Dhaka শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে গেলেও পেতাত্মারা এখনো দেশে অবস্থান করছে : তারেক রহমান

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা যে বিপ্লব ঘটিয়েছেন তা অবিস্মরণীয়। ২০২৪-এর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা তিনি বলেন, শহীদদের যে আত্মত্যাগ তা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে গেলেও পেতাত্মারা এখনো দেশে অবস্থান করছে। তাদেরকে চিহ্নত করে প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলকুচি, চৌহালী ও এনায়েতপুর থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ঐতিহাসিক স্মরণসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ২৪-এর গণবিপ্লব ছিল ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার যুদ্ধ আমরা দেশকে আজ স্বৈরাচারমুক্ত করতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য অল্প একটু অর্জন করেছি। আমাদের আরো অনেক পথ বাকি আছে। এই পথ সঠিকভাবে পাড়ি দিতে হবে। এতে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, যখন দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি ব্যবস্থা থাকবে, তখন যারাই সরকার পরিচালনা করবে তারা জনগণের কথা চিন্তা করবে। এ কারণে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের এত ত্যাগ-তিতীক্ষা ও আন্দোলন।

তারেক রহমান বলেন, বিজয়ের অল্প একটু অর্জন হয়েছে, আরও সামনে যেতে হবে। আরও পথ পাড়ি দিতে হবে। সেটা করতে পারলে মানুষের অধিকার অর্জন হবে। এনায়েতপুরের মানুষের আত্মদানে হাসিনার পতন হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণের জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য এত ত্যাগ-আন্দোলন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন বলেন, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হলে বিএনপির ৩১ দফা সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না। মানুষের রাজনৈতিক অধিকার অর্জন করতে হবে। মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, শুধু রাজনৈতিক মুক্তির অর্জন ফলপ্রসূ করতে হলে অর্থনৈতিক মুক্তি লাগবে। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলে, এই অর্জন সম্ভব হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাঁত শিল্পের পেছনে এসে দাঁড়াবে। এখান থেকে উৎপাদিত পণ্য বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে বাংলাদেশের মানুষের যে আশা ও প্রত্যাশা সেই আশা-প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হব। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই। আমরা কিছু যুক্তি উপস্থাপন করেছি, কিন্তু এর বাইরেও অনেক কাজ করতে হবে। দেশে রাজনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির পথও বের করে হবে। যদি আমরা জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে পারি, তাহলে আমরা অর্থনৈতিকসহ সব দিক থেকেই মুক্তি পেতে সফল হব।

তারেক রহমান বলেন, আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছি, মূলত বাংলাদেশের মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আজ যারা আছেন এই মানুষগুলোর মধ্যে অনেককেই আমরা হারিয়েছি, অনেকেই শারীরিকভাবে আহত হয়েছেন তাদের সবার আত্মত্যাগের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা।

বেলকুচি, চৌহালী ও এনায়েতপুরের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, আমরা যদি এই এলাকার দিকে তাকাই তাহলে আমরা সম্ভাবনাময় একটি এলাকা দেখতে পাই। সিরাজগঞ্জের নাম আসলেই সামনে ভেসে ওঠে তাঁতশিল্পের কথা। এই পেশার সাথে অসংখ্য মানুষ যুক্ত। এর আগেও কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী কৃষি ঋণ মওকুফসহ অনেক কিছু করেছিলেন। আমার ইচ্ছা, বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করলে এই তাঁতশিল্পের পাশে এসে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ। সারা পৃথিবীর নানান প্রান্তে বাংলাদেশিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাদের মাধ্যমে এই শিল্পকে কীভাবে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সেই চেষ্টা আমরা করব।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চৌহালীর চীনাবাদামকে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, কেন এই কৃষকদের পাশে সরকার দাঁড়াবে না, কেন এই চীনাবাদাম ছড়িয়ে দেওয়া হবে না। আমরা চেষ্টা করব এই চীনাবাদাম বিদেশে রপ্তানি করতে। তখন বৃহৎ আকারে চাষ হলে অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। বাংলাদেশের রসুনও রপ্তানি করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আমি বগুড়া যাওয়ার সময় সিরাজগঞ্জে মাঠের পর মাঠ হুলুদে ঢাকা দেখতাম। এই সরিষাও বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যতদিন আমরা আমাদের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি থেকে শুরু করে সকল ফসল ঘরে না তুলতে পারি, ততদিন আমাদের এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আমরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম যে মানুষগুলো আত্মত্যাগ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ আপনাদের প্রতি তাকিয়ে আছে, তাই দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীদের সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে।

এর আগে স্মরণসভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এটা দারুন একটা সিদ্ধান্ত ছিল। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে না যাওয়া নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছিল। কিন্তু পরে সবাই বুঝতে পেরেছে তারেক রহমানের সেই সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে গুম করছে, একের পর এক গুম-খুনের মধ্যে দিয়ে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে নিহত ও আহতদের স্মরণ করছি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, এই আন্দোলনে তরুণদের একটা বড় ভূমিকা আছে। এই ভূমিকায় আছেন তারেক রহমানও।

বৃষ্টির কারণে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে তিনি বলেন, আমি কথা বাড়াব না। শুধু বলি, একটা উত্তাল আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়েছেন।

এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেও বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা বৃষ্টিতে ভিজে নানান স্লোগান দিতে থাকেন।

