Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ.লীগই বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে, বিএনপি কারও দিকে তাকিয়ে নেই : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগই বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে, বিএনপি কারও দিকে তাকিয়ে নেই। বিদেশি শক্তিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে সরকার আহ্লাদিত। শেখ হাসিনা তার অস্তিত্ব আধিপত্যবাদীদের কাছে বিলীন করে দিয়েছে। নিরাপদ প্রস্থানের পথও সংকুচিত হওয়ায় নতজানু নীতি অবলম্বন করেছে সরকার।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচনের পর বিএনপি আবারও নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সরকার যাতে ক্ষমতায় থাকতে না পারে, সেজন্য তারা বিদেশি বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা কম্বোডিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞা আশা করছে’। আমি ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বলতে চাই, বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ডামি সরকার গঠন করে আপনারা এখন ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন। জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এখন আপনারা ষড়যন্ত্র তথ্য খুঁজছেন।

নির্বাচনের পর কৃত্রিম আনন্দ—ফুর্তিতে মেতে থাকার চেষ্টা করলেও আপনাদের মনে শান্তি নেই উল্লেখ রিজভী বলেন, প্রতিনিয়ত ক্ষমতার ভয় তাড়া করছে আপনাদের। কারণ সহিংসতা ও বিরোধী নেতাকর্মীদের দমনের মধ্য দিয়ে একতরফা নির্বাচন করলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলছে এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের গণতন্ত্রকামীরা ২০১৪, ২০১৮ ও গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে ধিক্কার জানাচ্ছে। ৭ জানুয়ারি লালকার্ড দেখিয়ে জনগণ রেফারির ভূমিকা নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থীরাও বলছেন প্রহসনের নির্বাচন। সেই একদলীয় একতরফা ভুয়া নির্বাচনে ভোটাররা যায়নি। গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাল ভোট ও অনিয়মের হাজারো চিত্র ভাইরাল হয়েছে। শিশুরাও দেদার সিল মেরেছে।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দলের (বিএনপির) কার্যালয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তালাবদ্ধ করে দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে একতরফা নির্বাচন করেছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কৃত্রিম আনন্দে থাকলেও সরকার শংকায় রয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার এখন তার অস্তিত্ব আধিপত্যবাদী শক্তির কাছে বিলীন করে দিয়েছে। অন্য দেশের সরাসরি মদদে জনগণের ভোটাধিকার গলাটিপে হত্যা করে ইলেকশন ক্রাইম করেছে আওয়ামী লীগ। তারা এখন তাদের পক্ষে কোনো দেশ নেই সেই হিসাব নিয়ে প্রহর পার করছে। গণবিচ্ছিন্ন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বুঝে গেছেন গণতান্ত্রিক বিশ্ব এবং দেশের সমস্ত জনগণ তার বিপক্ষে। এখন তার নিরাপদ প্রস্থানের পথও অতি সংকুচিত হয়ে গেছে। সুতরাং এখন তার ভরসা একনায়কতান্ত্রিক কয়েকটি দেশ এবং আধিপত্যবাদী শক্তির নিকট নতজানু হয়ে থাকা। তবে এভাবে টিকে থাকতে পারবে না।

৭ জানুয়ারি দেশি-বিদেশি লোক দেখানো একদলীয় পাতানো ডামি নির্বাচন এবং চার দিনের মধ্যে বিশ্ব ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে কলঙ্কজনক সরকার গঠনের নজিরবিহীন ঘটনার পরও শেখ হাসিনার মধ্যে ন্যূনতম অপরাধবোধ নেই। ভোট ডাকাতি, দুর্নীতি, লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, হত্যা-গুম খুন, অপকর্মের মহাসাগরে ডুবে থাকলে মানুষ বোধহীন বিবেকহীন অমানুষ হয়ে পড়ে। এখন অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় বসে দেশবাসীর সঙ্গে সস্তা রসিকতা করছেন। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের হুমকি দিচ্ছেন। ফুরফুরে মেজাজি ঢংয়ে পেয়ারা হিন্দুস্থানের হিন্দি গান, রবিন্দ্র সংগীত শোনাচ্ছেন। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি প্রদর্শনের জন্য ডামিদের প্রতিযোগিতার আসর বসানোর স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন। টুঙ্গিপাড়ায় মতবিনিময় সভায় শেখ হাসিনার বক্তৃতা শুনে আমি বিস্মিত হতবাক হয়েছি।

