Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যারা আন্দোলনের নামে সহিংসতা করে তাদের আন্দোলনে বাধা দেওয়া হবে : কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:০৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৯১ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যারা আন্দোলনের নামে সহিংসতা করে তাদের আন্দোলনে বাধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বিরোধী দলের আন্দোলনে কোন রকম বাধা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে না। এখন নির্বাচন শেষ, সে ক্ষেত্রে কি কোন বাধা দেয়া হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবে না সরকার। তবে আন্দোলনে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে বাধা আসবে। বাধা দেয়ার মত সহিংস তৎপরতা, সন্ত্রাস এসব উপাদান যদি আন্দোলনে যুক্ত হয় তাহলে বাধা আসবেই। তারা যদি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে এগিয়ে যায় সেখানে আমরা বাধা দেবো কেন?

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন শব্দটা বিরোধী দলের ভাষা। বাস্তবে আন্দোলন না হলেও মুখে তাদের বলতে হবে। নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে হয়, আর পাবলিককেও বোঝাতে হয়, সমমনাদের বোঝাতে হয় যে আমরা আছি।

দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি করার বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের পার্টির ওয়ার্কিং কমিটির যে মিটিং অতি সম্প্রতি হয়েছে সাংগঠনিক বিষয়ে সেখানে আমাদের সভাপতির একটা নির্দেশনা আছে। সেটা হচ্ছে, দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা, কোথাও কোথাও অন্তর কলহ, কোথা কোথাও মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি, কোথাও কোথাও অভ্যন্তরীণ কিছু সংকট এসব বিষয়ে আমাদের আটটি ডিভিশনে গঠিত কমিটি আছে। সে কমিটিগুলো পর্যায়ক্রমে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে আমাদের পার্টির প্রয়োজনে আমাদের সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের ও ডেকে আনা হবে। এসব বিষয়ে সমাধানের জন্য আমরা বৈঠক করবো। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত। খুব শীঘ্রই হয়তো আমরা শুরু করছি।

বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে বিরোধীদলের যে রাজনীতি মূল ইস্যুই হচ্ছে ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’। সরকারই সব অপরাধের অপরাধী। তারা নালিশ করতে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। বিএনপি নেতা মঈন খান মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে নালিশ করেছেন- দেশে মানবাধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই। এ হচ্ছে আমাদের প্রধান বিরোধীদলের অবস্থা।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চাই, ৫৪ দলের সরকারবিরোধী যে ঐক্য জোট, এ জোটের শরিকরা কোথায়? সেই ঐক্য কোথায়? জগাখিচুড়ি ঐক্যজোট কোথায়? এখন সরকারের ওপর দোষ দিয়ে পার পাওয়া যাবে?

নির্বাচন করার জন্যই বিএনপি নেতাদের আটক রাখা হয়েছিল কিনা, এমন প্রশ্নের জবাব ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় তাদেরকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করা, সাংবাদিকদের মারধর করা, জাজেজ চেম্বারে হামলা করা, পুলিশের হাসপাতালে গিয়ে হামলা করা; এসব অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়। তারা বলেছিল পালিয়ে যাবে না, পালিয়ে গেল কেন? পালিয়ে গেল মানে তারা কোনো অপরাধ করেছে। সেদিন কিছু অপরাধ তারা করছে সেজন্য তাদের পালাতে হয়েছে। পালানো অবস্থায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপরও বিষয়টা বিচারাধীন বিষয়, আদালতের বিষয়, আদালত যখন জামিন দিয়েছেন, তখন তারা কারামুক্ত হয়েছেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরেছে, বিএনপি জিতেছে – বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবাই জানে নির্বাচনে কারা জিতেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়েই বিএনপি জিতে গেল? এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কি?

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যবস্থা হচ্ছে, নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছি। দলে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যত কঠোর হওয়া দরকার আমরা হব।

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আবহাওয়া

যারা আন্দোলনের নামে সহিংসতা করে তাদের আন্দোলনে বাধা দেওয়া হবে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০২:০৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যারা আন্দোলনের নামে সহিংসতা করে তাদের আন্দোলনে বাধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বিরোধী দলের আন্দোলনে কোন রকম বাধা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে না। এখন নির্বাচন শেষ, সে ক্ষেত্রে কি কোন বাধা দেয়া হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবে না সরকার। তবে আন্দোলনে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে বাধা আসবে। বাধা দেয়ার মত সহিংস তৎপরতা, সন্ত্রাস এসব উপাদান যদি আন্দোলনে যুক্ত হয় তাহলে বাধা আসবেই। তারা যদি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে এগিয়ে যায় সেখানে আমরা বাধা দেবো কেন?

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন শব্দটা বিরোধী দলের ভাষা। বাস্তবে আন্দোলন না হলেও মুখে তাদের বলতে হবে। নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে হয়, আর পাবলিককেও বোঝাতে হয়, সমমনাদের বোঝাতে হয় যে আমরা আছি।

দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি করার বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের পার্টির ওয়ার্কিং কমিটির যে মিটিং অতি সম্প্রতি হয়েছে সাংগঠনিক বিষয়ে সেখানে আমাদের সভাপতির একটা নির্দেশনা আছে। সেটা হচ্ছে, দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা, কোথাও কোথাও অন্তর কলহ, কোথা কোথাও মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি, কোথাও কোথাও অভ্যন্তরীণ কিছু সংকট এসব বিষয়ে আমাদের আটটি ডিভিশনে গঠিত কমিটি আছে। সে কমিটিগুলো পর্যায়ক্রমে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে আমাদের পার্টির প্রয়োজনে আমাদের সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের ও ডেকে আনা হবে। এসব বিষয়ে সমাধানের জন্য আমরা বৈঠক করবো। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত। খুব শীঘ্রই হয়তো আমরা শুরু করছি।

বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে বিরোধীদলের যে রাজনীতি মূল ইস্যুই হচ্ছে ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’। সরকারই সব অপরাধের অপরাধী। তারা নালিশ করতে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। বিএনপি নেতা মঈন খান মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে নালিশ করেছেন- দেশে মানবাধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই। এ হচ্ছে আমাদের প্রধান বিরোধীদলের অবস্থা।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চাই, ৫৪ দলের সরকারবিরোধী যে ঐক্য জোট, এ জোটের শরিকরা কোথায়? সেই ঐক্য কোথায়? জগাখিচুড়ি ঐক্যজোট কোথায়? এখন সরকারের ওপর দোষ দিয়ে পার পাওয়া যাবে?

নির্বাচন করার জন্যই বিএনপি নেতাদের আটক রাখা হয়েছিল কিনা, এমন প্রশ্নের জবাব ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় তাদেরকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করা, সাংবাদিকদের মারধর করা, জাজেজ চেম্বারে হামলা করা, পুলিশের হাসপাতালে গিয়ে হামলা করা; এসব অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়। তারা বলেছিল পালিয়ে যাবে না, পালিয়ে গেল কেন? পালিয়ে গেল মানে তারা কোনো অপরাধ করেছে। সেদিন কিছু অপরাধ তারা করছে সেজন্য তাদের পালাতে হয়েছে। পালানো অবস্থায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপরও বিষয়টা বিচারাধীন বিষয়, আদালতের বিষয়, আদালত যখন জামিন দিয়েছেন, তখন তারা কারামুক্ত হয়েছেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরেছে, বিএনপি জিতেছে – বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবাই জানে নির্বাচনে কারা জিতেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়েই বিএনপি জিতে গেল? এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কি?

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যবস্থা হচ্ছে, নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছি। দলে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যত কঠোর হওয়া দরকার আমরা হব।

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।