Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনাকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র নিয়ে বিএনপি এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) দুটি ষড়যন্ত্র নিয়ে এগোচ্ছে। একটি শেখ হাসিনাকে এলিমিনেট (শেষ) করে দেওয়া। আরেকটি দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা, এরপর দেশকে অপশক্তির হাতে তুলে দেওয়া। তবে বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেবে না।

রোববার (১৮ জুন) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘শেখ হাসিনাকে মারতে হবে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে’- সিরাজগঞ্জে বিএনপির এক নেতা এমন মন্তব্য করেছেন। এ ঘটনায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি বলছে যে বিনাবিচারে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজশাহী বিএনপির আহ্বায়ক হত্যার হুমকি দিয়েছিল, এরপর সিরাজগঞ্জের সমাবেশে স্থানীয় বিএনপির নেতা রাশেদুল হাসান রঞ্জনও একই হুমকি দিয়েছে। বিএনপি যে ভেতরে-ভেতরে সেই ষড়যন্ত্রই করছে, তাদের নেতাদের কথাবার্তা থেকে সেটিই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

মন্ত্রী বলেন, তারা শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আজকে তারা ষড়যন্ত্রের পথই বেছে নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল এবং দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। বিএনপিও যে আজ একইপথে হাঁটছে, একই পরিকল্পনা করছে, তারই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতাদের বক্তব্য। সিরাজগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে, আমি তার সর্বাত্মক নিন্দা জানাই। বিএনপির উচিত ছিল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কিন্তু ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং তার পক্ষাবলম্বন করে বিএনপি স্বীকার নিয়েছে, এটি তাদেরই বক্তব্য।

হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর স্বাধীনতাবিরোধী দেশি ও আন্তর্জাতিক অপশক্তি মিলে বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। আজকেও বিএনপিসহ যে রাজনৈতিক অপশক্তি বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, পরপর তিনবার জনগণের রায় নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল আজকে বিএনপি যে সেই একই পথে হাঁটছে, একই পরিকল্পনা করছে, বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতাদের এ সমস্ত বক্তব্য তারই বহিঃপ্রকাশ।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্রমাগতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে কথায় বলায় তাকে ‘তত্ত্বাবধায়ক রোগে’ পেয়ে বসেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গতানুগতিক বক্তব্য। প্রতিদিনই তিনি এ কথা বলেন। সংবিধান অনুসারে চলতি সরকারই আগামী নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবেন। শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। ভারত, যুক্তরাজ্য, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে চলতি সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও তাই হবে। সংবিধানের কোনো ব্যত্যয় হবে না। এমনকী আন্তর্জাতিকভাবেও তাদের এ দাবির প্রতি কোনো সমর্থন নেই। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের দাবিকে সমর্থন করেনি। এটি শুধু মির্জা ফখরুলের মুখেই আছে। তাকে তত্ত্বাবধায়ক রোগে পেয়েছে। আশা করি, তিনি এ রোগ থেকে শিগগির মুক্তি পাবেন।

মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে চীনের মন্তব্য বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের দ্বিমুখী অবস্থান আন্তর্জাতিকভাবে আমরা বিভিন্ন সময় দেখি। এই ক্ষেত্রেও চীন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে মন্তব্য করেছে, আমরা সেটা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের সাথে দুই দেশেরই অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী, গত ৫১ বছরে আমাদের পথচলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। তাদের সাথে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। একই সঙ্গে চীনও আমাদের উন্নয়ন সহযোগী এবং এ দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। সুতরাং সব দেশের সাথেই আমাদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিদ্যালয়ে নির্মাণ কাজে পুরোনা রড ব্যবহারের অভিযোগ

শেখ হাসিনাকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র নিয়ে বিএনপি এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) দুটি ষড়যন্ত্র নিয়ে এগোচ্ছে। একটি শেখ হাসিনাকে এলিমিনেট (শেষ) করে দেওয়া। আরেকটি দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা, এরপর দেশকে অপশক্তির হাতে তুলে দেওয়া। তবে বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেবে না।

রোববার (১৮ জুন) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘শেখ হাসিনাকে মারতে হবে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে’- সিরাজগঞ্জে বিএনপির এক নেতা এমন মন্তব্য করেছেন। এ ঘটনায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি বলছে যে বিনাবিচারে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজশাহী বিএনপির আহ্বায়ক হত্যার হুমকি দিয়েছিল, এরপর সিরাজগঞ্জের সমাবেশে স্থানীয় বিএনপির নেতা রাশেদুল হাসান রঞ্জনও একই হুমকি দিয়েছে। বিএনপি যে ভেতরে-ভেতরে সেই ষড়যন্ত্রই করছে, তাদের নেতাদের কথাবার্তা থেকে সেটিই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

মন্ত্রী বলেন, তারা শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আজকে তারা ষড়যন্ত্রের পথই বেছে নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল এবং দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। বিএনপিও যে আজ একইপথে হাঁটছে, একই পরিকল্পনা করছে, তারই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতাদের বক্তব্য। সিরাজগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে, আমি তার সর্বাত্মক নিন্দা জানাই। বিএনপির উচিত ছিল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কিন্তু ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং তার পক্ষাবলম্বন করে বিএনপি স্বীকার নিয়েছে, এটি তাদেরই বক্তব্য।

হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর স্বাধীনতাবিরোধী দেশি ও আন্তর্জাতিক অপশক্তি মিলে বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। আজকেও বিএনপিসহ যে রাজনৈতিক অপশক্তি বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, পরপর তিনবার জনগণের রায় নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল আজকে বিএনপি যে সেই একই পথে হাঁটছে, একই পরিকল্পনা করছে, বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতাদের এ সমস্ত বক্তব্য তারই বহিঃপ্রকাশ।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্রমাগতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে কথায় বলায় তাকে ‘তত্ত্বাবধায়ক রোগে’ পেয়ে বসেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গতানুগতিক বক্তব্য। প্রতিদিনই তিনি এ কথা বলেন। সংবিধান অনুসারে চলতি সরকারই আগামী নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবেন। শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। ভারত, যুক্তরাজ্য, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে চলতি সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও তাই হবে। সংবিধানের কোনো ব্যত্যয় হবে না। এমনকী আন্তর্জাতিকভাবেও তাদের এ দাবির প্রতি কোনো সমর্থন নেই। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের দাবিকে সমর্থন করেনি। এটি শুধু মির্জা ফখরুলের মুখেই আছে। তাকে তত্ত্বাবধায়ক রোগে পেয়েছে। আশা করি, তিনি এ রোগ থেকে শিগগির মুক্তি পাবেন।

মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে চীনের মন্তব্য বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের দ্বিমুখী অবস্থান আন্তর্জাতিকভাবে আমরা বিভিন্ন সময় দেখি। এই ক্ষেত্রেও চীন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে মন্তব্য করেছে, আমরা সেটা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের সাথে দুই দেশেরই অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী, গত ৫১ বছরে আমাদের পথচলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। তাদের সাথে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। একই সঙ্গে চীনও আমাদের উন্নয়ন সহযোগী এবং এ দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। সুতরাং সব দেশের সাথেই আমাদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক।