Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে সেহরির সময় চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৬

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • ১৯৬ জন দেখেছেন

চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি : 

চাঁদপুরে লাইনের গ্যাস পাইপ লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (৯ মার্চ) ভোররাত ৪টায় সেহরির জন্য রান্নার চুলা জ্বালাতেই শহরের কোড়ালিয়া এলাকায় রুস্তম বেপারী বাড়ির ৬ তলা ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- আব্দুর রহমান সরদার, তার স্ত্রী শানু বেগম , বড় ছেলে ইমাম হোসেন, বড় ছেলের স্ত্রী খাদিজা বেগম, মেজো ছেলের বৌ নিবা ও ছোট ছেলে মহিন। এদের মধ্যে মাহিন ও নিবা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি সদস্যদের ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার ভোররাতে সেহরির জন্য খাবার গরম করতে রান্নাঘরে যান পুত্রবধূ খাদিজা বেগম। ওই সময় গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন ওই বাসার ছয়জন। তাদের মধ্যে চারজনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বাসায় ১১ জন ছিলেন। এরমধ্যে ছয়জন দগ্ধ হন। আবদুর রহমানের ছোট ছেলে রাতে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন। এতে রাতে বাসার প্রথম দরজায় তালা লাগিয়ে রাখেন। এতে করে আগুন পুরো বাসায় ছড়িয়ে পড়লে তারা বাসা থেকে বের হতে বিলম্ব হয়। প্রতিবেশীরা দরজা খোলার পরে তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।

চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফ আহমেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাহমুদুল হাসান জানান, ঢাকায় যাদের প্রেরণ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ ৫০ ভাগ ও কেউ ৬০ ভাগ পুড়ে গেছেন। চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই জনের ২০ ভাগ পুড়েছে। এখন কাউকেই শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কেয়ামত পর্যন্ত জামায়াত ক্ষমতায় আসতে পারবে না : গয়েশ্বর

চাঁদপুরে সেহরির সময় চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৬

প্রকাশের সময় : ১১:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি : 

চাঁদপুরে লাইনের গ্যাস পাইপ লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (৯ মার্চ) ভোররাত ৪টায় সেহরির জন্য রান্নার চুলা জ্বালাতেই শহরের কোড়ালিয়া এলাকায় রুস্তম বেপারী বাড়ির ৬ তলা ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- আব্দুর রহমান সরদার, তার স্ত্রী শানু বেগম , বড় ছেলে ইমাম হোসেন, বড় ছেলের স্ত্রী খাদিজা বেগম, মেজো ছেলের বৌ নিবা ও ছোট ছেলে মহিন। এদের মধ্যে মাহিন ও নিবা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি সদস্যদের ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার ভোররাতে সেহরির জন্য খাবার গরম করতে রান্নাঘরে যান পুত্রবধূ খাদিজা বেগম। ওই সময় গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন ওই বাসার ছয়জন। তাদের মধ্যে চারজনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বাসায় ১১ জন ছিলেন। এরমধ্যে ছয়জন দগ্ধ হন। আবদুর রহমানের ছোট ছেলে রাতে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন। এতে রাতে বাসার প্রথম দরজায় তালা লাগিয়ে রাখেন। এতে করে আগুন পুরো বাসায় ছড়িয়ে পড়লে তারা বাসা থেকে বের হতে বিলম্ব হয়। প্রতিবেশীরা দরজা খোলার পরে তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।

চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফ আহমেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাহমুদুল হাসান জানান, ঢাকায় যাদের প্রেরণ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ ৫০ ভাগ ও কেউ ৬০ ভাগ পুড়ে গেছেন। চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই জনের ২০ ভাগ পুড়েছে। এখন কাউকেই শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।