Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে : সেহেলী সাবরীন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ২১৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাত থেকে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপিসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে কোন রুটে তাঁদের মিয়ানমারে পাঠানো হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ (বিজিপি) বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

সেহেলী সাবরীন বলেন, মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সেনা সদস্যদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের গভীর সমুদ্র দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান- মিয়ানমার থেকে আর কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না বললেও বিজিপি ও অন্যরা কেন ঢুকছে, মিয়ানমার সেনাদের নৌরুটে ফেরত নিতে চাইলেও আমরা কেন বিমানে পাঠাতে চাচ্ছি?

জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকারের নিয়মিত বাহিনী বিজিপি সদস্যদের আশ্রয়দান এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়াকে এক করে দেখা ঠিক হবে না। আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের নিরাপদ দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বিমান বা নৌরুটের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ না কিংবা পূর্বশর্তও না। যত দ্রুত সময়ে তাদের প্রত্যাবাসন করা সম্ভব, সেই বিবেচনায় এমন প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ।

পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাদের ফেরাতে নেপিদোর সঙ্গে যোগাযোগের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং মিয়ানমারে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। মিয়ানমার সরকার তাদের সেনা ও বিজিপির সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে এরই মধ্যে আগ্রহ ব্যক্ত করছে। এখন যত শিগগির সম্ভব তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে মিয়ানমারের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আশা করা যাচ্ছে অতিদ্রুত সম্ভব তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।

মিয়ানমারে চলামান যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ যে কঠিন ভূ-রাজনীতির সমীকরণে পড়েছে তা থেকে উত্তরণে কি ধরনের কূটনৈতিক তৎতপরতা চালানো হচ্ছে? আন্তর্জাতিক ফোরামে যাচ্ছে কিনা বাংলাদেশ?

এমন প্রশ্নের উত্তরে সেহেলী সাবরীন বলেন, মিয়ানমারের চলমান সংঘাত তার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর ফলে বাংলাদেশের জনসাধারণ, সম্পদ বা সার্বভৌমত্ব কোনোভাবে যেন হুমকির সম্মুখীন না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সুবিধাজনক সময়ে স্বেচ্ছায়, টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ সর্তক রয়েছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে নিউইয়র্কস্থ স্থায়ী মিশন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমারের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা দেখতে চায়। মিয়ানমার সংকট উত্তরণের জন্য আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক যেকোনো উদ্যোগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়টি অনিবার্যভাবে থাকা প্রয়োজন।

ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন রাখা হয়- বলা হচ্ছে ’কাউকেই’ বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তাহলে বিজিপি ও অন্যান্যদের কেন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে? তারা আশ্রিতদের নৌরুটে ফেরত নিতে চাইলেও আমরা কেন বিমানে পাঠাতে চাই? এতে কি সময়ক্ষেপণ হবে না?

উত্তরে মুখপাত্র বলেন, মিয়ানমার সরকারের নিয়মিত বাহিনী বিজিপির সদস্যদের আশ্রয় দান এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি এক করে দেখা ঠিক হবে না। আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের নিরাপদ দ্রুত প্রত্যাবাসনই প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বিমান বা নৌরুটের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ না বা কোনো পূর্বশত নয়।

বিমানযোগে প্রত্যাবাসন দ্রুততম সময়ে করা সম্ভব বিবেচনায় বাংলাদেশ এ প্রস্তাব দিয়েছিল। মিয়ানমার কিছুদিন আগে ভারত থেকে বিমানযোগে সৈন্য নিয়ে এসেছিল। তাই এ প্রস্তাব বাংলাদেশের পক্ষ হতে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে এসব ব্যক্তিদের প্রত্যাবাসন চায়। এখানে সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই। আশা করা যাচ্ছে অতিদ্রুত সম্ভব তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে সেটা আকাশপথেই হোক বা সমুদ্রপথেই হোক তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন বিষয়টি একান্ত জরুরি।

বাংলাদেশে পুনরায় মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে! এটি কি আন্তর্জাতিক কোনো রাজনৈতিক কারণে নাকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতা? যেটি পূর্বে রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে দেখানো হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সেহেলী সাবরীন জানান, মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক বা রাজনৈতিক কোনো কারণ থাকার প্রশ্ন অবান্তর। মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা সম্প্রতি ভারতেও আশ্রয় নিয়েছে এবং ভারত থেকে তারা নিজ দেশে ফিরে গেছে। একটি নিয়মিত বাহিনীর বিপদগ্রস্ত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে তারা সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছে এবং প্রথমদিন থেকেই মিয়ানমার সরকার তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তারা বিজিবি এর কাছে অস্ত্র জমা দিয়েছে।

ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়- মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশির মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ কি চাওয়া হয়েছে দেশটির কাছে? ওই পরিবারগুলো কার কাছে বিচার চাইবে?

