নিজস্ব প্রতিবেদক :
সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকেও জামিন দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২০ মার্চ) এ বিষয়ে আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াসমিন বিথী।
জামিন আদেশের বিষয়টি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। তিনি বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্যারিস্টার কাজলকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ আবেদনটি শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় ১১৪ নম্বর ক্রমিকে ছিল।
সোমবার (১৮ মার্চ) ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোরশেদ আলমের আদালতে কাজলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর তিনি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
গত ১৪ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
ওইদিন চার দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান এ আদেশ দেন।
গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত তার নিজ চেম্বার থেকে সিআইডি ব্যারিস্টার কাজলকে আটক করে। এরপর তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ৬ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।