Dhaka সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্র নির্দিষ্ট দল-ব্যক্তিকে সমর্থন করে না : ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বা যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না বলে জানিয়ে দেশটির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি অ্যান জ্যাকবসন। বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দেখা করি তাদের কর্মসূচি ও লক্ষ্য বুঝতে। আমরা কোনো নির্দিষ্ট রাজনীতিকক সমর্থন করি না। তাদের উদ্দেশ্য বোঝার জন্য আমরা সাক্ষাৎ করি।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই অবস্থান জানিয়েছে দূতাবাস। পাশাপাশি মার্কিন সরকার কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল, রাজনীতিবিদদের সমর্থন করে না। মার্কিন সরকার বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানায় এবং প্রত্যাশা করে যে আসন্ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।

ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেন, প্রথমেই আমি কেন্দ্রীয় ইসিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের আতিথেয়তা দেওয়ার জন্য। আমি আমার কিছু সহকর্মীকে নিয়ে এখানে এসেছি শুনতে, জানতে এবং বুঝতে। যেহেতু বাইরে অনেক গুজব ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে আছে, আমি খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থান কী।

তিনি বলেন, আমরা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং কেন্দ্রীয় ইসিকে সমর্থন করি, যাতে তারা আগামী বছরের শুরুর দিকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের রূপরেখা নির্ধারণ করতে পারে। আমরা আশা করি, সেই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা একটি সফল গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে, যা বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।

মার্কিন এই দূত বলেন, আমরা, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কিংবা যুক্তরাষ্ট্র সরকার, কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। তবে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দেখা করি, তাদের নীতি ও লক্ষ্য বুঝতে। আমরা কোনো নির্দিষ্ট রাজনীতিবিদকেও সমর্থন করি না, তবে তাদের লক্ষ্য বোঝার জন্য তাদের সঙ্গে দেখা করি। আমরা কোনো নির্দিষ্ট নির্বাচনী ফলাফলও সমর্থন করি না। এটা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত, এবং আমরা আশা করি আপনারা সফলভাবে সেটি সম্পন্ন করবেন।

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক প্রধান ডেভিড মো, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ফিরোজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ইসি সচিব আখতার আহমেদ নিজে নিচতলায় প্রবেশপথে দূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে অভ্যর্থনা জানান। তার নেতৃত্বে কর্মকর্তাদের একটি দল মার্কিন প্রতিনিধি দলকে ওপরে সিইসির দপ্তরে নিয়ে আসেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এটাই ইসির সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের প্রথম বৈঠক।

আবহাওয়া

সরকার যখন চাইবে তখনই নির্বাচন, ইসি দায় নেবে না : সিইসি

যুক্তরাষ্ট্র নির্দিষ্ট দল-ব্যক্তিকে সমর্থন করে না : ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত

প্রকাশের সময় : ০৪:১০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বা যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না বলে জানিয়ে দেশটির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি অ্যান জ্যাকবসন। বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দেখা করি তাদের কর্মসূচি ও লক্ষ্য বুঝতে। আমরা কোনো নির্দিষ্ট রাজনীতিকক সমর্থন করি না। তাদের উদ্দেশ্য বোঝার জন্য আমরা সাক্ষাৎ করি।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই অবস্থান জানিয়েছে দূতাবাস। পাশাপাশি মার্কিন সরকার কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল, রাজনীতিবিদদের সমর্থন করে না। মার্কিন সরকার বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানায় এবং প্রত্যাশা করে যে আসন্ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।

ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেন, প্রথমেই আমি কেন্দ্রীয় ইসিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের আতিথেয়তা দেওয়ার জন্য। আমি আমার কিছু সহকর্মীকে নিয়ে এখানে এসেছি শুনতে, জানতে এবং বুঝতে। যেহেতু বাইরে অনেক গুজব ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে আছে, আমি খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থান কী।

তিনি বলেন, আমরা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং কেন্দ্রীয় ইসিকে সমর্থন করি, যাতে তারা আগামী বছরের শুরুর দিকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের রূপরেখা নির্ধারণ করতে পারে। আমরা আশা করি, সেই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা একটি সফল গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে, যা বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।

মার্কিন এই দূত বলেন, আমরা, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কিংবা যুক্তরাষ্ট্র সরকার, কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। তবে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দেখা করি, তাদের নীতি ও লক্ষ্য বুঝতে। আমরা কোনো নির্দিষ্ট রাজনীতিবিদকেও সমর্থন করি না, তবে তাদের লক্ষ্য বোঝার জন্য তাদের সঙ্গে দেখা করি। আমরা কোনো নির্দিষ্ট নির্বাচনী ফলাফলও সমর্থন করি না। এটা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত, এবং আমরা আশা করি আপনারা সফলভাবে সেটি সম্পন্ন করবেন।

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক প্রধান ডেভিড মো, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ফিরোজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ইসি সচিব আখতার আহমেদ নিজে নিচতলায় প্রবেশপথে দূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে অভ্যর্থনা জানান। তার নেতৃত্বে কর্মকর্তাদের একটি দল মার্কিন প্রতিনিধি দলকে ওপরে সিইসির দপ্তরে নিয়ে আসেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এটাই ইসির সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের প্রথম বৈঠক।