Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর মতো দুঃসাহস ইউরোপের কোনো নেতাও দেখাতে পারেনি: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেও বলেনে, সম্মেলনে গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে দুঃসাহস দেখিয়েছেন, তা ইউরোপের কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান দেখাতে পারেনি।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটা সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে সমালোচনামুখরও ছিল বহির্বিশ্বের একটা অংশ। তারপরও আজকে এই সংকটে সিকিউরিটির মতো সেনসেটিভ ইস্যুতে নিমন্ত্রণ করা এবং গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে অংশ করা এটা বাংলাদেশের গুরুত্বকেই তুলে ধরে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন। এখানে শেখ হাসিনার সাহসী কূটনীতিই আমরা দেখলাম।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের সমালোচনা থাকলেও নিরাপত্তা সম্মেলনের মতো অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ এবং বক্তব্য দেওয়ায় বিশ্বে বাংলাদেশের গুরুত্ব বোঝা যায়। গাজা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে সুস্পষ্ট অবস্থান, যুদ্ধের বিরুদ্ধে ও শান্তির পক্ষে জোরাল বক্তব্য- স্টপ জেনোসাইড, ইউরোপের কোনো নেতাও এমন সাহস দেখাতে পারেনি।

রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তন হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, এটাই শেখ হাসিনার সাহসী কূটনীতির বহিঃপ্রকাশ।

দেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও সার্বভৌমত্বে আওয়ামী লীগ আঘাত করেছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোনো বিবেকবান রাজনীতিবিদ এ কথা বলতে পারেন না। এটা হচ্ছে পাগলের অসংলগ্ন প্রলাপ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি রাজনীতিতে মিথ্যাচার চিরজীবনই। তাদের রাজনীতিতে মিথ্যাচার অপরিহার্য বিষয়। এটা তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচারের ধারাবাহিকতা।

দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার—বিএনপির এমন অভিযোগ নিয়ে সেতুমুখী বলেন, বিরোধী দলের এখন আর কিছু নেই। জনগণ নেই, তাদের কর্মীরাও নেই। এখন কিছু না কিছু তো জনগণ ও কর্মীদের সামনে বলতে হবে। এ জন্য কথামালার চাতুরী তাঁরা করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু কিছু জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, আবার কিছু কিছু পণ্যের দাম কমতির দিকে। বাজার ওঠানামা চিরদিনই আছে। বিশ্ব প্রতিক্রিয়ায় দ্রব্যমূল্য বাড়ছে বলে সরকার এখানে কোনো উদাসীনতা দেখায়নি। সক্রিয় আছে, সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে নেই, যা করণীয় অবশ্যই করছি।

মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনায় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সীমান্ত রক্ষায় বাংলাদেশ সদা জাগ্রত। মিয়ানমারে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে এর ফলে সীমান্তে নিরাপত্তা জনিত ঝুঁকি থাকতে পারে, হতে পারে। কাজেই এই বিষয়ে আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের প্রস্তুতি আছে।’

গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে জাতীয় পার্টিকে ভাঙা হচ্ছে বিএনপি এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে যারা জাতীয় পার্টির সংসদে বিরোধী দল গঠন করেছে এর বাইরে যারা জাতীয় পার্টির নামে কোনো একটা ভাগ সৃষ্টি করা সেটা তাদের নিজেদের ব্যাপার। এতে জাতীয় সংসদে থাকা জাতীয় পার্টির কেউ নেই। জাতীয় সংসদে যারা বিরোধী দল তারা সংসদ সদস্য। এর বাইরে যারা করছেন তারা কেউ সংসদ সদস্য নন। কাজেই এ নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানো কিংবা উদ্বেগের কিছু নেই।’

ঢাকা শহরের বায়ু দূষণ নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বায়ু দূষণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বন ও পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইটের ভাটা বন্ধ করা একটা বড় কাজ।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

