Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রুকের সেঞ্চুরিতে সিরিজে টিকে রইলো ইংল্যান্ড

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:০৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৯৯ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

প্রথম দুই ম্যাচেই হারার পর তৃতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয়টিতে দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকান হ্যারি ব্রুক। সঙ্গে উইল জ্যাকসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৪৬ রানের জয় পায় ইংলিশরা। টানা ১৪ ম্যাচ পর বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জয়রথ থামাল তারা।

রিভারসাইড গ্রাউন্ডে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৪ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। জবাব দিতে নেমে ৩৭.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫৪ রান তুলে স্বাগতিকরা। এরপর বৃষ্টির কারণে খেলা আর হয়নি। পরে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চেস্টার-লি-স্ট্রিটের রিভারসাইড গ্রাউন্ডে টস জিতে এ দিন বোলিং নেয় ইংল্যান্ড। কন্ডিশনই ছিল অমন। মেঘলা আকাশের নিচে পেসাররা সহায়তা পেয়েছে বেশ।

দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ট্রাভিস হেড এ দিন ছিলেন বিশ্রামে। ওপেন করতে নেমে ম্যাথু শর্ট একটি করে চার ও ছক্কা মেরে ১২ রানেই আউট হয়ে যান। আরেক ওপেনার অধিনায়ক মার্শ ফেরেন ২৪ রানে।

স্টিভেন স্মিথ ও ক্যামেরন গ্রিন জুটি বেধে দলকে টেনে নেন অনেকটা। তৃতীয় উইকেটে ৮৪ রান যোগ করেন দুজন। এই জুটি ভাঙার পর অস্ট্রেলিয়ান ইনিংসের ভিত নড়বড়ে হয়ে পড়ে। ৪২ রান করা গ্রিনকে ফেরান জেকব বেথেল। পরের ওভারেই মানার্স লাবুশেন ফেরেন কোনো রান না করে।

৮২ বলে ৬০ রান করে স্মিথ যখন আউট হন, ৩৫তম ওভারে অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ৫ উইকেটে ১৭২। সেখান থেকে তারা ঘুরে দাঁড়ায় পরের সময়টায়। কেয়ারি এক প্রান্তে দারুণ খেলতে থাকেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল স্বভাবজাত ব্যাটিংয়ে ২৫ বলে করেন ৩০। শেষ সময়ে অ্যারন হার্ডি করেন ২৬ বলে ৪৪।

৪৮ বলে ফিফটি করা কেয়ারিও শেষ সময়ে দ্রুত রান তোলেন আরও। শেষ ১০ ওভারে ১০৪ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। আগের ম্যাচে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে ৬৭ বলে ৭৪ রান করা কেয়ারি এবার করেন ৬৫ বলে ৭৭। অথচ জশ ইংলিশ ফিট থাকলে তিনি খেলারই সুযোগ পেতেন না।

সেই পুঁজি নিয়েও অবশ্য লড়াই করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। অসুস্থতার কারণে তারা এই ম্যাচে পায়নি দলের সেরা বোলার অ্যাডাম জ্যাম্পাকে। বোলিং আক্রমণ সাজায় তারা স্রেফ তিনজন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে-মিচেল স্টার্ক, জশ হেইজেলউড ও শন অ্যাবট। সঙ্গে ছিলন হার্ডি, গ্রিন, ম্যাক্সওয়েলের মতো অলরাউন্ডাররা।

ম্যাচের দ্বিতীয়ভাগে উইকেটও সহজ হয়ে আসে অনেক। আর ব্রুক ও জ্যাকসের দুর্দান্ত ব্যাটিং তো ছিলই। সব মিলিয়ে সুবিধা করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। শুরুটা যদিও দুর্দান্ত করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই তিনি ফিরিয়ে দেন দুই ইংলিশ ওপেসার ফিল সল্ট ও বেন ডাকেটকে।

জ্যাকস ও ব্রুকস ক্রিজে গিয়ে শুরুতে সময় নেন কিছুটা। এরপর শট খেলতে শুরু করেন দুজন। ঝুঁখির পথ বেছে নেননি কেউই, ক্রিকেটীয় শটেই তারা নাস্তানাবুদ করেন অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের।

তাদের জুটিই ম্যাচের ভাগ্য একরকম গড়ে দেয়। ১৪৮ বলে ১৫৬ রান যোগ করেন দুজন। পরে অবশ্য শর্ট বলের কৌশলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে অস্ট্রেলিয়া। গ্রিনের শর্ট বলে জ্যাকস বিদায় নেন ৮২ বলে ৮৪ করে। গ্রিনের আরেকটি শর্ট বল দ্রুত ফেরায় জেমি স্মিথকে।

কিন্তু ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টোনের সামনে কাজে লাগেনি সেই কৌশল। পুল, কাট ও আপার কাট খেলে পাল্টা জবাব দেন দুজন। পরে মিচেল স্টার্ক আক্রমণে ফিরেও কিছু করতে পারেননি। ৫৪ বলে ফিফটি করা ব্রুক পরের পঞ্চাশে ছুটে যান স্রেফ ৩৩ বল খেলেই। তাকে থামাতেই পারেনি অস্ট্রেলিয়া। লিভিংস্টোন তিন ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ২০ বলে ৩৩ করে।

সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ লর্ডসে শুক্রবার, শেষটি ব্রিস্টলে রোববার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ব্রুকের সেঞ্চুরিতে সিরিজে টিকে রইলো ইংল্যান্ড

