চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের পর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত হলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ভুয়া পরিচয় দিয়ে, জাল সনদ নিয়ে অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে ছিটকে পড়েছেন।এবার সঠিকভাবেই তালিকা করা হবে। যারা মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন, তারা অপরাধ করেছেন। তাই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক-ই আজম বলেন, আমরা যাচাই করে দেখছি প্রকৃতপক্ষে ঘটনাটি কি ঘটেছে। নানান আঙ্গিকে অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। সেগুলো যাচাই-বাছাই শেষে যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তারা থাকবেন। আর যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তাদের রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে শাস্তি ভোগ করতে হবে। এটা যাচাই-বাছাই চলছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের ব্যাপারটা কোটা সংস্কার আন্দোলনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বড় ধরনের ইস্যু হয়ে আসছে। এটার বস্তুনিষ্ঠতা কী, সেটা মন্ত্রণালয়কে যাচাই করতে দিয়েছি এবং কাজ চলছে। কী পরিমাণ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের চাকরি কোটার মধ্যে হয়েছে এবং মুক্তিযোদ্ধারা কী অবস্থায় আছেন সংখ্যাগতভাবে এবং কারা কারা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন, এ সমস্ত কিছু আমরা জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত করে দেব।
তিনদিনের সফরে চট্টগ্রামে আসা ফারুক-ই আজম বৈঠক শেষে নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কোতোয়ালী থানা পরিদর্শন করেন।
তিনি থানায় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পুড়ে যাওয়া থানার বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন।
এ সময় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।