Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করতে আইজিপিকে চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) চিঠি দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।

রোববার (৯ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের পক্ষ থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হয়।

এর আগে ১০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরোনো ভবনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ গণহত্যার অভিযুক্ত পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।

এ সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দেওয়া আওয়ামী লীগের অভিযোগ সরকার আমলে নিচ্ছে না জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতেই সরকারের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অভিযোগটি কোনোভাবেই গৃহীত হওয়ার কারণ নেই।

আসিফ নজরুল আরও বলেন, এটা কোনো মামলা না, এটা আইসিসির প্রসিকিউশন অফিসকে একটা পিটিশন লিখে জানানো। এটা পৃথিবীর যে কোনো মানুষ করতে পারে। এটা এতই একটা অবিশ্বাস্য ও বস্তুনিষ্টহীনতামূলক মামলা, কোনোভাবেই এটার রিট হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটা ফ্যাসিস্টচক্র বিশ্ব জনমতকে, বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য মিথ্যা প্রচারণার চালানোর উপায় হিসেবে এ মামলা করেছে।

গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অন্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়, তারা হলেন– শেখ হাসিনা বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, দীপু মনি, আ ক ম মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক র‌্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ড. জাফর ইকবাল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ ৪৬ জন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অপর দুই জন হলেন– বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে পৃথক মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেব না : নাহিদ ইসলাম

হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করতে আইজিপিকে চিঠি

প্রকাশের সময় : ০১:২০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) চিঠি দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।

রোববার (৯ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের পক্ষ থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হয়।

এর আগে ১০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরোনো ভবনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ গণহত্যার অভিযুক্ত পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।

এ সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দেওয়া আওয়ামী লীগের অভিযোগ সরকার আমলে নিচ্ছে না জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতেই সরকারের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অভিযোগটি কোনোভাবেই গৃহীত হওয়ার কারণ নেই।

আসিফ নজরুল আরও বলেন, এটা কোনো মামলা না, এটা আইসিসির প্রসিকিউশন অফিসকে একটা পিটিশন লিখে জানানো। এটা পৃথিবীর যে কোনো মানুষ করতে পারে। এটা এতই একটা অবিশ্বাস্য ও বস্তুনিষ্টহীনতামূলক মামলা, কোনোভাবেই এটার রিট হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটা ফ্যাসিস্টচক্র বিশ্ব জনমতকে, বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য মিথ্যা প্রচারণার চালানোর উপায় হিসেবে এ মামলা করেছে।

গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অন্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়, তারা হলেন– শেখ হাসিনা বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, দীপু মনি, আ ক ম মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক র‌্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ড. জাফর ইকবাল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ ৪৬ জন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অপর দুই জন হলেন– বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে পৃথক মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।