদি শেখ হাসিনার মাথায় তত্ত্বাবধায়কের ভূত না চাপতো তাহলে এখন আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করতাম না। সে সময় শেখ হাসিনা, জামায়াতে ইসলাম, জাতীয় পার্টি ও বাম দলগুলো মিলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেছিলেন। তিনি (হাসিনা) বলেছিলেন, আমি আজীবন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে বিশ্বাসী। আজ তিনি যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখতে চাচ্ছেন না তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করেছিলেন তার জন্য জাতির কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত। সংবিধানের দোহাই দিয়ে তিনি জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে। সারা পৃথিবী ঐক্য তত্ত্বাবধায়ক প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ কি বলল, কি ভাবল, কি করল এই নিয়ে দেশবাসীর কোনো চিন্তা করে না।
এ সময় নেতা কর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং বিএনপি যে কর্মসূচি দিবে তাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ফরহাদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপির সহ তত্ত্ব বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, কৃষকদলের সাবেক নেতা এস কে সাদি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।