রিজভী বলেন, জনগণের আন্দোলনে সরকারের পতন হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই। সত্যিকারের এবং গতিশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় হচ্ছে আমাদের চলমান আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আগে ভোট কেন্দ্রে গরু ছাগলসহ চতুষ্পদ প্রাণীরা বিচরণ করলেও এবারের নির্বাচনে নতুন সংযোজন হয়েছে বানর। আওয়ামী লীগের পরাজিত দলীয় প্রার্থীরাও এই নির্বাচনকে প্রহসন ও তামাশার নির্বাচন বলে অভিহিত করেছে। এই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন দেশে—বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

রিজভী বলেন, ‘অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা—যার কারণে জিনিসের দাম আরও বেড়েছে। এর মধ্যে আমেরিকা হুতিদের আক্রমণ করল, এ কারণে অর্থনীতিতে আরেকটা ধাক্কা আসবেই।’ আমি বলতে চাই ইউক্রেন যুদ্ধসহ কোনো কারণেই বিশ্বের অন্যান্য দেশে দ্রব্যমূল্য বাড়েনি। কারণ মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করে উদ্ভট উন্নয়নের নামে বাংলাদেশে মহাসমারোহে দুর্নীতি আর লুটপাট চলছে। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। এটি এখন সর্বজনস্বীকৃত।

তিনি বলেন, সরকারদলীয় লোকেরা সমস্ত ব্যাংক লুটে নিয়েছে। মন্ত্রী ও দলীয় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে সব পণ্যের মূল্য এখন আকাশচুম্বী। দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা আওয়ামী লীগের লোকজন পাচার করে যাচ্ছে। এক কেজি চালের দামে এক কেজি আলু কেনা যায় না। এই সবজির সিজনেও সব সবজি ১০০-২০০ টাকার নিচে নয়।

রিজভী বলেন, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ আকাশ স্পর্শ করছে। মানুষ ক্ষুধার জ্বালায় সন্তান বিক্রি করে আহাজারি করছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা স্বর্গের মধ্যে বাস করছে বলেই ক্ষুধার্ত জনগণের সঙ্গে মশকরা করতে তাদের বাধে না। সরকারের মহাদুর্নীতি এবং অর্থ ও সম্পদ পাচারের কারণেই অর্থনীতিতে বারবার ধাক্কা আসছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, যুব বিষয়ক সহসম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য জেড মোর্তুজা চৌধুরী তুলা, আমিনুল ইসলাম ও তারিকুল আলম তেনজিং প্রমুখ।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

আ.লীগই বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে, বিএনপি কারও দিকে তাকিয়ে নেই : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০২:৪১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগই বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে, বিএনপি কারও দিকে তাকিয়ে নেই। বিদেশি শক্তিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে সরকার আহ্লাদিত। শেখ হাসিনা তার অস্তিত্ব আধিপত্যবাদীদের কাছে বিলীন করে দিয়েছে। নিরাপদ প্রস্থানের পথও সংকুচিত হওয়ায় নতজানু নীতি অবলম্বন করেছে সরকার।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচনের পর বিএনপি আবারও নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সরকার যাতে ক্ষমতায় থাকতে না পারে, সেজন্য তারা বিদেশি বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা কম্বোডিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞা আশা করছে’। আমি ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বলতে চাই, বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ডামি সরকার গঠন করে আপনারা এখন ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন। জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এখন আপনারা ষড়যন্ত্র তথ্য খুঁজছেন।

নির্বাচনের পর কৃত্রিম আনন্দ—ফুর্তিতে মেতে থাকার চেষ্টা করলেও আপনাদের মনে শান্তি নেই উল্লেখ রিজভী বলেন, প্রতিনিয়ত ক্ষমতার ভয় তাড়া করছে আপনাদের। কারণ সহিংসতা ও বিরোধী নেতাকর্মীদের দমনের মধ্য দিয়ে একতরফা নির্বাচন করলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলছে এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের গণতন্ত্রকামীরা ২০১৪, ২০১৮ ও গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে ধিক্কার জানাচ্ছে। ৭ জানুয়ারি লালকার্ড দেখিয়ে জনগণ রেফারির ভূমিকা নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থীরাও বলছেন প্রহসনের নির্বাচন। সেই একদলীয় একতরফা ভুয়া নির্বাচনে ভোটাররা যায়নি। গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাল ভোট ও অনিয়মের হাজারো চিত্র ভাইরাল হয়েছে। শিশুরাও দেদার সিল মেরেছে।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দলের (বিএনপির) কার্যালয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তালাবদ্ধ করে দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে একতরফা নির্বাচন করেছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কৃত্রিম আনন্দে থাকলেও সরকার শংকায় রয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার এখন তার অস্তিত্ব আধিপত্যবাদী শক্তির কাছে বিলীন করে দিয়েছে। অন্য দেশের সরাসরি মদদে জনগণের ভোটাধিকার গলাটিপে হত্যা করে ইলেকশন ক্রাইম করেছে আওয়ামী লীগ। তারা এখন তাদের পক্ষে কোনো দেশ নেই সেই হিসাব নিয়ে প্রহর পার করছে। গণবিচ্ছিন্ন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বুঝে গেছেন গণতান্ত্রিক বিশ্ব এবং দেশের সমস্ত জনগণ তার বিপক্ষে। এখন তার নিরাপদ প্রস্থানের পথও অতি সংকুচিত হয়ে গেছে। সুতরাং এখন তার ভরসা একনায়কতান্ত্রিক কয়েকটি দেশ এবং আধিপত্যবাদী শক্তির নিকট নতজানু হয়ে থাকা। তবে এভাবে টিকে থাকতে পারবে না।