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে গেলেও পেতাত্মারা এখনো দেশে অবস্থান করছে : তারেক রহমান

প্রকাশের সময় : ০৮:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা যে বিপ্লব ঘটিয়েছেন তা অবিস্মরণীয়। ২০২৪-এর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা তিনি বলেন, শহীদদের যে আত্মত্যাগ তা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে গেলেও পেতাত্মারা এখনো দেশে অবস্থান করছে। তাদেরকে চিহ্নত করে প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলকুচি, চৌহালী ও এনায়েতপুর থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ঐতিহাসিক স্মরণসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ২৪-এর গণবিপ্লব ছিল ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার যুদ্ধ আমরা দেশকে আজ স্বৈরাচারমুক্ত করতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য অল্প একটু অর্জন করেছি। আমাদের আরো অনেক পথ বাকি আছে। এই পথ সঠিকভাবে পাড়ি দিতে হবে। এতে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, যখন দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি ব্যবস্থা থাকবে, তখন যারাই সরকার পরিচালনা করবে তারা জনগণের কথা চিন্তা করবে। এ কারণে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের এত ত্যাগ-তিতীক্ষা ও আন্দোলন।

তারেক রহমান বলেন, বিজয়ের অল্প একটু অর্জন হয়েছে, আরও সামনে যেতে হবে। আরও পথ পাড়ি দিতে হবে। সেটা করতে পারলে মানুষের অধিকার অর্জন হবে। এনায়েতপুরের মানুষের আত্মদানে হাসিনার পতন হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণের জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য এত ত্যাগ-আন্দোলন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন বলেন, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হলে বিএনপির ৩১ দফা সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না। মানুষের রাজনৈতিক অধিকার অর্জন করতে হবে। মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, শুধু রাজনৈতিক মুক্তির অর্জন ফলপ্রসূ করতে হলে অর্থনৈতিক মুক্তি লাগবে। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলে, এই অর্জন সম্ভব হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাঁত শিল্পের পেছনে এসে দাঁড়াবে। এখান থেকে উৎপাদিত পণ্য বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে বাংলাদেশের মানুষের যে আশা ও প্রত্যাশা সেই আশা-প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হব। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই। আমরা কিছু যুক্তি উপস্থাপন করেছি, কিন্তু এর বাইরেও অনেক কাজ করতে হবে। দেশে রাজনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির পথও বের করে হবে। যদি আমরা জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে পারি, তাহলে আমরা অর্থনৈতিকসহ সব দিক থেকেই মুক্তি পেতে সফল হব।

তারেক রহমান বলেন, আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছি, মূলত বাংলাদেশের মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আজ যারা আছেন এই মানুষগুলোর মধ্যে অনেককেই আমরা হারিয়েছি, অনেকেই শারীরিকভাবে আহত হয়েছেন তাদের সবার আত্মত্যাগের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা।

বেলকুচি, চৌহালী ও এনায়েতপুরের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, আমরা যদি এই এলাকার দিকে তাকাই তাহলে আমরা সম্ভাবনাময় একটি এলাকা দেখতে পাই। সিরাজগঞ্জের নাম আসলেই সামনে ভেসে ওঠে তাঁতশিল্পের কথা। এই পেশার সাথে অসংখ্য মানুষ যুক্ত। এর আগেও কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী কৃষি ঋণ মওকুফসহ অনেক কিছু করেছিলেন। আমার ইচ্ছা, বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করলে এই তাঁতশিল্পের পাশে এসে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ। সারা পৃথিবীর নানান প্রান্তে বাংলাদেশিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাদের মাধ্যমে এই শিল্পকে কীভাবে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সেই চেষ্টা আমরা করব।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চৌহালীর চীনাবাদামকে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, কেন এই কৃষকদের পাশে সরকার দাঁড়াবে না, কেন এই চীনাবাদাম ছড়িয়ে দেওয়া হবে না। আমরা চেষ্টা করব এই চীনাবাদাম বিদেশে রপ্তানি করতে। তখন বৃহৎ আকারে চাষ হলে অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। বাংলাদেশের রসুনও রপ্তানি করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আমি বগুড়া যাওয়ার সময় সিরাজগঞ্জে মাঠের পর মাঠ হুলুদে ঢাকা দেখতাম। এই সরিষাও বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যতদিন আমরা আমাদের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি থেকে শুরু করে সকল ফসল ঘরে না তুলতে পারি, ততদিন আমাদের এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আমরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম যে মানুষগুলো আত্মত্যাগ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ আপনাদের প্রতি তাকিয়ে আছে, তাই দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীদের সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে।

এর আগে স্মরণসভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এটা দারুন একটা সিদ্ধান্ত ছিল। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে না যাওয়া নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছিল। কিন্তু পরে সবাই বুঝতে পেরেছে তারেক রহমানের সেই সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে গুম করছে, একের পর এক গুম-খুনের মধ্যে দিয়ে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে নিহত ও আহতদের স্মরণ করছি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, এই আন্দোলনে তরুণদের একটা বড় ভূমিকা আছে। এই ভূমিকায় আছেন তারেক রহমানও।

বৃষ্টির কারণে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে তিনি বলেন, আমি কথা বাড়াব না। শুধু বলি, একটা উত্তাল আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়েছেন।

এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেও বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা বৃষ্টিতে ভিজে নানান স্লোগান দিতে থাকেন।