Dhaka সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজার রেকর্ড সেঞ্চুরিতে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড জিম্বাবুয়ের

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৯৯ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে আফ্রিকার উপ-আঞ্চলিক বাছাইপর্বের ম্যাচ চলছে। যেখানে জিম্বাবুয়ের রান উৎসব চলছেই। এবার সেই রান উৎসবে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ তো বটেই, একই সঙ্গে আর্ন্তজার্তিক টি-টোয়েন্টি রান সংগ্রহের বিশ্বরেকর্ড করে ইতিহাস গড়েছেন জিম্বাবুয়ে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) নাইরোবিতে বিশ্বকাপ বাছাইতে গাম্বিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে রেকর্ড গড়ার পথে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ৩৩ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ৪৩ বলে ১৫ ছক্কা ও ৭ চারে অপরাজিত ১৩৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া ঝড়ো ফিফটি করেন তিন জন।

সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে আগে সর্বোচ্চ ৩১৪ রান ছিলো নেপালের। যা এতদিন ছিলো সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে করে তারা। এখন নেপালকে দ্বিতীয়তে ফেলে ৩৪৪ রান করে এই তালিকার শীর্ষে জিম্বাবুয়ে।

জিম্বাবুয়ের ইনিংসে এদিন ছক্কা হয়েছে মোট ২৭টি। এটিও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের ২৬ ছক্কা ছিল আগের সর্বোচ্চ।

রাজার ১৫ ছক্কা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর তার ৩৩ বলে সেঞ্চুরি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্রায়ান বেনেট ও টাডিওয়ানাশে মারুমানির ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করে জিম্বাবুয়ে। পাওয়ার প্লেতে তারা করে ১ উইকেটে ১০৩ রান।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ এটি। গত মাসে এডিনবরায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে রান তাড়ায় প্রথম ৬ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার ১১৩ রান সর্বোচ্চ।

মারুমানি ফিফটি করেন স্রেফ ১৩ বলে। জিম্বাবুয়ের হয়ে দ্রুততম ও সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক টোয়েন্টিতে যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম ফিফটি এটি।

৯ চার ও ৪ ছক্কায় ১৯ বলে ৬২ রান করে ষষ্ঠ ওভারে বিদায় নেন মারুমানি।

তিনে নেমে ৫ বলে ১২ রান করে ফেরেন ডিওন মায়ার্স। বেনেট ২৬ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় করেন ৫০ রান। পাঁচে নেমে ১১ বলে ২৫ রান করেন রায়ান বার্ল। চারে নামা রাজার পঞ্চাশ ছুঁতে লাগে ২০ বল। পরের ১৩ বলে তিনি পূর্ণ করেন শতক।

এই সংস্করণে জিম্বাবুয়ের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হলেন রাজা। কদিন আগে রুয়ান্ডার বিপক্ষে ডিওন মায়ার্সের ৯৬ ছিল আগের সর্বোচ্চ। ছয় নম্বরে নেমে ১৭ বলে ৫ ছক্কা ও ৩ চারে ৫৩ রানে অপরাজিত রয়ে যান ক্লাইভ মাডান্ডে। পঞ্চম উইকেটে তিনি ও রাজা মিলে ১৪১ রানের জুটি গড়েন কেবল ৪০ বলে।

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় স্রেফ ৫৪ রানে গুটিয়ে যায় গাম্বিয়া। জিম্বাবুয়ে পায় ২৯০ রানের জয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসাবে সবচেয়ে বড় জয় এটি। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের ২৭৩ রানে জয় ছিল আগের রেকর্ড।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে ব্যবস্থা নেবে দুদক : দুদক চেয়ারম্যান

রাজার রেকর্ড সেঞ্চুরিতে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড জিম্বাবুয়ের

প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে আফ্রিকার উপ-আঞ্চলিক বাছাইপর্বের ম্যাচ চলছে। যেখানে জিম্বাবুয়ের রান উৎসব চলছেই। এবার সেই রান উৎসবে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ তো বটেই, একই সঙ্গে আর্ন্তজার্তিক টি-টোয়েন্টি রান সংগ্রহের বিশ্বরেকর্ড করে ইতিহাস গড়েছেন জিম্বাবুয়ে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) নাইরোবিতে বিশ্বকাপ বাছাইতে গাম্বিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে রেকর্ড গড়ার পথে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ৩৩ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ৪৩ বলে ১৫ ছক্কা ও ৭ চারে অপরাজিত ১৩৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া ঝড়ো ফিফটি করেন তিন জন।

সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে আগে সর্বোচ্চ ৩১৪ রান ছিলো নেপালের। যা এতদিন ছিলো সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে করে তারা। এখন নেপালকে দ্বিতীয়তে ফেলে ৩৪৪ রান করে এই তালিকার শীর্ষে জিম্বাবুয়ে।

জিম্বাবুয়ের ইনিংসে এদিন ছক্কা হয়েছে মোট ২৭টি। এটিও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের ২৬ ছক্কা ছিল আগের সর্বোচ্চ।

রাজার ১৫ ছক্কা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর তার ৩৩ বলে সেঞ্চুরি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্রায়ান বেনেট ও টাডিওয়ানাশে মারুমানির ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করে জিম্বাবুয়ে। পাওয়ার প্লেতে তারা করে ১ উইকেটে ১০৩ রান।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ এটি। গত মাসে এডিনবরায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে রান তাড়ায় প্রথম ৬ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার ১১৩ রান সর্বোচ্চ।

মারুমানি ফিফটি করেন স্রেফ ১৩ বলে। জিম্বাবুয়ের হয়ে দ্রুততম ও সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক টোয়েন্টিতে যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম ফিফটি এটি।

৯ চার ও ৪ ছক্কায় ১৯ বলে ৬২ রান করে ষষ্ঠ ওভারে বিদায় নেন মারুমানি।

তিনে নেমে ৫ বলে ১২ রান করে ফেরেন ডিওন মায়ার্স। বেনেট ২৬ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় করেন ৫০ রান। পাঁচে নেমে ১১ বলে ২৫ রান করেন রায়ান বার্ল। চারে নামা রাজার পঞ্চাশ ছুঁতে লাগে ২০ বল। পরের ১৩ বলে তিনি পূর্ণ করেন শতক।

এই সংস্করণে জিম্বাবুয়ের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হলেন রাজা। কদিন আগে রুয়ান্ডার বিপক্ষে ডিওন মায়ার্সের ৯৬ ছিল আগের সর্বোচ্চ। ছয় নম্বরে নেমে ১৭ বলে ৫ ছক্কা ও ৩ চারে ৫৩ রানে অপরাজিত রয়ে যান ক্লাইভ মাডান্ডে। পঞ্চম উইকেটে তিনি ও রাজা মিলে ১৪১ রানের জুটি গড়েন কেবল ৪০ বলে।

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় স্রেফ ৫৪ রানে গুটিয়ে যায় গাম্বিয়া। জিম্বাবুয়ে পায় ২৯০ রানের জয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসাবে সবচেয়ে বড় জয় এটি। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের ২৭৩ রানে জয় ছিল আগের রেকর্ড।