Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোমাঞ্চকর ম্যাচে টাইব্রেকারে কানাডাকে হারিয়ে তৃতীয় উরুগুয়ে

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:২৬:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪
  • ১৯৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ভীষণ প্রয়োজনের সময় ত্রাতা হয়ে এলেন লুইস সুয়ারেস। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে গোল করে অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার উরুগুয়েকে ফেরালেন সমতায়। ম্যাচ নিয়ে গেলেন টাইব্রেকারে। সেখানে সের্হিও রোচেতের নৈপুণে্েয শেষ হাসি হাসল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। রোমাঞ্চকর ম্যাচে কানাডাকে হারিয়ে তৃতীয় হলো মার্সেলো বিয়েলসার দল। মূল সময়ের খেলা ২-২ গোলে শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জয় পেয়েছে মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্যরা।

চলতি কোপায় যেখানে ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র (গ্রুপপর্ব) ও ইকুয়েডরের মতো দেশ কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নিয়েছিল, সেখানে বড় চমক কানাডা। উত্তর আমেরিকার দেশটি ২০১৬ সালের কোপায় বাছাইপর্ব পেরোতে না পারায় খেলতে পারেনি। এরপর অভিষেকে আসরেই দারুণ নৈপুণ্য, আজকের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও তাদেরই লিড ছিল প্রায় শেষ পর্যন্ত। ২-১ গোলে যখন প্রায় জয় নিয়েই তাদের মাঠ ছাড়ার তোড়জোড় চলছিল, তখনই উরুগুইয়ান তারকা সুয়ারেজের আঘাত। ৯০ মিনিটের পর যোগ করা সময়ে করা গোলে ফের উরুগুয়ে-কানাডার স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২ সমতায়।

তৃতীয় স্থানের জন্য লড়াই হলেও, কোচদের কোচ খ্যাত বিয়েলসা উরুগুয়েকে শক্ত একাদশ নিয়ে মাঠে নামান। ডারউইন নুনিয়েজ, রদ্রিগো বেন্তাকুর ও জোসে গিমেনেজদের গড়া আক্রমণভাগ দ্রুত সাফল্যও এনে দেয়। ম্যাচের মাত্র অষ্টম মিনিটেই উরুগুয়েকে লিড এনে দেন বেন্তাকুর। তবে সেই উল্লাস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কারণ ১৪ মিনিটেই সমতা ফেরানো গোল কানাডার। তরুণ ফুটবলার ইসমাইল কোনে দারুণ এক ফ্লিকে ১-১ সমতা টেনে বল জালে পাঠান।

উভয় দলই সেই সমতা থেকে বেরোনোর পথ খুঁজছিল। তবে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মিলছিল না। ম্যাচের ৮০তম মিনিটে আসে সেই সমতা ভাঙা গোল। দলের বড় তারকা জনাথন ডেভিডই এবার কানাডাকে লিড এনে দেন। মনে হচ্ছিল তৃতীয় স্থান বুঝি দখলে নিলো উত্তর আমেরিকানরা। তবে সেটি আর সম্ভব হয়নি। রোমাঞ্চ কিছুটা বাকি রেখেছিল উরুগুয়ে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে যোগ করা সময়ের ৫ মিনিট চলছিল। তৃতীয় মিনিটেই কানাডার ডিবক্সে রক্ষণচেরা রদ্রিগেজের পাস, এক টাচে সেটিকে গোলে পরিণত করেন সুয়ারেজ।

টাইব্রেকারে কানাডা আর সেই একই দাপট ধরে রাখতে পারল না। মূল ম্যাচে গোল পাওয়া ইসমাইল কোনে ও দলটির সবচেয়ে বড় তারকা আলফনসো ডেভিস মিস করেছেন পেনাল্টি শ্যুট আউটে। অন্যদিকে, চার শটের প্রতিটিতেই গোল করেছেন সুয়ারেজরা। ফলে ৪-৩ গোলের জয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কোপা অভিযান শেষ করল উরুগুয়ে। নিজেদের শেষ ম্যাচে অভিজ্ঞ সুয়ারেজই হলেন ম্যাচসেরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রোমাঞ্চকর ম্যাচে টাইব্রেকারে কানাডাকে হারিয়ে তৃতীয় উরুগুয়ে

