Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ নাটক করে তলে তলে অপকর্ম করার কৌশল সরকারের : গয়েশ্বর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:১০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৯৫ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মিয়ানমার ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকার ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ নাটক করে তলে তলে অপকর্ম করার নতুন কৌশল নেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত নারী সমাজের ওপর অপমানের শেষ কোথায়- শীর্ষক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের সম্মানহানি ঘটিয়েছে। এদের ক্ষমতায় রাখলে দেশ নিরাপদ থাকবে না। সীমান্তে অস্থিরতা দেখা দিলেও সরকার প্রতিবাদ করতে পারে না। মিয়ানমারের মতো দেশ গুলি করে, এটা কীসের আলামত? রাখাইন থেকে সৈন্যরা এদেশে আসছে, কীসের আলামত? গুলি খেয়ে মানুষ মরছে কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারছে না।

তিনি বলেন, আজকের পরিস্থিতিতে বিশ্ববাসী বুঝতে পেরেছে, এদেশে কোনো সভ্য লোকের বাস করার মতো পরিস্থিতি নেই। এরা (আওয়ামী লীগ) আমাদের একটা অসভ্য জাতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

মিয়ানমারের মর্টার শেলে বাংলাদেশে দুজনের নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, আজ রাখাইন থেকে সৈন্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আবার তাদের নিক্ষেপ করা বোমায় এ দেশের মানুষ আহত ও নিহত হয়। এটি আসলে কীসের লক্ষণ, আমার জানা নেই। বিএসএফ এত লোককে গুলি করে মারল, এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই সরকার নিল না। এমনকি একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত করলেন না।

তিনি বলেন, আগে যখন বিডিআর ছিল, তখন বিএসএফের দিক থেকে একটা গুলি করলে জবাবে এপার থেকে দশটা গুলি করা হতো। কিন্তু এখন এর কোন প্রতিবাদ না করে উলটো তাদের সঙ্গে এক হয়ে নাস্তা করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশের সংখ্যালঘুরা নৌকা ছেড়ে ঈগলে ঝাঁপ দিয়েছে। তার কারণে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি পত্রিকায় বলল, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। আমরা ঝিনাইদহতে গিয়েছিলাম। সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা ঈগল মার্কার ভোট দিয়েছে। এই কারণে সংখ্যালঘুর ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুরে। সেখানে একে আজাদের ঈগল মার্কায় ভোট দেওয়ার কারণে জেলে পাড়ার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘একটা ভালো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তা হলো ভোট ব্যাংক ভেঙে গেছে। এই দেশের সংখ্যালঘুরা নৌকা ছেড়ে ঈগলে ঝাঁপ দিয়েছে। তারা নৌকায় ভোট দেয়নি। ভারতের নরেন্দ্র মোদি… যাদের জিম্মি করে আজ তুমি বাংলাদেশে রাজত্ব করছো, সেটি থাকবে না। এই রাজত্ব ভেঙে পড়বে। কারা ভাঙবে জনগণ ভাঙবে। আমরা জনগণের পাশে থাকব। দেশকে নতুন করে স্বাধীন করব। আর নয় প্রতিবাদ, এখন থেকে প্রতিশোধ…।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে ধর্ষণের শিকার নারীর প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছিল পাকিস্থানি বর্বর বাহিনী। আর আজকে যারা আমার মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করছে, তারা কোন বাহিনী?’

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচারে প্রয়োজন হলে ৫০ বছর অপেক্ষা করতে হবে— আইনমন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ‘এ রকম জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিচার ৫০ বছরেও যদি পাওয়া না যায়, তাহলে তাদের কী ৫০ দিন ক্ষমতায় রাখার দায়িত্ব আছে আমাদের?’

সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে আর কোনো দিন ভোট হবে না দাবি করে তিনি বলেন, ‘তাদের ক্ষমতায় রেখে কখনো দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। তাদের ক্ষমতায় রাখলে কখনো মানুষ নিরাপদ বোধ করবে না। অর্থাৎ মানসম্মান তো দূরের কথা, জীবন নিয়েও বেঁচে থাকার সুযোগ থাকবে না।’

মিয়ানমার সীমান্তে সংঘাতপূর্ণ উদ্ভূত পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত সীমান্তে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্তে ওপার থেকে গুলি এসে মানুষ মরছে। কিন্তু আমাদের কোনো আওয়াজ আছে? নেই, কেন নেই। তাহলে কেন হাজার-হাজার কোটি টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনি? কেন এতো আধুনিক অস্ত্র কিনি? সেই অস্ত্র যদি সেই দেশের জনগণের ওপর বারবার চালানো হয়, তাহলে সেই দেশকে কী স্বাধীন বলা যায়? কোনো মতেই স্বাধীন বলা যায় না। এ জন্য তো দেশ স্বাধীন করিনি। অন্যের গোলামি করে ক্ষমতার মসনদে বসে থাকার জন্য দেশ স্বাধীন করিনি।’

‘আর আইনের কথা কী বলব? পুলিশি হেফাজতে বডিবিল্ডার ফারুকের মৃত্যুর হয়। প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, আপনার সোনার ছেলেদের কী এ জন্য পোশাক দেওয়া হয়। এ জন্য কী আমরা দেশে ট্যাক্স দেই? গুন্ডামি করতে হলে করুক, পুলিশের পোশাক খুলে করুক।’

তিনি বলেন, ‘আমি যদি এখন আদালতকে একটা গালি দেই, তাহলে কালকে কোর্টে নিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখবে। কিন্তু ওই পুলিশ অফিসারকে আদালত ডাকে না। অথচ এটা নিয়ে আইন আছে। আজ বিচারক ও আদালত যদি নিজেদের চাকরির জন্য অন্ধ হয়ে যায়, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে?’

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো শাহজাহান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজী প্রমুখ।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ নাটক করে তলে তলে অপকর্ম করার কৌশল সরকারের : গয়েশ্বর

প্রকাশের সময় : ০৫:১০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মিয়ানমার ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকার ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ নাটক করে তলে তলে অপকর্ম করার নতুন কৌশল নেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত নারী সমাজের ওপর অপমানের শেষ কোথায়- শীর্ষক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের সম্মানহানি ঘটিয়েছে। এদের ক্ষমতায় রাখলে দেশ নিরাপদ থাকবে না। সীমান্তে অস্থিরতা দেখা দিলেও সরকার প্রতিবাদ করতে পারে না। মিয়ানমারের মতো দেশ গুলি করে, এটা কীসের আলামত? রাখাইন থেকে সৈন্যরা এদেশে আসছে, কীসের আলামত? গুলি খেয়ে মানুষ মরছে কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারছে না।

তিনি বলেন, আজকের পরিস্থিতিতে বিশ্ববাসী বুঝতে পেরেছে, এদেশে কোনো সভ্য লোকের বাস করার মতো পরিস্থিতি নেই। এরা (আওয়ামী লীগ) আমাদের একটা অসভ্য জাতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

মিয়ানমারের মর্টার শেলে বাংলাদেশে দুজনের নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, আজ রাখাইন থেকে সৈন্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আবার তাদের নিক্ষেপ করা বোমায় এ দেশের মানুষ আহত ও নিহত হয়। এটি আসলে কীসের লক্ষণ, আমার জানা নেই। বিএসএফ এত লোককে গুলি করে মারল, এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই সরকার নিল না। এমনকি একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত করলেন না।

তিনি বলেন, আগে যখন বিডিআর ছিল, তখন বিএসএফের দিক থেকে একটা গুলি করলে জবাবে এপার থেকে দশটা গুলি করা হতো। কিন্তু এখন এর কোন প্রতিবাদ না করে উলটো তাদের সঙ্গে এক হয়ে নাস্তা করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশের সংখ্যালঘুরা নৌকা ছেড়ে ঈগলে ঝাঁপ দিয়েছে। তার কারণে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি পত্রিকায় বলল, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। আমরা ঝিনাইদহতে গিয়েছিলাম। সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা ঈগল মার্কার ভোট দিয়েছে। এই কারণে সংখ্যালঘুর ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুরে। সেখানে একে আজাদের ঈগল মার্কায় ভোট দেওয়ার কারণে জেলে পাড়ার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘একটা ভালো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তা হলো ভোট ব্যাংক ভেঙে গেছে। এই দেশের সংখ্যালঘুরা নৌকা ছেড়ে ঈগলে ঝাঁপ দিয়েছে। তারা নৌকায় ভোট দেয়নি। ভারতের নরেন্দ্র মোদি… যাদের জিম্মি করে আজ তুমি বাংলাদেশে রাজত্ব করছো, সেটি থাকবে না। এই রাজত্ব ভেঙে পড়বে। কারা ভাঙবে জনগণ ভাঙবে। আমরা জনগণের পাশে থাকব। দেশকে নতুন করে স্বাধীন করব। আর নয় প্রতিবাদ, এখন থেকে প্রতিশোধ…।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে ধর্ষণের শিকার নারীর প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছিল পাকিস্থানি বর্বর বাহিনী। আর আজকে যারা আমার মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করছে, তারা কোন বাহিনী?’

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচারে প্রয়োজন হলে ৫০ বছর অপেক্ষা করতে হবে— আইনমন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ‘এ রকম জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিচার ৫০ বছরেও যদি পাওয়া না যায়, তাহলে তাদের কী ৫০ দিন ক্ষমতায় রাখার দায়িত্ব আছে আমাদের?’

সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে আর কোনো দিন ভোট হবে না দাবি করে তিনি বলেন, ‘তাদের ক্ষমতায় রেখে কখনো দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। তাদের ক্ষমতায় রাখলে কখনো মানুষ নিরাপদ বোধ করবে না। অর্থাৎ মানসম্মান তো দূরের কথা, জীবন নিয়েও বেঁচে থাকার সুযোগ থাকবে না।’

মিয়ানমার সীমান্তে সংঘাতপূর্ণ উদ্ভূত পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত সীমান্তে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্তে ওপার থেকে গুলি এসে মানুষ মরছে। কিন্তু আমাদের কোনো আওয়াজ আছে? নেই, কেন নেই। তাহলে কেন হাজার-হাজার কোটি টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনি? কেন এতো আধুনিক অস্ত্র কিনি? সেই অস্ত্র যদি সেই দেশের জনগণের ওপর বারবার চালানো হয়, তাহলে সেই দেশকে কী স্বাধীন বলা যায়? কোনো মতেই স্বাধীন বলা যায় না। এ জন্য তো দেশ স্বাধীন করিনি। অন্যের গোলামি করে ক্ষমতার মসনদে বসে থাকার জন্য দেশ স্বাধীন করিনি।’

‘আর আইনের কথা কী বলব? পুলিশি হেফাজতে বডিবিল্ডার ফারুকের মৃত্যুর হয়। প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, আপনার সোনার ছেলেদের কী এ জন্য পোশাক দেওয়া হয়। এ জন্য কী আমরা দেশে ট্যাক্স দেই? গুন্ডামি করতে হলে করুক, পুলিশের পোশাক খুলে করুক।’

তিনি বলেন, ‘আমি যদি এখন আদালতকে একটা গালি দেই, তাহলে কালকে কোর্টে নিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখবে। কিন্তু ওই পুলিশ অফিসারকে আদালত ডাকে না। অথচ এটা নিয়ে আইন আছে। আজ বিচারক ও আদালত যদি নিজেদের চাকরির জন্য অন্ধ হয়ে যায়, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে?’

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো শাহজাহান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজী প্রমুখ।