ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি :
মালয়েশিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটিতে প্রায় এক বছর যাবৎ পড়াশোনা করছিলেন মুনতাসির ফাহিম (২২)। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় গত চার মাস আগে দেশে আসেন। আগামী শনিবার ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তার ক্যাম্পাসে। ২৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়ার কথা ছিল ক্লাস। তবে নিয়তির খেলায় শেষ হয়ে গেল মেধাবী তরুণ মুনতাসির ফাহিমের জীবন।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ অনিকের হাতে খুন হয় ফাহিম।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে একটি চায়নিজ কুড়াল নিয়ে ওহেদুল ইসলাম অনিক নামে এক তরুণ থানায় হাজির হয়ে পুলিশ কে বলছিল, ফাহিম আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে, তাই তাকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছি। এমন কথা শুনে থানা পুলিশ অভিযুক্ত অনিককে আটক করে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ত্রিশাল সরকারি নজরুল অ্যাকাডেমি স্কুলমাঠে খুঁজতে থাকে মুনতাসির ফাহিমকে।
একপর্যায়ে নজরুল অ্যাকাডেমি মাঠের পূর্ব পাশের পানির ট্যাংকির সঙ্গে ফাহিমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
হত্যার শিকার মুনতাসির ফাহিম উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিকনা গ্রামের রেজাউল ইসলাম বাদলের বড় ছেলে এবং অভিযুক্ত বন্ধু ওহেদুল ইসলাম অনিক পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের জহিরুল মণ্ডলের ছেলে।
নিহত ফাহিমের বাবা রেজাউল ইসলাম বাদল বলেন, আমার ছেলে বিদেশে লেখাপড়া করে, কিছুদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ছুটিতে আসছে।
আগামী শনিবার (২৯ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটিতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তার। কেন আমার ছেলেকে হত্যা করল জানি না। পূর্ববর্তী বিরোধের জেরে অনিক পরিকল্পিতভাবে ফাহিমকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি, পাশাপাশি ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
ত্রিশাল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ গোলাম মোস্তফা রুবেল জানান, দীর্ঘদিন ধরে অনিক ও ফাহিমের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল। পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত রাতে দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে অনিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহমেদ জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার অনিককে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।
ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি 