প্রকাশের সময় : ১২:২৬:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ভীষণ প্রয়োজনের সময় ত্রাতা হয়ে এলেন লুইস সুয়ারেস। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে গোল করে অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার উরুগুয়েকে ফেরালেন সমতায়। ম্যাচ নিয়ে গেলেন টাইব্রেকারে। সেখানে সের্হিও রোচেতের নৈপুণে্েয শেষ হাসি হাসল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। রোমাঞ্চকর ম্যাচে কানাডাকে হারিয়ে তৃতীয় হলো মার্সেলো বিয়েলসার দল। মূল সময়ের খেলা ২-২ গোলে শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জয় পেয়েছে মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্যরা।

চলতি কোপায় যেখানে ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র (গ্রুপপর্ব) ও ইকুয়েডরের মতো দেশ কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নিয়েছিল, সেখানে বড় চমক কানাডা। উত্তর আমেরিকার দেশটি ২০১৬ সালের কোপায় বাছাইপর্ব পেরোতে না পারায় খেলতে পারেনি। এরপর অভিষেকে আসরেই দারুণ নৈপুণ্য, আজকের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও তাদেরই লিড ছিল প্রায় শেষ পর্যন্ত। ২-১ গোলে যখন প্রায় জয় নিয়েই তাদের মাঠ ছাড়ার তোড়জোড় চলছিল, তখনই উরুগুইয়ান তারকা সুয়ারেজের আঘাত। ৯০ মিনিটের পর যোগ করা সময়ে করা গোলে ফের উরুগুয়ে-কানাডার স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২ সমতায়।

তৃতীয় স্থানের জন্য লড়াই হলেও, কোচদের কোচ খ্যাত বিয়েলসা উরুগুয়েকে শক্ত একাদশ নিয়ে মাঠে নামান। ডারউইন নুনিয়েজ, রদ্রিগো বেন্তাকুর ও জোসে গিমেনেজদের গড়া আক্রমণভাগ দ্রুত সাফল্যও এনে দেয়। ম্যাচের মাত্র অষ্টম মিনিটেই উরুগুয়েকে লিড এনে দেন বেন্তাকুর। তবে সেই উল্লাস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কারণ ১৪ মিনিটেই সমতা ফেরানো গোল কানাডার। তরুণ ফুটবলার ইসমাইল কোনে দারুণ এক ফ্লিকে ১-১ সমতা টেনে বল জালে পাঠান।

উভয় দলই সেই সমতা থেকে বেরোনোর পথ খুঁজছিল। তবে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মিলছিল না। ম্যাচের ৮০তম মিনিটে আসে সেই সমতা ভাঙা গোল। দলের বড় তারকা জনাথন ডেভিডই এবার কানাডাকে লিড এনে দেন। মনে হচ্ছিল তৃতীয় স্থান বুঝি দখলে নিলো উত্তর আমেরিকানরা। তবে সেটি আর সম্ভব হয়নি। রোমাঞ্চ কিছুটা বাকি রেখেছিল উরুগুয়ে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে যোগ করা সময়ের ৫ মিনিট চলছিল। তৃতীয় মিনিটেই কানাডার ডিবক্সে রক্ষণচেরা রদ্রিগেজের পাস, এক টাচে সেটিকে গোলে পরিণত করেন সুয়ারেজ।

টাইব্রেকারে কানাডা আর সেই একই দাপট ধরে রাখতে পারল না। মূল ম্যাচে গোল পাওয়া ইসমাইল কোনে ও দলটির সবচেয়ে বড় তারকা আলফনসো ডেভিস মিস করেছেন পেনাল্টি শ্যুট আউটে। অন্যদিকে, চার শটের প্রতিটিতেই গোল করেছেন সুয়ারেজরা। ফলে ৪-৩ গোলের জয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কোপা অভিযান শেষ করল উরুগুয়ে। নিজেদের শেষ ম্যাচে অভিজ্ঞ সুয়ারেজই হলেন ম্যাচসেরা।