Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদাবাজি, এক হাটের পশু অন্য হাটে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এক হাটের পশু জোর করে অন্য হাটে নামিয়ে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এক হাটের পশু অন্য হাটে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে র‌্যাব। এছাড়া হাটে ও বাস টার্মিনালে চাঁদাবাজি করলে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর গাবতলীতে পশুর হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম।

তিনি বলেন, আগামী ৭ জুন মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ-উল আজহা অনুষ্ঠিতের হাট কেস্তিকানিয়ার পার-৪ তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে র‌্যাব-৪ দায়িকপূর্ণ হাটে ওয়াচ টাওয়ার ও অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনসহ মিরপুর বেনারসী পল্লী এলাকা এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাট গরুর হাটে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়াও প্রায় হাটে আভিযানিক দল নিয়োগ, গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে যাতে জনসাধারণ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির স্বীকার ছাড়াই নির্বিঘ্নে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে।

পশু পরিবহনে যেকোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা এক হাটের পশু অন্য হাটে জোর করে নেওয়া বা বাধা দেওয়া, মহাসড়কে কোরবানির পশু দেওয়াসহ যেকোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে বা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে দ্রুত সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঈদযাত্রা পদক্ষেপ: ঘরমুখো মানুষ যেন নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে তাদের বাড়িতে যেতে পারে সেজন্য র‌্যাব-৪ এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঘরমুখো মানুষ যেন কোনো ছিনতাই, মলম পার্টি, জ্ঞান পার্টিসহ কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে না পড়ে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বিশেষ করে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, অজ্ঞান নবীনগর, বাইপাইল এলাকায় এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট এলাকায় নিয়মিত টহল মোতায়েন রয়েছে। বাসের টিকেট সিন্ডিকেট, কালোবাজারি কিংবা বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মতো অপরাধ প্রতিরোধে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। গতকালও গাবতলী বাস কাউন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।

বিপনী বিতানে নিরাপত্তা: আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীসহ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত শপিং কমপ্লেক্স গুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সাদা পোশাকে র‌্যাব সদস্যগণ দায়িত্ব পালন করছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় এবং যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা ও সার্বক্ষণিক টহল করা হচ্ছে।

অপরাধ প্রতিরোধ: পশু ক্রয় বিক্রয়কারী কর্তৃক জাল টাকা আদান-প্রদান বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ জাল টাকা শনাক্তকারী মেশিন স্থাপন করা হয়েছে যাতে কোনো অসাধু চক্র অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে। অজ্ঞান পার্টি এবং মলম পার্টি ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধী চক্রকে প্রতিহত করতে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গত পহেলা মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ১৭ ছিনতাইকারী গ্রেফতার করা হয়েছে।

আগাম ব্যবস্থাপনা: ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা-হামলা, যেকোনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নকারী তথ্য ও গুজব প্রতিরোধ করতে র‌্যাব-৪ প্রস্তুত রয়েছে।

পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উদযাপন ও পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। এ সময়ে তথা ঈদ পরবর্তী র‌্যাব-৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও মহল্লায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা ও যে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অপরাধ প্রতিরোধেও বিশেষ টহল ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

এছাড়াও যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাব-৪ এর পর্যাপ্ত স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স প্রস্তুত থাকবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিদ্যালয়ে নির্মাণ কাজে পুরোনা রড ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদাবাজি, এক হাটের পশু অন্য হাটে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : র‌্যাব

প্রকাশের সময় : ০৩:১২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এক হাটের পশু জোর করে অন্য হাটে নামিয়ে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এক হাটের পশু অন্য হাটে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে র‌্যাব। এছাড়া হাটে ও বাস টার্মিনালে চাঁদাবাজি করলে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর গাবতলীতে পশুর হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম।

তিনি বলেন, আগামী ৭ জুন মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ-উল আজহা অনুষ্ঠিতের হাট কেস্তিকানিয়ার পার-৪ তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে র‌্যাব-৪ দায়িকপূর্ণ হাটে ওয়াচ টাওয়ার ও অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনসহ মিরপুর বেনারসী পল্লী এলাকা এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাট গরুর হাটে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়াও প্রায় হাটে আভিযানিক দল নিয়োগ, গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে যাতে জনসাধারণ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির স্বীকার ছাড়াই নির্বিঘ্নে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে।

পশু পরিবহনে যেকোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা এক হাটের পশু অন্য হাটে জোর করে নেওয়া বা বাধা দেওয়া, মহাসড়কে কোরবানির পশু দেওয়াসহ যেকোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে বা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে দ্রুত সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঈদযাত্রা পদক্ষেপ: ঘরমুখো মানুষ যেন নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে তাদের বাড়িতে যেতে পারে সেজন্য র‌্যাব-৪ এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঘরমুখো মানুষ যেন কোনো ছিনতাই, মলম পার্টি, জ্ঞান পার্টিসহ কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে না পড়ে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বিশেষ করে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, অজ্ঞান নবীনগর, বাইপাইল এলাকায় এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট এলাকায় নিয়মিত টহল মোতায়েন রয়েছে। বাসের টিকেট সিন্ডিকেট, কালোবাজারি কিংবা বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মতো অপরাধ প্রতিরোধে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। গতকালও গাবতলী বাস কাউন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।

বিপনী বিতানে নিরাপত্তা: আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীসহ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত শপিং কমপ্লেক্স গুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সাদা পোশাকে র‌্যাব সদস্যগণ দায়িত্ব পালন করছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় এবং যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা ও সার্বক্ষণিক টহল করা হচ্ছে।

অপরাধ প্রতিরোধ: পশু ক্রয় বিক্রয়কারী কর্তৃক জাল টাকা আদান-প্রদান বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ জাল টাকা শনাক্তকারী মেশিন স্থাপন করা হয়েছে যাতে কোনো অসাধু চক্র অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে। অজ্ঞান পার্টি এবং মলম পার্টি ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধী চক্রকে প্রতিহত করতে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গত পহেলা মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ১৭ ছিনতাইকারী গ্রেফতার করা হয়েছে।

আগাম ব্যবস্থাপনা: ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা-হামলা, যেকোনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নকারী তথ্য ও গুজব প্রতিরোধ করতে র‌্যাব-৪ প্রস্তুত রয়েছে।

পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উদযাপন ও পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। এ সময়ে তথা ঈদ পরবর্তী র‌্যাব-৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও মহল্লায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা ও যে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অপরাধ প্রতিরোধেও বিশেষ টহল ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

এছাড়াও যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাব-৪ এর পর্যাপ্ত স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স প্রস্তুত থাকবে।