আবহাওয়া

প্রধানমন্ত্রীর মতো দুঃসাহস ইউরোপের কোনো নেতাও দেখাতে পারেনি: কাদের

প্রকাশের সময় : ০৪:২৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেও বলেনে, সম্মেলনে গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে দুঃসাহস দেখিয়েছেন, তা ইউরোপের কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান দেখাতে পারেনি।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটা সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে সমালোচনামুখরও ছিল বহির্বিশ্বের একটা অংশ। তারপরও আজকে এই সংকটে সিকিউরিটির মতো সেনসেটিভ ইস্যুতে নিমন্ত্রণ করা এবং গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে অংশ করা এটা বাংলাদেশের গুরুত্বকেই তুলে ধরে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন। এখানে শেখ হাসিনার সাহসী কূটনীতিই আমরা দেখলাম।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের সমালোচনা থাকলেও নিরাপত্তা সম্মেলনের মতো অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ এবং বক্তব্য দেওয়ায় বিশ্বে বাংলাদেশের গুরুত্ব বোঝা যায়। গাজা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে সুস্পষ্ট অবস্থান, যুদ্ধের বিরুদ্ধে ও শান্তির পক্ষে জোরাল বক্তব্য- স্টপ জেনোসাইড, ইউরোপের কোনো নেতাও এমন সাহস দেখাতে পারেনি।

রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তন হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, এটাই শেখ হাসিনার সাহসী কূটনীতির বহিঃপ্রকাশ।

দেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও সার্বভৌমত্বে আওয়ামী লীগ আঘাত করেছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোনো বিবেকবান রাজনীতিবিদ এ কথা বলতে পারেন না। এটা হচ্ছে পাগলের অসংলগ্ন প্রলাপ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি রাজনীতিতে মিথ্যাচার চিরজীবনই। তাদের রাজনীতিতে মিথ্যাচার অপরিহার্য বিষয়। এটা তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচারের ধারাবাহিকতা।

দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার—বিএনপির এমন অভিযোগ নিয়ে সেতুমুখী বলেন, বিরোধী দলের এখন আর কিছু নেই। জনগণ নেই, তাদের কর্মীরাও নেই। এখন কিছু না কিছু তো জনগণ ও কর্মীদের সামনে বলতে হবে। এ জন্য কথামালার চাতুরী তাঁরা করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু কিছু জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, আবার কিছু কিছু পণ্যের দাম কমতির দিকে। বাজার ওঠানামা চিরদিনই আছে। বিশ্ব প্রতিক্রিয়ায় দ্রব্যমূল্য বাড়ছে বলে সরকার এখানে কোনো উদাসীনতা দেখায়নি। সক্রিয় আছে, সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে নেই, যা করণীয় অবশ্যই করছি।

মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনায় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সীমান্ত রক্ষায় বাংলাদেশ সদা জাগ্রত। মিয়ানমারে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে এর ফলে সীমান্তে নিরাপত্তা জনিত ঝুঁকি থাকতে পারে, হতে পারে। কাজেই এই বিষয়ে আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের প্রস্তুতি আছে।’

গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে জাতীয় পার্টিকে ভাঙা হচ্ছে বিএনপি এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে যারা জাতীয় পার্টির সংসদে বিরোধী দল গঠন করেছে এর বাইরে যারা জাতীয় পার্টির নামে কোনো একটা ভাগ সৃষ্টি করা সেটা তাদের নিজেদের ব্যাপার। এতে জাতীয় সংসদে থাকা জাতীয় পার্টির কেউ নেই। জাতীয় সংসদে যারা বিরোধী দল তারা সংসদ সদস্য। এর বাইরে যারা করছেন তারা কেউ সংসদ সদস্য নন। কাজেই এ নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানো কিংবা উদ্বেগের কিছু নেই।’

ঢাকা শহরের বায়ু দূষণ নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বায়ু দূষণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বন ও পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইটের ভাটা বন্ধ করা একটা বড় কাজ।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।