Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের বাজারে দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২২:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৯২ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের বাজারে দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। দুই-তিন সপ্তাহ ধরেই ডিম কিনতে কষ্ট হচ্ছে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের। খুচরায় একটি ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ১৪ টাকা, হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানে একটি ডিম ১৫ টাকাও বিক্রি হতে দেখা গেছে। সে হিসাবে হালি ও ডজনের দাম দাঁড়ায় আরও বেশি। ডজন ১৭০ টাকাও উঠেছে। দাম নাগালে আসছে না বরং আরও অস্থিতিশীল হওয়ার কথা বলছেন খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা। ডিমের সঙ্গে সবজি ও মুরগির দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। পেঁয়াজ-আলুর মতো অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমারও কোনো সুখবর নেই।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুওে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের সবজি দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি প্রতি কেজি কচুরমুখী ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ১০০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির মধ্যে শিমের কেজি ২৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা ও গাজর ১৬০ টাকা। লেবুর হালি ২০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

বাজারগুলোতে লাল শাকের আঁটি ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ২০ টাকা আঁটিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আলুর কেজি ৬০ টাকা।

গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিডের কেজি ২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩১০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা।

এসব বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। মুরগির এক ডজন লাল ডিম ১৬০ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন ১৯০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকা।

সরবরাহ বাড়লেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। আকারভেদে ইলিশের কেজি ৯০০ টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৩৩০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা এক হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে পাঁচ কেজি সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মসুর ডালের কেজি ১৪০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

দেশের বাজারে দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

প্রকাশের সময় : ০৩:২২:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের বাজারে দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। দুই-তিন সপ্তাহ ধরেই ডিম কিনতে কষ্ট হচ্ছে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের। খুচরায় একটি ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ১৪ টাকা, হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানে একটি ডিম ১৫ টাকাও বিক্রি হতে দেখা গেছে। সে হিসাবে হালি ও ডজনের দাম দাঁড়ায় আরও বেশি। ডজন ১৭০ টাকাও উঠেছে। দাম নাগালে আসছে না বরং আরও অস্থিতিশীল হওয়ার কথা বলছেন খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা। ডিমের সঙ্গে সবজি ও মুরগির দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। পেঁয়াজ-আলুর মতো অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমারও কোনো সুখবর নেই।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুওে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের সবজি দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি প্রতি কেজি কচুরমুখী ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ১০০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির মধ্যে শিমের কেজি ২৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা ও গাজর ১৬০ টাকা। লেবুর হালি ২০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

বাজারগুলোতে লাল শাকের আঁটি ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ২০ টাকা আঁটিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আলুর কেজি ৬০ টাকা।

গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিডের কেজি ২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩১০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা।

এসব বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। মুরগির এক ডজন লাল ডিম ১৬০ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন ১৯০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকা।

সরবরাহ বাড়লেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। আকারভেদে ইলিশের কেজি ৯০০ টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৩৩০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা এক হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে পাঁচ কেজি সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মসুর ডালের কেজি ১৪০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।