শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
‘টাইম’-এর প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় আলিয়া রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে জার্মানিতে দুজন আটক চট্টগ্রামে একই পরিবারের ৩ জনকে হত্যার দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স আমাদের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি : সমাজকল্যাণমন্ত্রী ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইইউ চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী রেকর্ডময় ম্যাচে ইতিহাসগড়া জয় শ্রীলঙ্কার মা হারালেন বেবী নাজনীন একটি বন্ধু রাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না : সেনাপ্রধান ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

আদালতে দোষী সাব্যস্ত নাজিব রাজাক

যোগাযোগ ডেস্ক
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০২০

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাক অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় দোর্ষ সাব্যস্ত হয়েছেন। এ মামলার রায়ে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর ১৫ থেকে ২০ বছরের সাজা হতে পারে। মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল (ওয়ানএমডিবি) অর্থ কেলেঙ্কারির মামলায় মঙ্গলবার কুয়ালালামুপরের উচ্চ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজিম মোহাম্মদ গাজ্জালি তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

বিচারক বলেন, এ মামলার সমস্ত তথ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রসিকিউশন তাদের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ মামলায় বিশ্বাসভঙ্গ, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ সাত ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছিল নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে।

রায়ের সবগুলো ধারাতেই সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা থাকাকালীন রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে নাজিবের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ৪২ মিলিয়ন রিঙ্গিত স্থান্তরিত হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তবে সবগুলো অভিযোগই বরাবরের মতো অস্বীকার করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার আর্থিক উপদেষ্টারা তাকে বিভ্রান্ত করেছে।
এই রায়ের ফলে নাজিব রাজাকের ১৫-২০ বছরের সাজা হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন নাজিব।

প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৯ সালে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ওয়ানএমডিবি তহবিল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নাজিব। তবে বিনিয়োগের বদলে এই তহবিলের অর্থ বিলাসী জীবনযাপন, হলিউডের একটি চলচ্চিত্র ও একটি সুপারইয়টের পেছনে ব্যয় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে থাকা ৪২টি অভিযোগের মধ্যে অধিকাংশই ওয়ানএমডিবি সম্পর্কিত। এর কেন্দ্রে আছে ওয়ানএমডিবির একটি ইউনিট এসআরসি ইন্টারন্যাশনাল থেকে নাজিবের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চার কোটি ২০ লাখ মালয়েশীয় রিঙ্গিত সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।

এ মামলায় অর্থ পাচারের তিনটি, শপথ ভঙ্গের দায়ে তিনটি ফৌজদারি অভিযোগ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। রায়ে এর সবগুলো ধারাতেই সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া নাজিবের স্ত্রীর বিরুদ্ধেও অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছে।

তদন্তের অন্যতম প্রধান একজন টার্গেট হলেন মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী রো তায়েক ঝো। দেশে তিনি ঝো লো নামে পরিচিতি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ – তিনি এবং তার কয়েকজন সহযোগী রাষ্ট্রীয় ঐ তহবিল থেকে প্রচুর টাকা সরিয়েছেন যার একটি অংশ দিয়ে তিনি ২৫০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ইকোয়ানামিটি নামে একটি সুপার ইয়ট বা প্রমোদতরী কেনেন। ২০১৮ সালে ঐ প্রমোদ তরীটি সরকার বাজেয়াপ্ত করে।

ওয়ান এমডিবি তহবিল থেকে টাকা পাচার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং সিঙ্গাপুর সহ কমপক্ষে ছটি দেশে তদন্ত হচ্ছে। এই কেলেঙ্কারিতে ভালোভাবেই জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান শ্যাকস। মালয়েশিয়ার সরকার এই ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

গোল্ডম্যান শ্যাকসের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অপারেশসনসের প্রধান টিম লেইসনার ঘুষ এবং টাকা পাচারের ভূমিকা রাখার কথা স্বীকার করেছেন। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ডেভিড সলোমন এই কেলেঙ্কারিতে মি লেসনারের সংশ্লিষ্টতার জন্য মালয়েশিয়ার জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু তিনি দাবি করেছেন যে তার ব্যাংকও প্রতারিত হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া