Dhaka বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন বিলম্বিত হলে আবার ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচনে অস্থিরতা সৃষ্টি করা, বিলম্বিত এবং বানচাল করার জন্য যে শক্তি কাজ করছে, তার পক্ষে একটি রাজনৈতিক দল কাজ করছে। বাংলাদেশে নির্বাচন বিলম্বিত হলে আবার ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি হবে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, কোনো একটি আইনানুযায়ী বৈধ এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানকে পরিবর্তন করার কোনো অধিকার আমাদের কারও নেই।’ এমনটা হলে আগামী দুই বছর বা পাঁচ বছর পরে বারবার এই প্রক্রিয়ায় আবার সংবিধান বদলের দাবি উঠবে বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জামায়াত যাদের নিয়ে আন্দোলন করছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাদের ভূমিকা কি ছিল, জাতি জানতে চায়। নির্বাচন বানচালের পক্ষে যে শক্তি কাজ করছে, তার পক্ষে জামায়াত।

তিনি আরো বলেন, পিআর’সহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াত ও বিভিন্ন দলের কার্যক্রম গণতান্ত্রিক চর্চা। তবে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, তারা কাদের ইশতেহার গ্রহণ করবে।

তিনি মনে করেন, পিআর’সহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াত ও অন্যান্য দলের কার্যক্রম গণতান্ত্রিক চর্চারই অংশ। জনগণের কাছে তাদের ইশতেহার গ্রহণযোগ্য হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আন্দোলনকারীদের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পিআর নিয়ে যারা আন্দোলন করছে, তারাই নির্বাচন বিলম্ব ও বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশে যদি নির্বাচন বিলম্বিত হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি হবে। পতিত ফ্যাসিবাদ সুযোগ পাবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। নির্বাচন বানচাল হলে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।

সালাহউদ্দিন বলেন, পিআর মানে পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস। এ ব্যবস্থায় স্থিতিশীল সরকার ব্যবস্থা থাকে না। কয়েক মাস পরপর প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হয়, সরকার পরিবর্তন হয়। এতে কোনো দল জনগণের কাছে দেওয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে পারে না, দেশের উন্নয়নও হয় না। বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রকে আমরা এমন অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিতে পারি না।

তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডেই পিআরের বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। যারা পিআর-পিআর করছে, তাদের সঙ্গে থাকা দলের অনেকে ‘আমি-ডামি’ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। তারা আওয়ামী লীগের সব কর্মকাণ্ডে বাতাস করেছে।

বিএনপির এই নেতা প্রশ্ন রাখেন, পিআর পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কি কোনো জায়গা আছে? তাদের সাংবিধানিক অধিকার কি থাকবে না?

বিএনপির এই নেতা বলেন, রাষ্ট্র কোনো ছেলেখেলা নয়। ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে আমরা ছিনিমিনি খেলতে পারি না। এই রাষ্ট্রকে একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলতে দিতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের অভিসন্ধির কাছে আমরা কোনো দিন মাথা নত করতে পারি না। এই দেশের জনগণই হচ্ছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, কোনো একটি আইনানুযায়ী বৈধ এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানকে পরিবর্তন করার কোনো অধিকার আমাদের কারও নেই।’ এমনটা হলে আগামী দুই বছর বা পাঁচ বছর পরে বারবার এই প্রক্রিয়ায় আবার সংবিধান বদলের দাবি উঠবে বলেন তিনি।

গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশ হয়েছে বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা যখনই একটা বৈধ প্রক্রিয়ার কথা বলি, তখন তারা বলে জনগণের অভিপ্রায় এখানে চূড়ান্ত। হ্যাঁ জনগণের অভিপ্রায় চূড়ান্ত। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। সেই অভিপ্রায়ের মধ্য দিয়ে এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা সঠিক; কিন্তু এই অভিপ্রায়কে বাস্তবায়নের জন্য তো আমাদের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছে, আর্টিকেল ১০৬–এর দ্বারস্থ হতে হয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন দেখেছি। উপদেষ্টাদের শপথ দেখেছি। আমরা সেটিকে বৈধ প্রক্রিয়া মনে করি।

সর্বশেষ জরিপের তথ্যকে অবিশ্বাসযোগ্য আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, যেখানে দেশের ৫৬ শতাংশ মানুষই পিআর কি তা বোঝে না, সেখানে বলা হচ্ছে ৭০ শতাংশ মানুষ পিআর চায়। এটা বিভ্রান্তি ছড়ানোর শামিল।

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, দলীয় স্বার্থে জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে, তাদের বলবো জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না। নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচালের চেষ্টা করা মানে অগণতান্ত্রিক শক্তিকে উত্থানের সুযোগ দেওয়া।

সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, সংবিধান ছেলে খেলা নয়। ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে আমরা ছিনিমিনি খেলতে পারি না। সংবিধানকে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলতে দিতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধানও গণপরিষদের মাধ্যমে প্রণীত হয়েছিল, কিন্তু এক বছরের মধ্যে সংশোধন আনতে হয়েছিল। তাই নতুন সংবিধান প্রণয়ন করলেই তা স্থায়ী হয়ে যাবে, এমন ধারণা ভুল।

গণতান্ত্রিক চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, তর্ক-বিতর্ক হবে, বহুমত থাকবে, কিন্তু জাতীয় ইস্যুতে ঐক্যমত তৈরি করতে হবে। যাতে জনগণ বিজয়ী হয়, এদেশের মানুষ বিজয়ী হয়।

আলোচনায় তিনি গাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানান এবং জাতিসংঘকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল হারুন। এতে বক্তব্য দেন অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণদলের সভাপতি এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

