Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯০ দিনের মধ্যেই ধর্ষণের বিচার হতে হবে, ৯১ দিন হলেও মানব না : জামায়াতের আমির

মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : 

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আছিয়ার ঘটনায় মামলার বিচারে যে ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে, সেটা আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু সতর্ক করে দিতে চাই, এটা ৯১ দিন হলেও আমরা মানব না। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না করলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় আগে বিচার তেমন হয়নি। ধর্ষণের বিচারে আগে কয়েকটি ফাঁসি হলেও বেশির ভাগ দোষী ছাড়া পেয়ে গেছে। ধর্ষণের বিচার একমাত্র ফাঁসি।

শনিবার (১৫ মার্চ) মাগুরার সোনাইকুন্ডিতে ধর্ষণের ঘটনায় মৃত শিশুর কবর জিয়ারতের সময় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, সাত দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার জন্য অনেকে বলছেন। আমরা তাতে একমত নই। কারণ মামলার কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। সেটা সঠিক বিচারপ্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সেজন্য ৯০ দিনই ঠিক আছে।

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এসেছি আছিয়ার মা-বাবাকে সহানুভূতি জানাতে; এ পরিবারের দোয়া নিতে। আর এসেছি বুঝতে, কীভাবে এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো যায়। আমরা এ ঘটনার বিচারকার্য এবং রায় দ্রুত দেখতে চাই। এতে এই পরিবার ও বাংলাদেশের মানুষ খুশি হবে।

পরে স্থানীয় সোনাকুন্ডি প্রাথমিক স্কুল মাঠে তিনি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না করলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

অপসংস্কৃতির জন্য এগুলো (ধর্ষণের ঘটনা) দীর্ঘদিন ধরে চলছে উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ধর্ষণের বিচার একমাত্র ফাঁসি। বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় আগে বিচার তেমন হয়নি। ধর্ষণের বিচারে আগে কয়েকটি ফাঁসি হলেও বেশির ভাগ দোষী ছাড়া পেয়ে গেছে।’

এ সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়াসহ ভাঙচুরে সমর্থন করেন কি না সাংবাদিকদের পৃথক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, যেখানে বিচারপ্রক্রিয়া চলমান, সেখানে দোষী প্রমাণিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে।

ডা. শফিক বলেন, ‘সাত দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার জন্য অনেকে বলছেন। আমরা তাতে একমত নই। কারণ মামলার কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। সেটা সঠিক বিচারপ্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেয়। যে জন্য ৯০ দিনই ঠিক আছে।’

মব জাস্টিসের নামে জ্বালাও পোড়াও হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতপ্রধান বলেন, ‘মব সৃষ্টি হয়েছে। এটা থামাতে সবার সহযোগিতা লাগবে। মনে রাখতে হবে, দেশটা আমাদের সবার।’

এরপর জামায়াতের আমির জারিয়া গ্রামে আছিয়ার বাড়িতে যান। যদিও তখন আছিয়ার মা বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় আছিয়ার খালা বেগম রোকেয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পরিবারটি যেন ভালোভাবে চলতে পারে সেরকম একটা ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, জামায়াতের যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হুসাইন, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক এম.বি বাকেরসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দুপুর ১২টার দিকে জামায়াতে ইসলামীর আমির সব্দালপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

৯০ দিনের মধ্যেই ধর্ষণের বিচার হতে হবে, ৯১ দিন হলেও মানব না : জামায়াতের আমির

প্রকাশের সময় : ০২:৪৪:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : 

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আছিয়ার ঘটনায় মামলার বিচারে যে ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে, সেটা আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু সতর্ক করে দিতে চাই, এটা ৯১ দিন হলেও আমরা মানব না। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না করলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় আগে বিচার তেমন হয়নি। ধর্ষণের বিচারে আগে কয়েকটি ফাঁসি হলেও বেশির ভাগ দোষী ছাড়া পেয়ে গেছে। ধর্ষণের বিচার একমাত্র ফাঁসি।

শনিবার (১৫ মার্চ) মাগুরার সোনাইকুন্ডিতে ধর্ষণের ঘটনায় মৃত শিশুর কবর জিয়ারতের সময় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, সাত দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার জন্য অনেকে বলছেন। আমরা তাতে একমত নই। কারণ মামলার কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। সেটা সঠিক বিচারপ্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সেজন্য ৯০ দিনই ঠিক আছে।

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এসেছি আছিয়ার মা-বাবাকে সহানুভূতি জানাতে; এ পরিবারের দোয়া নিতে। আর এসেছি বুঝতে, কীভাবে এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো যায়। আমরা এ ঘটনার বিচারকার্য এবং রায় দ্রুত দেখতে চাই। এতে এই পরিবার ও বাংলাদেশের মানুষ খুশি হবে।

পরে স্থানীয় সোনাকুন্ডি প্রাথমিক স্কুল মাঠে তিনি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না করলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

অপসংস্কৃতির জন্য এগুলো (ধর্ষণের ঘটনা) দীর্ঘদিন ধরে চলছে উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ধর্ষণের বিচার একমাত্র ফাঁসি। বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় আগে বিচার তেমন হয়নি। ধর্ষণের বিচারে আগে কয়েকটি ফাঁসি হলেও বেশির ভাগ দোষী ছাড়া পেয়ে গেছে।’

এ সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়াসহ ভাঙচুরে সমর্থন করেন কি না সাংবাদিকদের পৃথক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, যেখানে বিচারপ্রক্রিয়া চলমান, সেখানে দোষী প্রমাণিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে।

ডা. শফিক বলেন, ‘সাত দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার জন্য অনেকে বলছেন। আমরা তাতে একমত নই। কারণ মামলার কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। সেটা সঠিক বিচারপ্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেয়। যে জন্য ৯০ দিনই ঠিক আছে।’

মব জাস্টিসের নামে জ্বালাও পোড়াও হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতপ্রধান বলেন, ‘মব সৃষ্টি হয়েছে। এটা থামাতে সবার সহযোগিতা লাগবে। মনে রাখতে হবে, দেশটা আমাদের সবার।’

এরপর জামায়াতের আমির জারিয়া গ্রামে আছিয়ার বাড়িতে যান। যদিও তখন আছিয়ার মা বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় আছিয়ার খালা বেগম রোকেয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পরিবারটি যেন ভালোভাবে চলতে পারে সেরকম একটা ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, জামায়াতের যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হুসাইন, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক এম.বি বাকেরসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দুপুর ১২টার দিকে জামায়াতে ইসলামীর আমির সব্দালপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।