Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিশু সামিউল হত্যা : পরকীয়া প্রেমিকসহ মায়ের মৃত্যুদণ্ড

সামিউল ও তার মা

২০১০ সালের ২৩ জুন রাজধানীর আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকায় পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক কোনো ঘটনা দেখে ফেলায় সামিউলকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে ঢোকানো হয়। পরে লাশটি বস্তায় ঢুকিয়ে ২০১০ সালের ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। একই দিন ওই এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।

শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যা মামলায় সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও এশার পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে দুই আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মামলার দুই আসামি আয়েশা হুমায়রা এশা ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারক দুপুর ১২টা ৩৩ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন। দুপুর ১২টা ৫৮ মিনিটে বিচারক দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর এ মামলার রায়ের জন্য ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত রায়ের দিন পিছিয়ে ২০ ডিসেম্বর ধার্য করেন। তার আগে গত ২৩ নভেম্বর আদালত যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

আরও পড়ুন : ফেনসিডিলসহ উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও এশার পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলাটিতে ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। বর্তমানে মামলার দুই আসামি বাক্কু ও এশা পলাতক। এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন আসামি এশা জামিন নেন। এরপর তিনি আর আদালতে হাজির হননি। পরে আদালত পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

ওই ঘটনায় সামিউলের পিতা কে এ আজম বাদী হয়ে ওই দিন আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় এশা এবং বাক্কু উভয়েই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আদালতে। এরপর জামিন নিয়ে আর আদালতে হাজির হননি দুই আসামি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ৩

শিশু সামিউল হত্যা : পরকীয়া প্রেমিকসহ মায়ের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৪:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০

২০১০ সালের ২৩ জুন রাজধানীর আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকায় পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক কোনো ঘটনা দেখে ফেলায় সামিউলকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে ঢোকানো হয়। পরে লাশটি বস্তায় ঢুকিয়ে ২০১০ সালের ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। একই দিন ওই এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।

শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যা মামলায় সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও এশার পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে দুই আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মামলার দুই আসামি আয়েশা হুমায়রা এশা ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারক দুপুর ১২টা ৩৩ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন। দুপুর ১২টা ৫৮ মিনিটে বিচারক দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর এ মামলার রায়ের জন্য ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত রায়ের দিন পিছিয়ে ২০ ডিসেম্বর ধার্য করেন। তার আগে গত ২৩ নভেম্বর আদালত যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

আরও পড়ুন : ফেনসিডিলসহ উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও এশার পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলাটিতে ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। বর্তমানে মামলার দুই আসামি বাক্কু ও এশা পলাতক। এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন আসামি এশা জামিন নেন। এরপর তিনি আর আদালতে হাজির হননি। পরে আদালত পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

ওই ঘটনায় সামিউলের পিতা কে এ আজম বাদী হয়ে ওই দিন আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় এশা এবং বাক্কু উভয়েই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আদালতে। এরপর জামিন নিয়ে আর আদালতে হাজির হননি দুই আসামি।