আবহাওয়া

নির্বাচন বিলম্বিত হলে আবার ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচনে অস্থিরতা সৃষ্টি করা, বিলম্বিত এবং বানচাল করার জন্য যে শক্তি কাজ করছে, তার পক্ষে একটি রাজনৈতিক দল কাজ করছে। বাংলাদেশে নির্বাচন বিলম্বিত হলে আবার ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি হবে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, কোনো একটি আইনানুযায়ী বৈধ এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানকে পরিবর্তন করার কোনো অধিকার আমাদের কারও নেই।’ এমনটা হলে আগামী দুই বছর বা পাঁচ বছর পরে বারবার এই প্রক্রিয়ায় আবার সংবিধান বদলের দাবি উঠবে বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জামায়াত যাদের নিয়ে আন্দোলন করছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাদের ভূমিকা কি ছিল, জাতি জানতে চায়। নির্বাচন বানচালের পক্ষে যে শক্তি কাজ করছে, তার পক্ষে জামায়াত।

তিনি আরো বলেন, পিআর’সহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াত ও বিভিন্ন দলের কার্যক্রম গণতান্ত্রিক চর্চা। তবে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, তারা কাদের ইশতেহার গ্রহণ করবে।

তিনি মনে করেন, পিআর’সহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াত ও অন্যান্য দলের কার্যক্রম গণতান্ত্রিক চর্চারই অংশ। জনগণের কাছে তাদের ইশতেহার গ্রহণযোগ্য হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আন্দোলনকারীদের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পিআর নিয়ে যারা আন্দোলন করছে, তারাই নির্বাচন বিলম্ব ও বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশে যদি নির্বাচন বিলম্বিত হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি হবে। পতিত ফ্যাসিবাদ সুযোগ পাবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। নির্বাচন বানচাল হলে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।

সালাহউদ্দিন বলেন, পিআর মানে পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস। এ ব্যবস্থায় স্থিতিশীল সরকার ব্যবস্থা থাকে না। কয়েক মাস পরপর প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হয়, সরকার পরিবর্তন হয়। এতে কোনো দল জনগণের কাছে দেওয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে পারে না, দেশের উন্নয়নও হয় না। বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রকে আমরা এমন অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিতে পারি না।

তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডেই পিআরের বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। যারা পিআর-পিআর করছে, তাদের সঙ্গে থাকা দলের অনেকে ‘আমি-ডামি’ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। তারা আওয়ামী লীগের সব কর্মকাণ্ডে বাতাস করেছে।

বিএনপির এই নেতা প্রশ্ন রাখেন, পিআর পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কি কোনো জায়গা আছে? তাদের সাংবিধানিক অধিকার কি থাকবে না?

বিএনপির এই নেতা বলেন, রাষ্ট্র কোনো ছেলেখেলা নয়। ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে আমরা ছিনিমিনি খেলতে পারি না। এই রাষ্ট্রকে একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলতে দিতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের অভিসন্ধির কাছে আমরা কোনো দিন মাথা নত করতে পারি না। এই দেশের জনগণই হচ্ছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, কোনো একটি আইনানুযায়ী বৈধ এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানকে পরিবর্তন করার কোনো অধিকার আমাদের কারও নেই।’ এমনটা হলে আগামী দুই বছর বা পাঁচ বছর পরে বারবার এই প্রক্রিয়ায় আবার সংবিধান বদলের দাবি উঠবে বলেন তিনি।

গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশ হয়েছে বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা যখনই একটা বৈধ প্রক্রিয়ার কথা বলি, তখন তারা বলে জনগণের অভিপ্রায় এখানে চূড়ান্ত। হ্যাঁ জনগণের অভিপ্রায় চূড়ান্ত। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। সেই অভিপ্রায়ের মধ্য দিয়ে এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা সঠিক; কিন্তু এই অভিপ্রায়কে বাস্তবায়নের জন্য তো আমাদের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছে, আর্টিকেল ১০৬–এর দ্বারস্থ হতে হয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন দেখেছি। উপদেষ্টাদের শপথ দেখেছি। আমরা সেটিকে বৈধ প্রক্রিয়া মনে করি।

সর্বশেষ জরিপের তথ্যকে অবিশ্বাসযোগ্য আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, যেখানে দেশের ৫৬ শতাংশ মানুষই পিআর কি তা বোঝে না, সেখানে বলা হচ্ছে ৭০ শতাংশ মানুষ পিআর চায়। এটা বিভ্রান্তি ছড়ানোর শামিল।

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, দলীয় স্বার্থে জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে, তাদের বলবো জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না। নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচালের চেষ্টা করা মানে অগণতান্ত্রিক শক্তিকে উত্থানের সুযোগ দেওয়া।

সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, সংবিধান ছেলে খেলা নয়। ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে আমরা ছিনিমিনি খেলতে পারি না। সংবিধানকে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলতে দিতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধানও গণপরিষদের মাধ্যমে প্রণীত হয়েছিল, কিন্তু এক বছরের মধ্যে সংশোধন আনতে হয়েছিল। তাই নতুন সংবিধান প্রণয়ন করলেই তা স্থায়ী হয়ে যাবে, এমন ধারণা ভুল।

গণতান্ত্রিক চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, তর্ক-বিতর্ক হবে, বহুমত থাকবে, কিন্তু জাতীয় ইস্যুতে ঐক্যমত তৈরি করতে হবে। যাতে জনগণ বিজয়ী হয়, এদেশের মানুষ বিজয়ী হয়।

আলোচনায় তিনি গাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানান এবং জাতিসংঘকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল হারুন। এতে বক্তব্য দেন অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণদলের সভাপতি এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ।