Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রয়োজনে জরুরি আইনে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হবে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ২২৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রয়োজনে জরুরি আইন প্রয়োগ করে বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ হস্তশিল্প প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বাংলাক্রাফট) সভাপতির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার একটু আমাদের ওপর আস্থা রাখেন, আগে যেভাবে সরকারের পক্ষ থেকে বলার পরও দাম কমেনি সেটা আর হবে না। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

সরকার দাম বেঁধে দিলেও বাজারে প্রতিফলিত হয় না, এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের একাধিক আইন আছে বাজার মনিটরিং করার। প্রথমে ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার মনিটরিং করবে। কৃষি বিপণন আইন আছে সেটি দিয়ে আমরা করব। আমাদের ১৯৫৬ এর অত্যাবশকীয় পণ্য আইন আছে সে আইনে করব। প্রয়োজনে জরুরি আইনে যারা নির্দেশনা অমান্য করে পণ্য সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চিনির আমদানি শুল্ক কমেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক টনপ্রতি তিন হাজার টাকার জায়গায় এক হাজার টাকা, পরিশোধিত চিনির শুল্ক ছয় হাজার থেকে কমিয়ে দুই হাজার টাকা টন করা হয়েছে। এ ছাড়া খেজুরের আমদানি শুল্ক কমেছে ২৫ থেকে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ভোজ্য তেলের শুল্ক কমেছে আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ। মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ ছিল, এটা কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশিং করে বাজার ব্যবস্থাপনা করা যায় না। আমরা আজকে যেটা করলাম (শুল্ক কমানো) সেটা বাজার ব্যবস্থাপনার একটা অংশ। যাতে উৎপাদক এবং আমদানিকারকরা তাদের দামটা যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারে। আমরা পুলিশিং করতে চাই না। আমি আশা করব রমজান ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাপার। তাই উৎপাদক থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা রমজানের ভাবগাম্ভীর্যকে মাথায় রেখে মূল দামের চেয়ে ছাড় দিয়ে ব্যবসা করবে বলে আশা করি।

সিন্ডিকেটের ধর্ম নেই, তারা প্রতিবার একই পরিস্থিতি তৈরি করে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ওপর আস্থা রাখেন। ভায়োলেট হলে জবাব দেবো। দায়িত্ব নিয়ে বলছি এখন থেকে যা হবে আমাদের এখান থেকে প্রচেষ্টা কম থাকবে না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কোনও ব্যাংক ভালোভাবে না চললে হস্তক্ষেপ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক : গভর্নর

প্রয়োজনে জরুরি আইনে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হবে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৫:২৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রয়োজনে জরুরি আইন প্রয়োগ করে বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ হস্তশিল্প প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বাংলাক্রাফট) সভাপতির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার একটু আমাদের ওপর আস্থা রাখেন, আগে যেভাবে সরকারের পক্ষ থেকে বলার পরও দাম কমেনি সেটা আর হবে না। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

সরকার দাম বেঁধে দিলেও বাজারে প্রতিফলিত হয় না, এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের একাধিক আইন আছে বাজার মনিটরিং করার। প্রথমে ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার মনিটরিং করবে। কৃষি বিপণন আইন আছে সেটি দিয়ে আমরা করব। আমাদের ১৯৫৬ এর অত্যাবশকীয় পণ্য আইন আছে সে আইনে করব। প্রয়োজনে জরুরি আইনে যারা নির্দেশনা অমান্য করে পণ্য সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চিনির আমদানি শুল্ক কমেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক টনপ্রতি তিন হাজার টাকার জায়গায় এক হাজার টাকা, পরিশোধিত চিনির শুল্ক ছয় হাজার থেকে কমিয়ে দুই হাজার টাকা টন করা হয়েছে। এ ছাড়া খেজুরের আমদানি শুল্ক কমেছে ২৫ থেকে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ভোজ্য তেলের শুল্ক কমেছে আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ। মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ ছিল, এটা কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশিং করে বাজার ব্যবস্থাপনা করা যায় না। আমরা আজকে যেটা করলাম (শুল্ক কমানো) সেটা বাজার ব্যবস্থাপনার একটা অংশ। যাতে উৎপাদক এবং আমদানিকারকরা তাদের দামটা যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারে। আমরা পুলিশিং করতে চাই না। আমি আশা করব রমজান ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাপার। তাই উৎপাদক থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা রমজানের ভাবগাম্ভীর্যকে মাথায় রেখে মূল দামের চেয়ে ছাড় দিয়ে ব্যবসা করবে বলে আশা করি।

সিন্ডিকেটের ধর্ম নেই, তারা প্রতিবার একই পরিস্থিতি তৈরি করে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ওপর আস্থা রাখেন। ভায়োলেট হলে জবাব দেবো। দায়িত্ব নিয়ে বলছি এখন থেকে যা হবে আমাদের এখান থেকে প্রচেষ্টা কম থাকবে না।