Dhaka বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণপরিবহন চালুর দাবি বাস-ট্রাক মালিক সমিতির

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১
  • ২৫০ জন দেখেছেন

সংগৃহীত ছবি

৩০ এপ্রিল শুক্রবার সারাদেশে গণপরিবহন চালু করে দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক মালিক সমিতি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গাবতলীতে সংগঠনটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ।

এদিকে গণপরিহন খুলে দেয়ার দাবিতে আজ একই সময়ে গাবতলী বাস টার্মিনালে সামনে মহাসড়ক অবরোধ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখলে মহাসড়কের দুইপাশে যানজট তৈরি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, গত ৫ এপ্রিল থেকে চলমান লকডাউনের কারণে সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরপর থেকেই বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ৩০ লাখ পরিবহন শ্রমিক। টার্মিনালে, রাস্তায় অলস বসে আছে কোটি কোটি টাকার বাস।

আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবহন শ্রমিকরা পরিবার-পরিজনকে নিয়ে চরম অর্থ কষ্টে দিন পার করছেন। বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন বাস মালিকরাও।

বাস-ট্রাক মালিক সমিতির চেয়ারম্যান আরো বলেন, লকডাউনের এই সময়ে বাস বন্ধ থাকলেও সিএনজি, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসের মতো ছোট ছোট যানবাহনগুলো গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করছে।

সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চালু করে দেয়া হলে যাত্রীদের আর গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হবে না। এতে যাত্রীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে। এ সময় লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাস মালিকদের জন্য স্বল্প সুদে ৫ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি আবু রায়হান, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রোটারি শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ, কার্যনির্বাহী সদস্য হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

আবহাওয়া

বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ধান্দাবাজিতে লিপ্ত হওয়া শুরু করেছে : সারজিস আলম

গণপরিবহন চালুর দাবি বাস-ট্রাক মালিক সমিতির

প্রকাশের সময় : ১০:৪৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১

৩০ এপ্রিল শুক্রবার সারাদেশে গণপরিবহন চালু করে দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক মালিক সমিতি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গাবতলীতে সংগঠনটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ।

এদিকে গণপরিহন খুলে দেয়ার দাবিতে আজ একই সময়ে গাবতলী বাস টার্মিনালে সামনে মহাসড়ক অবরোধ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখলে মহাসড়কের দুইপাশে যানজট তৈরি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, গত ৫ এপ্রিল থেকে চলমান লকডাউনের কারণে সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরপর থেকেই বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ৩০ লাখ পরিবহন শ্রমিক। টার্মিনালে, রাস্তায় অলস বসে আছে কোটি কোটি টাকার বাস।

আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবহন শ্রমিকরা পরিবার-পরিজনকে নিয়ে চরম অর্থ কষ্টে দিন পার করছেন। বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন বাস মালিকরাও।

বাস-ট্রাক মালিক সমিতির চেয়ারম্যান আরো বলেন, লকডাউনের এই সময়ে বাস বন্ধ থাকলেও সিএনজি, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসের মতো ছোট ছোট যানবাহনগুলো গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করছে।

সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চালু করে দেয়া হলে যাত্রীদের আর গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হবে না। এতে যাত্রীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে। এ সময় লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাস মালিকদের জন্য স্বল্প সুদে ৫ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি আবু রায়হান, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রোটারি শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ, কার্যনির্বাহী সদস্য হুমায়ুন কবির প্রমুখ।