Dhaka শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইএফআইসি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আইএফআইসি ব্যাংক থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে। তাকে সরিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করেছে ব্যাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক আদেশে পর্ষদ বাতিল ও একই আদেশে নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এমডি মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

পর্ষদের অন্য সদস্যরা হলেনÑ ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেহমুদ হোসেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবতাদুল ইসলাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সাজ্জাদ জহির, চার্টার্ডা অ্যাকাউন্ট্যান্ট কাজী মো. মাহবুব কাশেম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ মনজুরুল হক।

ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। গত সরকারের আমলে সালমান এফ রহমান ব্যাংক খাতের লুটপাট, নৈরাজ্যের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ছিল। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর নদী পথে পালানানো সময় গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান।

এদিকে সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান ইতোমধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালক পদ হারিয়েছেন। তিনি ঋণখেলাপি হওয়া কারণে তার পরিচালক পদে পুনর্নিয়োগের আবেদন নাকচ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে তিনি ব্যাংকটির পরিচালক পদ থেকে বাদ পড়েছেন।

এর আগে সরকার পতনের পর পরই বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তার ছেলেসহ বেক্সিমকোর সব পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে ব্যাংকটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একইসঙ্গে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি শাহ এ সরোয়ারের আমলে অন্যায়ভাবে যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের পুনর্বহাল দাবি তোলা হয়।

বিক্ষোভকারীরা জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। এর সহযোগী ছিল সাবেক এমডি শাহ এ সরোয়ার (বর্তমান ব্যাংকটির উপদেষ্টা)। শাহ এ সরোয়ার মানসিক চাপ সৃষ্টি করে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

স্বাধীনতা নিয়ে বক্তব্য দিয়ে জাতিকে আর বিভক্ত করা যাবে না : সালাহউদ্দিন

আইএফআইসি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন

প্রকাশের সময় : ০৮:২৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আইএফআইসি ব্যাংক থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে। তাকে সরিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করেছে ব্যাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক আদেশে পর্ষদ বাতিল ও একই আদেশে নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এমডি মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

পর্ষদের অন্য সদস্যরা হলেনÑ ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেহমুদ হোসেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবতাদুল ইসলাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সাজ্জাদ জহির, চার্টার্ডা অ্যাকাউন্ট্যান্ট কাজী মো. মাহবুব কাশেম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ মনজুরুল হক।

ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। গত সরকারের আমলে সালমান এফ রহমান ব্যাংক খাতের লুটপাট, নৈরাজ্যের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ছিল। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর নদী পথে পালানানো সময় গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান।

এদিকে সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান ইতোমধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালক পদ হারিয়েছেন। তিনি ঋণখেলাপি হওয়া কারণে তার পরিচালক পদে পুনর্নিয়োগের আবেদন নাকচ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে তিনি ব্যাংকটির পরিচালক পদ থেকে বাদ পড়েছেন।

এর আগে সরকার পতনের পর পরই বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তার ছেলেসহ বেক্সিমকোর সব পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে ব্যাংকটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একইসঙ্গে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি শাহ এ সরোয়ারের আমলে অন্যায়ভাবে যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের পুনর্বহাল দাবি তোলা হয়।

বিক্ষোভকারীরা জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। এর সহযোগী ছিল সাবেক এমডি শাহ এ সরোয়ার (বর্তমান ব্যাংকটির উপদেষ্টা)। শাহ এ সরোয়ার মানসিক চাপ সৃষ্টি করে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে।