Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুঃখজনক ও গ্রহণযোগ্য নয় : সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুঃখজনক ও গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়া তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগকে নৈতিকভাবে সমর্থন করা যায় না। এর মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় না। এ ধরনের পদক্ষেপ বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য করা হয়। কিন্তু এর ফলাফল আমরা দেখি না। একেবারে কালো টাকা সাদা করার জোয়ার এসেছে বা প্রচুর টাকা এসেছে, এমন কিছু দেখা যায় না।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, চ্যালেঞ্জিং সময়ে গতানুগতিক বাজেট কোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারবে না। মূল্যস্ফীতি কমানো নিয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। মূল্যস্ফীতি ৯ থেকে এক বছরের মধ্যে সাড়ে ৬.৫ শতাংশে আনাটা চ্যালেঞ্জ। উদ্ভাবনী ও সাহসী পদক্ষেপ বাজেটে নেই, এটা গতানুগতিক বাজেট।

তিনি বলেন, আইএমএফ’র শর্ত মানতে যেয়ে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বেশি নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে তা আহরণ সম্ভব নয়। প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি, মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ ও রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা সাথে বাস্তব সূচকের কোন মিল নেই।

তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল এই বাজেট অনেক উদ্ভাবনী হবে। এখানে সৃজনশীল ও কিছু সাহসী পদক্ষেপ থাকবে। কারণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জিং সময়ে গতানুগতিক বাজেট কোনো ধরনের সমস্যার সমাধান দিতে পারবে না। নতুন বাজেটটা আমাদের কাছে অতীতের বাজেটের মতোই মনে হয়েছে। বর্তমান সময়ের সমস্যা, ক্রান্তিকালীন সংকট দেখা দিয়েছে অর্থনীতিতে। সেগুলো সমাধানে এই বাজেট যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেনি। দিকনির্দেশনা দিতে পারেনি।

বাজেটে বিভিন্ন সূচকে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো বাস্তবসম্মত কি না? এমন প্রশ্ন তুলে ফাহমিদা বলেন, জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা, বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা এ রকম সবগুলো ক্ষেত্রে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, এগুলোর সঙ্গে বাস্তবতার ছোঁয়া নেই। মনে হচ্ছে অনেকটাই আইএমএফ যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে দিয়েছে, সেটার কাছাকাছি নেওয়ার একটা চেষ্টা। এখানে যৌক্তিক কোনো চিন্তাভাবনা করা হয়েছে কি না সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে।

বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেশ কিছু পণ্যের উপর সরকার কিছু করছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছে। এটা ভালো প্রস্তাব। তবে দেখার বিষয় হলো এটা কীভাবে বাস্তবায়ন হয়। কারণ দেখা যায় কর কমালেও সেটার বাজারে প্রভাব পড়ে না। এজন্য বাজার ব্যবস্থাপনা মনিটরিংটা গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক নিরাপত্তাখাতের বরাদ্দে সামান্য পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এরমধ্যে সঞ্চয়পত্রের সুদ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশনের অর্থ, কৃষিখাতের ভর্তুকী এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে এটাকে বড় বরাদ্দ দেখা যায়। এগুলো বাদ দিলে দেখা যায় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়েনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এমিরেটস এয়ারলাইন্সে বয়স্ক যাত্রীকে হয়রানির অভিযোগ

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুঃখজনক ও গ্রহণযোগ্য নয় : সিপিডি

প্রকাশের সময় : ০৯:৩১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুঃখজনক ও গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়া তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগকে নৈতিকভাবে সমর্থন করা যায় না। এর মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় না। এ ধরনের পদক্ষেপ বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য করা হয়। কিন্তু এর ফলাফল আমরা দেখি না। একেবারে কালো টাকা সাদা করার জোয়ার এসেছে বা প্রচুর টাকা এসেছে, এমন কিছু দেখা যায় না।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, চ্যালেঞ্জিং সময়ে গতানুগতিক বাজেট কোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারবে না। মূল্যস্ফীতি কমানো নিয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। মূল্যস্ফীতি ৯ থেকে এক বছরের মধ্যে সাড়ে ৬.৫ শতাংশে আনাটা চ্যালেঞ্জ। উদ্ভাবনী ও সাহসী পদক্ষেপ বাজেটে নেই, এটা গতানুগতিক বাজেট।

তিনি বলেন, আইএমএফ’র শর্ত মানতে যেয়ে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বেশি নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে তা আহরণ সম্ভব নয়। প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি, মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ ও রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা সাথে বাস্তব সূচকের কোন মিল নেই।

তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল এই বাজেট অনেক উদ্ভাবনী হবে। এখানে সৃজনশীল ও কিছু সাহসী পদক্ষেপ থাকবে। কারণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জিং সময়ে গতানুগতিক বাজেট কোনো ধরনের সমস্যার সমাধান দিতে পারবে না। নতুন বাজেটটা আমাদের কাছে অতীতের বাজেটের মতোই মনে হয়েছে। বর্তমান সময়ের সমস্যা, ক্রান্তিকালীন সংকট দেখা দিয়েছে অর্থনীতিতে। সেগুলো সমাধানে এই বাজেট যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেনি। দিকনির্দেশনা দিতে পারেনি।

বাজেটে বিভিন্ন সূচকে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো বাস্তবসম্মত কি না? এমন প্রশ্ন তুলে ফাহমিদা বলেন, জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা, বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা এ রকম সবগুলো ক্ষেত্রে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, এগুলোর সঙ্গে বাস্তবতার ছোঁয়া নেই। মনে হচ্ছে অনেকটাই আইএমএফ যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে দিয়েছে, সেটার কাছাকাছি নেওয়ার একটা চেষ্টা। এখানে যৌক্তিক কোনো চিন্তাভাবনা করা হয়েছে কি না সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে।

বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেশ কিছু পণ্যের উপর সরকার কিছু করছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছে। এটা ভালো প্রস্তাব। তবে দেখার বিষয় হলো এটা কীভাবে বাস্তবায়ন হয়। কারণ দেখা যায় কর কমালেও সেটার বাজারে প্রভাব পড়ে না। এজন্য বাজার ব্যবস্থাপনা মনিটরিংটা গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক নিরাপত্তাখাতের বরাদ্দে সামান্য পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এরমধ্যে সঞ্চয়পত্রের সুদ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশনের অর্থ, কৃষিখাতের ভর্তুকী এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে এটাকে বড় বরাদ্দ দেখা যায়। এগুলো বাদ দিলে দেখা যায় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়েনি।