Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোবেলকে ডিভোর্স দিলেন সালসাবিল

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩
  • ১৯৬ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

মাদক না ছাড়ায় ‘সারেগামাপা’খ্যাত সমালোচিত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। অবশ্য গেল বছরই নোবেলের নানা বিতর্কিত কাণ্ডে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সালসাবিল। তবে সেসময় দুই পরিবারের কারণে বিচ্ছেদের বিষয়টি ‘থমকে’ ছিল। অবশেষে থমকে থাকা সেই সিদ্ধান্তই এবার চূড়ান্ত করলেন সালসাবিল মাহমুদ।

তিনি জানিয়েছেন, এতোদিন তালাক ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। সর্বশেষে তিনি নোবেলের কাছে মাদক ছাড়ার ব্যাপারে জানতে চান, কিন্তু নোবেল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি মাদক ছাড়বেন না। এ কারণেই তালাক সম্পন্ন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে সালসাবিল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, তালাকের চিঠি আগেই দিয়েছিলাম। তালাক কার্যকর হতে তিনমাস সময় লাগে। কিন্তু চাইলে সেটাকে স্থগিত করা যায়। আমি নোবেলের পরিবর্তন আশা করে সেটাকে স্থগিত রেখেছিলাম। সকালে সেটা কার্যকর করেছি।

ফেসবুকে সালসাবিল লেখেন, আমি হয়তোবা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম, কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, ‘নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল’ এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি। ধন্যবাদ।

নোবেলের মাদকাসক্ত হওয়ার পেছনে অনেকের হাত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই। নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিলো না। এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে সরকারি প্রশাসনিক উর্ধতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যাবসায়ী; (দরকার হলে নাম বলব) যাদের আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনো দেখেননি, কিন্তু নোবেলের আশে পাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন। (তাদের মধ্যে কিছু শো অরগানাইজারও) বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যাবসায় তারা সচল এবং কিছু এয়ার হোস্টেসদের (একজন এয়ারহোস্টেস যে অন্য এয়ারহোস্টেসদের পরিচালনা করে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধার্থে পরিচিত মুখ/ভিক্টিম খুঁজে বের করে) মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় তারা দেশে মাদক আমদানি করে এবং গোপনভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে যার একজন ভিক্টিম নোবেল নিজেই , আসলে শুধু ভিক্টিম বললে ভুল হবে এখন জড়িত।

সালসাবিল আরো লেখেন, মিডিয়ার বিষয় তাই শুধু সামনে এসেছে কিন্তু এসব/এক ক্ষমতাধারী সিন্ডিকেটের ব্যাবসার মুনাফাই আসে বিভিন্ন পরিবারের সন্তানদের ও যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করিয়ে।

গত ২৭ এপ্রিল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের সুর্বণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে গান গাইতে মঞ্চে উঠে মাতলামির করেন নোবেল। বিষয়টি নিয়ে মোবাইল ফোনে এক অডিও সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, সেদিন মঞ্চে উঠার আগে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সরবারহ করা কয়েক পেগ সিগনেচার ব্রান্ডের মদ পান করেন।

উল্লেখ, ২০১৯ সালে নোবেলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সালসাবিল। কিন্তু নোবেলের উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে তার থেকে দূরে সরে যান সালসাবিল। সম্পর্কটা ছিল শুধু কাগজ-কলমে। অবশেষে তা ছিন্ন করলেন সালসাবিল। ভারতীয় টিভি চ্যানেল জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ শোয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পান তিনি। তার দরাজ কণ্ঠের গায়কী মুগ্ধ করে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের। কিন্তু সেই মুগ্ধতা ধরে রাখতে পারেননি নোবেল। বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করে এবং উদ্ভট সব কাণ্ড ঘটিয়ে কেবল নিন্দাই কুড়িয়েছেন তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

নোবেলকে ডিভোর্স দিলেন সালসাবিল

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : 

মাদক না ছাড়ায় ‘সারেগামাপা’খ্যাত সমালোচিত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। অবশ্য গেল বছরই নোবেলের নানা বিতর্কিত কাণ্ডে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সালসাবিল। তবে সেসময় দুই পরিবারের কারণে বিচ্ছেদের বিষয়টি ‘থমকে’ ছিল। অবশেষে থমকে থাকা সেই সিদ্ধান্তই এবার চূড়ান্ত করলেন সালসাবিল মাহমুদ।

তিনি জানিয়েছেন, এতোদিন তালাক ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। সর্বশেষে তিনি নোবেলের কাছে মাদক ছাড়ার ব্যাপারে জানতে চান, কিন্তু নোবেল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি মাদক ছাড়বেন না। এ কারণেই তালাক সম্পন্ন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে সালসাবিল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, তালাকের চিঠি আগেই দিয়েছিলাম। তালাক কার্যকর হতে তিনমাস সময় লাগে। কিন্তু চাইলে সেটাকে স্থগিত করা যায়। আমি নোবেলের পরিবর্তন আশা করে সেটাকে স্থগিত রেখেছিলাম। সকালে সেটা কার্যকর করেছি।

ফেসবুকে সালসাবিল লেখেন, আমি হয়তোবা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম, কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, ‘নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল’ এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি। ধন্যবাদ।

নোবেলের মাদকাসক্ত হওয়ার পেছনে অনেকের হাত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই। নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিলো না। এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে সরকারি প্রশাসনিক উর্ধতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যাবসায়ী; (দরকার হলে নাম বলব) যাদের আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনো দেখেননি, কিন্তু নোবেলের আশে পাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন। (তাদের মধ্যে কিছু শো অরগানাইজারও) বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যাবসায় তারা সচল এবং কিছু এয়ার হোস্টেসদের (একজন এয়ারহোস্টেস যে অন্য এয়ারহোস্টেসদের পরিচালনা করে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধার্থে পরিচিত মুখ/ভিক্টিম খুঁজে বের করে) মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় তারা দেশে মাদক আমদানি করে এবং গোপনভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে যার একজন ভিক্টিম নোবেল নিজেই , আসলে শুধু ভিক্টিম বললে ভুল হবে এখন জড়িত।

সালসাবিল আরো লেখেন, মিডিয়ার বিষয় তাই শুধু সামনে এসেছে কিন্তু এসব/এক ক্ষমতাধারী সিন্ডিকেটের ব্যাবসার মুনাফাই আসে বিভিন্ন পরিবারের সন্তানদের ও যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করিয়ে।

গত ২৭ এপ্রিল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের সুর্বণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে গান গাইতে মঞ্চে উঠে মাতলামির করেন নোবেল। বিষয়টি নিয়ে মোবাইল ফোনে এক অডিও সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, সেদিন মঞ্চে উঠার আগে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সরবারহ করা কয়েক পেগ সিগনেচার ব্রান্ডের মদ পান করেন।

উল্লেখ, ২০১৯ সালে নোবেলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সালসাবিল। কিন্তু নোবেলের উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে তার থেকে দূরে সরে যান সালসাবিল। সম্পর্কটা ছিল শুধু কাগজ-কলমে। অবশেষে তা ছিন্ন করলেন সালসাবিল। ভারতীয় টিভি চ্যানেল জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ শোয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পান তিনি। তার দরাজ কণ্ঠের গায়কী মুগ্ধ করে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের। কিন্তু সেই মুগ্ধতা ধরে রাখতে পারেননি নোবেল। বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করে এবং উদ্ভট সব কাণ্ড ঘটিয়ে কেবল নিন্দাই কুড়িয়েছেন তিনি।