টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি :
ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুতে বেড়েছে টোল আদায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরিবহন পারাপার হয়েছে ৫৩ হাজার ৭০৮টি। এর বিপরীতে সেতুর টোলপ্লাজায় টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা। এটি সেতুতে টোল আদায়ের সর্বোচ্চ হার বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ২০২৩ সালে ঈদযাত্রায় ২৭ জুন রাত ১২টার পর থেকে ২৮ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত সেতুর ওপর দিয়ে পরিবহন পারাপার হয়েছিল ৫৫ হাজার ৪৮৮টি। বিপরীতে সেতুতে টোল আদায় হয়েছিল তিন কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাত ১২টার পর থেকে শুক্রবার (১৪ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ হাজার ৭০৮টি পরিবহন পারাপারে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা। এর মধ্যে সেতুপূর্ব টোলপ্লাজা পার হয়ে উত্তরবঙ্গে গিয়েছে ৩৩ হাজার ২৫টি। এতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং পশ্চিম টোলপ্লাজা পার হয়ে ঢাকায় গিয়েছে ২০ হাজার ৬৮৩টি পরিবহন। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৭৪ লাখ ২৩ হাজার ৪০০ টাকা।
সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় যাত্রীবাহী বাস পারাপার হয়েছে ১২ হাজার ৮৭১টি, ট্রাক ১০ হাজার ৭৬০টি, ছোট-বড় পরিবহন ১৯ হাজার ৮৭২টি এবং মোটরসাইকেল পার হয়েছে ১০ হাজার ১০৫টি।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, এবারের ঈদ যাত্রায় গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ একদিনে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকার টোল আদায় হয় এবং ৫৩ হাজার ৪০৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যা সেতুটি উদ্বোধনের প্রায় ২৬ বছর পর এটিই সর্বোচ্চ টোল আদায় ও যানবাহন পারাপার হয়।
গত বছরের ২৮ জুন ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ একদিনে ২৪ ঘণ্টায় সেতুর ওপর দিয়ে ৫৫ হাজার ৪৮৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছিল। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা। এটিই ছিল সর্বশেষ এ সেতুর টোল আদায়ের রেকর্ড।
সে বছর উত্তরবঙ্গের দিকে ৩৬ হাজার ৪৯১টি যানবাহন পার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫০ টাকা। এ ছাড়া সেতু পশ্চিম (সিরাজগঞ্জ প্রান্ত) দিয়ে পার হয় ১৮ হাজার ৯৯৭টি যানবাহন। এতে টোল আদায়ের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৪৫০ টাকা।
১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিকভাবে গড়ে প্রতিদিন ১৩-১৫ হাজার যানবাহন সেতুটি দিয়ে পারাপার হয়। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।