উত্তরে সেহেলী সাবরীন বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বিষয়টির প্রতি সংবেদনশীল। এ বিষয়ে এরই মধ্যে মিয়ানমার সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা যেতে পারে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কোনও ব্যাংক ভালোভাবে না চললে হস্তক্ষেপ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক : গভর্নর

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে : সেহেলী সাবরীন

প্রকাশের সময় : ০৯:১২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাত থেকে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপিসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে কোন রুটে তাঁদের মিয়ানমারে পাঠানো হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ (বিজিপি) বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

সেহেলী সাবরীন বলেন, মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সেনা সদস্যদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের গভীর সমুদ্র দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান- মিয়ানমার থেকে আর কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না বললেও বিজিপি ও অন্যরা কেন ঢুকছে, মিয়ানমার সেনাদের নৌরুটে ফেরত নিতে চাইলেও আমরা কেন বিমানে পাঠাতে চাচ্ছি?

জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকারের নিয়মিত বাহিনী বিজিপি সদস্যদের আশ্রয়দান এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়াকে এক করে দেখা ঠিক হবে না। আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের নিরাপদ দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বিমান বা নৌরুটের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ না কিংবা পূর্বশর্তও না। যত দ্রুত সময়ে তাদের প্রত্যাবাসন করা সম্ভব, সেই বিবেচনায় এমন প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ।

পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাদের ফেরাতে নেপিদোর সঙ্গে যোগাযোগের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং মিয়ানমারে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। মিয়ানমার সরকার তাদের সেনা ও বিজিপির সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে এরই মধ্যে আগ্রহ ব্যক্ত করছে। এখন যত শিগগির সম্ভব তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে মিয়ানমারের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আশা করা যাচ্ছে অতিদ্রুত সম্ভব তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।

মিয়ানমারে চলামান যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ যে কঠিন ভূ-রাজনীতির সমীকরণে পড়েছে তা থেকে উত্তরণে কি ধরনের কূটনৈতিক তৎতপরতা চালানো হচ্ছে? আন্তর্জাতিক ফোরামে যাচ্ছে কিনা বাংলাদেশ?

এমন প্রশ্নের উত্তরে সেহেলী সাবরীন বলেন, মিয়ানমারের চলমান সংঘাত তার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর ফলে বাংলাদেশের জনসাধারণ, সম্পদ বা সার্বভৌমত্ব কোনোভাবে যেন হুমকির সম্মুখীন না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সুবিধাজনক সময়ে স্বেচ্ছায়, টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ সর্তক রয়েছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে নিউইয়র্কস্থ স্থায়ী মিশন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমারের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা দেখতে চায়। মিয়ানমার সংকট উত্তরণের জন্য আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক যেকোনো উদ্যোগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়টি অনিবার্যভাবে থাকা প্রয়োজন।

ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন রাখা হয়- বলা হচ্ছে ’কাউকেই’ বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তাহলে বিজিপি ও অন্যান্যদের কেন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে? তারা আশ্রিতদের নৌরুটে ফেরত নিতে চাইলেও আমরা কেন বিমানে পাঠাতে চাই? এতে কি সময়ক্ষেপণ হবে না?

উত্তরে মুখপাত্র বলেন, মিয়ানমার সরকারের নিয়মিত বাহিনী বিজিপির সদস্যদের আশ্রয় দান এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি এক করে দেখা ঠিক হবে না। আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের নিরাপদ দ্রুত প্রত্যাবাসনই প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বিমান বা নৌরুটের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ না বা কোনো পূর্বশত নয়।

বিমানযোগে প্রত্যাবাসন দ্রুততম সময়ে করা সম্ভব বিবেচনায় বাংলাদেশ এ প্রস্তাব দিয়েছিল। মিয়ানমার কিছুদিন আগে ভারত থেকে বিমানযোগে সৈন্য নিয়ে এসেছিল। তাই এ প্রস্তাব বাংলাদেশের পক্ষ হতে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে এসব ব্যক্তিদের প্রত্যাবাসন চায়। এখানে সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই। আশা করা যাচ্ছে অতিদ্রুত সম্ভব তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে সেটা আকাশপথেই হোক বা সমুদ্রপথেই হোক তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন বিষয়টি একান্ত জরুরি।

বাংলাদেশে পুনরায় মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে! এটি কি আন্তর্জাতিক কোনো রাজনৈতিক কারণে নাকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতা? যেটি পূর্বে রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে দেখানো হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সেহেলী সাবরীন জানান, মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক বা রাজনৈতিক কোনো কারণ থাকার প্রশ্ন অবান্তর। মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা সম্প্রতি ভারতেও আশ্রয় নিয়েছে এবং ভারত থেকে তারা নিজ দেশে ফিরে গেছে। একটি নিয়মিত বাহিনীর বিপদগ্রস্ত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে তারা সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছে এবং প্রথমদিন থেকেই মিয়ানমার সরকার তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তারা বিজিবি এর কাছে অস্ত্র জমা দিয়েছে।

ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়- মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশির মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ কি চাওয়া হয়েছে দেশটির কাছে? ওই পরিবারগুলো কার কাছে বিচার চাইবে?

উত্তরে সেহেলী সাবরীন বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বিষয়টির প্রতি সংবেদনশীল। এ বিষয়ে এরই মধ্যে মিয়ানমার সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা যেতে পারে।