নিজস্ব প্রতিবেদক :
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি-মারামারি ও সহিংসতার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলার পাঁচ আসামি আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলেন এজাহারের ৫ নম্বর আসামি আইনজীবী কাজী বশির আহমেদ, ৯ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট তুষার, ১১ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট তরিকুল, ৮ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট সুমন ও ৬ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট ওসমান।
তিনি বলেন, যে যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। শাহবাগ থানায় মামলা হওয়ার পরে ডিবি পুলিশ ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরে রাজধানীর বনানীসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটায়। তারা মানুষের ওপর হামলা করে, অনিয়ম করায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গত রাতে রাজধানীর বনানীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, কেন তারা দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়ে মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে খোঁজা হচ্ছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া গ্রেফতারদের কারা ইন্ধন দিয়েছে, সেটা জানার চেষ্টা করছি। কারা মারামারি করার জন্য সাহস যুগিয়েছে, তাদেরও নিয়ে আসা হবে। এজাহারভুক্ত আসামিরা কে কত বড় শক্তিশালী, সেটা দেখার বিষয় না। সে আসামি, এটাই বিবেচ্য।
এর আগে, শুক্রবার (৮ মার্চ) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ) বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মারধর, ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী ও বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করে শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা এই করা হয়েছে। মামলায় আরও ৩০-৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।