প্রকাশের সময় : ০১:০৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

প্রথম দুই ম্যাচেই হারার পর তৃতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয়টিতে দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকান হ্যারি ব্রুক। সঙ্গে উইল জ্যাকসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৪৬ রানের জয় পায় ইংলিশরা। টানা ১৪ ম্যাচ পর বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জয়রথ থামাল তারা।

রিভারসাইড গ্রাউন্ডে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৪ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। জবাব দিতে নেমে ৩৭.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫৪ রান তুলে স্বাগতিকরা। এরপর বৃষ্টির কারণে খেলা আর হয়নি। পরে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চেস্টার-লি-স্ট্রিটের রিভারসাইড গ্রাউন্ডে টস জিতে এ দিন বোলিং নেয় ইংল্যান্ড। কন্ডিশনই ছিল অমন। মেঘলা আকাশের নিচে পেসাররা সহায়তা পেয়েছে বেশ।

দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ট্রাভিস হেড এ দিন ছিলেন বিশ্রামে। ওপেন করতে নেমে ম্যাথু শর্ট একটি করে চার ও ছক্কা মেরে ১২ রানেই আউট হয়ে যান। আরেক ওপেনার অধিনায়ক মার্শ ফেরেন ২৪ রানে।

স্টিভেন স্মিথ ও ক্যামেরন গ্রিন জুটি বেধে দলকে টেনে নেন অনেকটা। তৃতীয় উইকেটে ৮৪ রান যোগ করেন দুজন। এই জুটি ভাঙার পর অস্ট্রেলিয়ান ইনিংসের ভিত নড়বড়ে হয়ে পড়ে। ৪২ রান করা গ্রিনকে ফেরান জেকব বেথেল। পরের ওভারেই মানার্স লাবুশেন ফেরেন কোনো রান না করে।

৮২ বলে ৬০ রান করে স্মিথ যখন আউট হন, ৩৫তম ওভারে অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ৫ উইকেটে ১৭২। সেখান থেকে তারা ঘুরে দাঁড়ায় পরের সময়টায়। কেয়ারি এক প্রান্তে দারুণ খেলতে থাকেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল স্বভাবজাত ব্যাটিংয়ে ২৫ বলে করেন ৩০। শেষ সময়ে অ্যারন হার্ডি করেন ২৬ বলে ৪৪।

৪৮ বলে ফিফটি করা কেয়ারিও শেষ সময়ে দ্রুত রান তোলেন আরও। শেষ ১০ ওভারে ১০৪ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। আগের ম্যাচে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে ৬৭ বলে ৭৪ রান করা কেয়ারি এবার করেন ৬৫ বলে ৭৭। অথচ জশ ইংলিশ ফিট থাকলে তিনি খেলারই সুযোগ পেতেন না।

সেই পুঁজি নিয়েও অবশ্য লড়াই করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। অসুস্থতার কারণে তারা এই ম্যাচে পায়নি দলের সেরা বোলার অ্যাডাম জ্যাম্পাকে। বোলিং আক্রমণ সাজায় তারা স্রেফ তিনজন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে-মিচেল স্টার্ক, জশ হেইজেলউড ও শন অ্যাবট। সঙ্গে ছিলন হার্ডি, গ্রিন, ম্যাক্সওয়েলের মতো অলরাউন্ডাররা।

ম্যাচের দ্বিতীয়ভাগে উইকেটও সহজ হয়ে আসে অনেক। আর ব্রুক ও জ্যাকসের দুর্দান্ত ব্যাটিং তো ছিলই। সব মিলিয়ে সুবিধা করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। শুরুটা যদিও দুর্দান্ত করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই তিনি ফিরিয়ে দেন দুই ইংলিশ ওপেসার ফিল সল্ট ও বেন ডাকেটকে।

জ্যাকস ও ব্রুকস ক্রিজে গিয়ে শুরুতে সময় নেন কিছুটা। এরপর শট খেলতে শুরু করেন দুজন। ঝুঁখির পথ বেছে নেননি কেউই, ক্রিকেটীয় শটেই তারা নাস্তানাবুদ করেন অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের।

তাদের জুটিই ম্যাচের ভাগ্য একরকম গড়ে দেয়। ১৪৮ বলে ১৫৬ রান যোগ করেন দুজন। পরে অবশ্য শর্ট বলের কৌশলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে অস্ট্রেলিয়া। গ্রিনের শর্ট বলে জ্যাকস বিদায় নেন ৮২ বলে ৮৪ করে। গ্রিনের আরেকটি শর্ট বল দ্রুত ফেরায় জেমি স্মিথকে।

কিন্তু ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টোনের সামনে কাজে লাগেনি সেই কৌশল। পুল, কাট ও আপার কাট খেলে পাল্টা জবাব দেন দুজন। পরে মিচেল স্টার্ক আক্রমণে ফিরেও কিছু করতে পারেননি। ৫৪ বলে ফিফটি করা ব্রুক পরের পঞ্চাশে ছুটে যান স্রেফ ৩৩ বল খেলেই। তাকে থামাতেই পারেনি অস্ট্রেলিয়া। লিভিংস্টোন তিন ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ২০ বলে ৩৩ করে।

সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ লর্ডসে শুক্রবার, শেষটি ব্রিস্টলে রোববার।