Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে সম্প্রতি হামলা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সহকারী হাইকমিশনে ভাঙচুর চালায় এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করে। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছিল ঢাকা ও নয়াদিল্লি। এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়েও উঠে এসেছে প্রসঙ্গটি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলার ঘটনা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ সফর করেছেন। এবং ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই সম্প্রতি ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশনের ওপর সহিংস হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হামলার সেই ঘটনা এবং বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে (ভারত থেকে) ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী বক্তব্য সম্পর্কে আপনার কোনও মন্তব্য আছে?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আশা করে— বাংলাদেশ ও ভারত শান্তিপূর্ণভাবে তাদের মধ্যকার বিবাদমান মতপার্থক্য দূর করবে। তার ভাষায়, “দেখুন, সব পক্ষ তাদের মতবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করুক, এটিই আমরা দেখতে চাই।”

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিসহ ব্যাপক বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কথিত নিপীড়নের নিন্দা এবং ইসকন সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর মুক্তি দাবির নামে সেখানে তাণ্ডব চালায়।

আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের ব্যানারেই সেখানে হামলা ও তাণ্ডবের সময় এই ভাঙচুর ও হাইকমিশন অফিসের পতাকা ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে।

মূলত বিক্ষোভের নামে হাইকমিশনের সামনে জড়ো হওয়ার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে একটি দল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। তবে একপর্যায়ে ওই গ্রুপের কিছু সদস্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘন করে, হাইকমিশন চত্বরে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অপমান করে।

এই ঘটনায় এক বিবৃতিতে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আগরতলার ঘটনাটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত এবং বিক্ষোভকারীদের হাইকমিশন প্রাঙ্গণে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল।

একইসঙ্গে সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হামলার এই ঘটনাকে ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ত্রিশাল জিরো পয়েন্ট-হরিরামপুর সড়কটি যেন মরণফাঁদ

আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ১২:৪৮:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে সম্প্রতি হামলা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সহকারী হাইকমিশনে ভাঙচুর চালায় এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করে। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছিল ঢাকা ও নয়াদিল্লি। এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়েও উঠে এসেছে প্রসঙ্গটি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলার ঘটনা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ সফর করেছেন। এবং ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই সম্প্রতি ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশনের ওপর সহিংস হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হামলার সেই ঘটনা এবং বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে (ভারত থেকে) ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী বক্তব্য সম্পর্কে আপনার কোনও মন্তব্য আছে?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আশা করে— বাংলাদেশ ও ভারত শান্তিপূর্ণভাবে তাদের মধ্যকার বিবাদমান মতপার্থক্য দূর করবে। তার ভাষায়, “দেখুন, সব পক্ষ তাদের মতবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করুক, এটিই আমরা দেখতে চাই।”

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিসহ ব্যাপক বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কথিত নিপীড়নের নিন্দা এবং ইসকন সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর মুক্তি দাবির নামে সেখানে তাণ্ডব চালায়।

আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের ব্যানারেই সেখানে হামলা ও তাণ্ডবের সময় এই ভাঙচুর ও হাইকমিশন অফিসের পতাকা ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে।

মূলত বিক্ষোভের নামে হাইকমিশনের সামনে জড়ো হওয়ার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে একটি দল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। তবে একপর্যায়ে ওই গ্রুপের কিছু সদস্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘন করে, হাইকমিশন চত্বরে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অপমান করে।

এই ঘটনায় এক বিবৃতিতে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আগরতলার ঘটনাটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত এবং বিক্ষোভকারীদের হাইকমিশন প্রাঙ্গণে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল।

একইসঙ্গে সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হামলার এই ঘটনাকে ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।