Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৭ বছরের শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

১১ বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন আবদুল্লাহপুর এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে আরশাদ (২২) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদায়কৃত জরিমানা আসামির স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে ভিকটিম ও তার পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমানের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রায় ঘোষণা সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় আসামি আরশাদ ওই শিশুকে পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে সিগারেট ও শ্যাম্পু আনতে বলেন। তার কথামতো সিগারেট ও শ্যাম্পু নিয়ে আসে শিশুটি। পরে তাকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন করেরগাঁওয়ের এক বাড়ির ফাঁকা ঘরে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করা হয়। শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে এ ঘটনা জানায়। তাকে প্রথমে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। ঘটনার তিন দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক মো. হামিদুল ইসলাম মামলা তদন্ত করে একই বছরের ১৬ নভেম্বর আরশাদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এর পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলায় বিচার শুরুর হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৭ বছরের শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

প্রকাশের সময় : ০২:৩০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

১১ বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন আবদুল্লাহপুর এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে আরশাদ (২২) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদায়কৃত জরিমানা আসামির স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে ভিকটিম ও তার পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমানের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রায় ঘোষণা সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় আসামি আরশাদ ওই শিশুকে পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে সিগারেট ও শ্যাম্পু আনতে বলেন। তার কথামতো সিগারেট ও শ্যাম্পু নিয়ে আসে শিশুটি। পরে তাকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন করেরগাঁওয়ের এক বাড়ির ফাঁকা ঘরে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করা হয়। শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে এ ঘটনা জানায়। তাকে প্রথমে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। ঘটনার তিন দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক মো. হামিদুল ইসলাম মামলা তদন্ত করে একই বছরের ১৬ নভেম্বর আরশাদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এর পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলায় বিচার শুরুর হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।