Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ’ চূড়ান্ত অনুমোদন, সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গুম প্রতিকার ও প্রতিরোধ অধ্যাদেশ-২০২৫ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এ অধ্যাদেশে আওতায় গুমের দায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ৪৭তম বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বরাতে এ তথ্য জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, গুম প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের জন্য একটা আইন নিয়ে অনেকদিন যথেষ্ট ডিবেট হয়েছে। হওয়ার পর আজকে এটা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন হয়েছে। এই অধ্যাদেশে গুমকে সংজ্ঞায়নের পাশাপাশি চলমান অপরাধ, কন্টিনিউ অফেন্স হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, গোপন আটক কেন্দ্র স্থাপন আয়নাঘর নামে পরিচিত স্থাপন ব্যবহারকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। স্থাপন এবং এটা ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত কমিশনকে গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এই অধ্যাদেশে গুম প্রতিরোধ প্রতিকারের লক্ষ্যে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা, ভুক্তভোগী-স্বাক্ষীর অধিকার সুরক্ষা ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত সহায়তা নিশ্চয়তা প্রদান সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া গুম প্রতিরোধ প্রতিকার এবং সুরক্ষার উদ্দেশ্যে তহবিল গঠন এবং তথ্যভাণ্ডার প্রতিষ্ঠার বিধানও সংযোজিত হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, মিটিংয়ে কয়েকটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকে জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়া এবং চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। জাতীয় নগরনীতি নিয়ে একটু আলাপ হয়েছে। এই বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। আর আজকে আগামী বছর ২০২৬-এর সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন হয়েছে।

তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধ এবং প্রতিরোধ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে আজ। শেখ হাসিনার সময় বাংলাদেশে হাজার-হাজার ছেলেমেয়ে গুম হয়েছে। তার মধ্যে গুম বিষক যে কমিশন করা হয়েছে, সেখানে অভিযোগের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার এবং ওই কমিশনে যারা মেম্বার আছেন, তারা তাদের রিপোর্টে বারবার বলছেন যে এটার সংখ্যা ৪০০-এর উপরে হবে। আর দেশে শতশত আয়নাঘর ছিল। সেখানে এদেরকে রাখা হতো। অনেকে যারা গুম হয়েছেন, কেউ কেউ ফিরে এসেছেন, আবার অনেকে ফিরে আসেননি। আপনি জানেন বিএনপির অনেক কর্মী এখনো ফিরে আসেননি।

তিনি আরো বলেন, গুম সংক্রান্ত একটি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন আছে। যেটার নাম হচ্ছে, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি প্রটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম এনফোরস ডিসএপিয়ারেন্স। বাংলাদেশে গত বছর ২৯ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদ এটার এপ্রুভ করেছেন। বাংলাদেশ এটার অংশীদার হয়েছে। অংশীদারের এই কনভেনশনকে ফলো করে অধ্যাদেশটা তৈরি করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক আইন। এর ফলে বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার এসে দেশে গুমের রাজত্ব চালাতে পারবে না। দেশে কোনো আয়নাঘর তৈরি হবে না।

ব্রিফিংয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফয়েজ আহম্মদ এবং সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।

আবহাওয়া

১০ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় না গেলে রাজনীতি ছেড়ে দেব : নাহিদ ইসলাম

‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ’ চূড়ান্ত অনুমোদন, সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৪:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গুম প্রতিকার ও প্রতিরোধ অধ্যাদেশ-২০২৫ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এ অধ্যাদেশে আওতায় গুমের দায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ৪৭তম বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বরাতে এ তথ্য জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, গুম প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের জন্য একটা আইন নিয়ে অনেকদিন যথেষ্ট ডিবেট হয়েছে। হওয়ার পর আজকে এটা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন হয়েছে। এই অধ্যাদেশে গুমকে সংজ্ঞায়নের পাশাপাশি চলমান অপরাধ, কন্টিনিউ অফেন্স হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, গোপন আটক কেন্দ্র স্থাপন আয়নাঘর নামে পরিচিত স্থাপন ব্যবহারকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। স্থাপন এবং এটা ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত কমিশনকে গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এই অধ্যাদেশে গুম প্রতিরোধ প্রতিকারের লক্ষ্যে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা, ভুক্তভোগী-স্বাক্ষীর অধিকার সুরক্ষা ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত সহায়তা নিশ্চয়তা প্রদান সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া গুম প্রতিরোধ প্রতিকার এবং সুরক্ষার উদ্দেশ্যে তহবিল গঠন এবং তথ্যভাণ্ডার প্রতিষ্ঠার বিধানও সংযোজিত হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, মিটিংয়ে কয়েকটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকে জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়া এবং চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। জাতীয় নগরনীতি নিয়ে একটু আলাপ হয়েছে। এই বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। আর আজকে আগামী বছর ২০২৬-এর সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন হয়েছে।

তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধ এবং প্রতিরোধ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে আজ। শেখ হাসিনার সময় বাংলাদেশে হাজার-হাজার ছেলেমেয়ে গুম হয়েছে। তার মধ্যে গুম বিষক যে কমিশন করা হয়েছে, সেখানে অভিযোগের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার এবং ওই কমিশনে যারা মেম্বার আছেন, তারা তাদের রিপোর্টে বারবার বলছেন যে এটার সংখ্যা ৪০০-এর উপরে হবে। আর দেশে শতশত আয়নাঘর ছিল। সেখানে এদেরকে রাখা হতো। অনেকে যারা গুম হয়েছেন, কেউ কেউ ফিরে এসেছেন, আবার অনেকে ফিরে আসেননি। আপনি জানেন বিএনপির অনেক কর্মী এখনো ফিরে আসেননি।

তিনি আরো বলেন, গুম সংক্রান্ত একটি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন আছে। যেটার নাম হচ্ছে, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি প্রটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম এনফোরস ডিসএপিয়ারেন্স। বাংলাদেশে গত বছর ২৯ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদ এটার এপ্রুভ করেছেন। বাংলাদেশ এটার অংশীদার হয়েছে। অংশীদারের এই কনভেনশনকে ফলো করে অধ্যাদেশটা তৈরি করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক আইন। এর ফলে বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার এসে দেশে গুমের রাজত্ব চালাতে পারবে না। দেশে কোনো আয়নাঘর তৈরি হবে না।

ব্রিফিংয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফয়েজ আহম্মদ এবং সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।