বিনোদন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার সোনালী সময় মাতিয়ে রেখেছিলেন সেসব নায়িকাদের মধ্যে রয়েছে ববিতা, সুচরিতা, কবরী, রোজিনা, শাবানা, অঞ্জনা, নূতন কিংবা চম্পা। বর্তমানে এই নায়িকাদের প্রায় সবাই অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন। এরমধ্যে ‘মিষ্টি মেয়ে’ খ্যাত অভিনেত্রী কবরী সারোয়ার ইতোমধ্যেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন।

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তারার মতো জ্বলজ্বল করা এই নায়িকাদের যেন নতুন করে জন্ম হলো সামাজিকমাধ্যমে। এই সময়ের মেকআপ-গেটআপে হাজির হলেন সোনালী সময়ের এই নায়িকারা।

এই কাজটি করেছেন রাজীব জাহান ফেরদৌস নামের এক ব্যক্তি। এরজন্য তিনি বেছে নেন বিশ্বজুড়ে সাম্প্রতিক আলোচিত মাধ্যম এইআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) প্রযুক্তি। সঙ্গে নিয়েছেন ফায়ারফ্লাই ও ফটোশপের সহযোগিতা।
আট নায়িকার এই সময়ের ছবি তৈরি করে শুক্রবার (২১ জুলাই) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেন। ছবিগুলো দেখে দর্শকরা তো বটেই, খোদ নায়িকারাই বিস্মিত।

চিত্রনায়িকা নূতন তার নিজের কয়েকটি ছবি প্রকাশ ফেসবুকে। তিনি লেখেন, এটা আমি! সত্যিই সুন্দর লাগছে। সঙ্গে ধন্যবাদ জানান ছবিগুলোর ক্রিয়েটর রাজীব জাহান ফেরদৌসকে।

ছবিগুলোর বিষয়ে রাজীব জাহান ফেরদৌস লেখেন, আশির দশককে বাংলাদেশি চলচিত্রের স্বর্ণযুগ বলা হয়ে থাকে। সেই সময়ে অনেক অসাধারণ সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তখনকার শিল্পীরা। ছোটবেলায় বাবা মায়ের হাত ধরে সিনেমা হলে যেতাম। মধ্যবিত্ত পরিবারের বিনোদনের একটা বড় উৎস ছিল হলে গিয়ে মুভি দেখা। হল থেকে বের হয়ে বেলুন কিনে, বাদাম খেতে খেতে রিকশায় মায়ের কোলে বসে বাসায় ফিরতাম। কী সুন্দর ছিল ওই দিনগুলো! সেই সময় দর্শকদের স্বপ্নের নায়িকারা যদি এই যুগের নায়িকা হতেন কেমন দেখতে হতেন? কেমন হতো তাদের স্টাইল? সেটাই প্রযুক্তির সাহায্যে দেখার চেষ্টা করলাম।

ছবিগুলো দেখে খোদ নায়িকারাই বিস্মিত। এরমধ্যে নূতন তার ওয়ালে নিজের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘এটা আমি! সত্যিই সুন্দর।’ সঙ্গে ধন্যবাদ জানান ছবিগুলোর ক্রিয়েটর রাজীব জাহান ফেরদৌসকে।
এসব ছবি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করছেন নেটিজেনরাও। মাহবুব আলম মাহি লিখেছেন, ‘অসাধারণ!’ অপূর্ব লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, এমন চিত্রকর্মের কথা তারা কখনো কল্পনাও করেন নাই। দারুণ!’ নুসরাত জাহান লিখেছেন, ‘রোজিনা আর কবরীকে দেখে মাথা ঘুরতেছে।’

তবে নেটিজেনদের কেউ কেউ দাবি করেছেন, খুব শিগগির ফটোগ্রাফি জাদুঘরে চলে যাবে। সত্যি এটি হবে।’ তবে মির্জা সাঈদুল ইসলাম বেগ দ্বি-মত পোষণ করেছেন। তার মতে— ‘দিনশেষে হিউম্যান টাচ কিংবা ইন্সটিংট – এই জায়গাটায় এআই পিছিয়ে থাকবে। অর্গানিক কম্পিউটার তৈরি হলেও তার ব্রেন ফাংশন মানুষের লেভেলে আসতে পারবে না কখনো। কারণ ট্রেস ব্যাক করলে আসল কারিগর ওই মানুষই থাকবে।