৭ জানুয়ারি দেশি-বিদেশি লোক দেখানো একদলীয় পাতানো ডামি নির্বাচন এবং চার দিনের মধ্যে বিশ্ব ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে কলঙ্কজনক সরকার গঠনের নজিরবিহীন ঘটনার পরও শেখ হাসিনার মধ্যে ন্যূনতম অপরাধবোধ নেই। ভোট ডাকাতি, দুর্নীতি, লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, হত্যা-গুম খুন, অপকর্মের মহাসাগরে ডুবে থাকলে মানুষ বোধহীন বিবেকহীন অমানুষ হয়ে পড়ে। এখন অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় বসে দেশবাসীর সঙ্গে সস্তা রসিকতা করছেন। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের হুমকি দিচ্ছেন। ফুরফুরে মেজাজি ঢংয়ে পেয়ারা হিন্দুস্থানের হিন্দি গান, রবিন্দ্র সংগীত শোনাচ্ছেন। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি প্রদর্শনের জন্য ডামিদের প্রতিযোগিতার আসর বসানোর স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন। টুঙ্গিপাড়ায় মতবিনিময় সভায় শেখ হাসিনার বক্তৃতা শুনে আমি বিস্মিত হতবাক হয়েছি।

রিজভী বলেন, জনগণের আন্দোলনে সরকারের পতন হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই। সত্যিকারের এবং গতিশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় হচ্ছে আমাদের চলমান আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আগে ভোট কেন্দ্রে গরু ছাগলসহ চতুষ্পদ প্রাণীরা বিচরণ করলেও এবারের নির্বাচনে নতুন সংযোজন হয়েছে বানর। আওয়ামী লীগের পরাজিত দলীয় প্রার্থীরাও এই নির্বাচনকে প্রহসন ও তামাশার নির্বাচন বলে অভিহিত করেছে। এই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন দেশে—বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

রিজভী বলেন, ‘অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা—যার কারণে জিনিসের দাম আরও বেড়েছে। এর মধ্যে আমেরিকা হুতিদের আক্রমণ করল, এ কারণে অর্থনীতিতে আরেকটা ধাক্কা আসবেই।’ আমি বলতে চাই ইউক্রেন যুদ্ধসহ কোনো কারণেই বিশ্বের অন্যান্য দেশে দ্রব্যমূল্য বাড়েনি। কারণ মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করে উদ্ভট উন্নয়নের নামে বাংলাদেশে মহাসমারোহে দুর্নীতি আর লুটপাট চলছে। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। এটি এখন সর্বজনস্বীকৃত।

তিনি বলেন, সরকারদলীয় লোকেরা সমস্ত ব্যাংক লুটে নিয়েছে। মন্ত্রী ও দলীয় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে সব পণ্যের মূল্য এখন আকাশচুম্বী। দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা আওয়ামী লীগের লোকজন পাচার করে যাচ্ছে। এক কেজি চালের দামে এক কেজি আলু কেনা যায় না। এই সবজির সিজনেও সব সবজি ১০০-২০০ টাকার নিচে নয়।

রিজভী বলেন, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ আকাশ স্পর্শ করছে। মানুষ ক্ষুধার জ্বালায় সন্তান বিক্রি করে আহাজারি করছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা স্বর্গের মধ্যে বাস করছে বলেই ক্ষুধার্ত জনগণের সঙ্গে মশকরা করতে তাদের বাধে না। সরকারের মহাদুর্নীতি এবং অর্থ ও সম্পদ পাচারের কারণেই অর্থনীতিতে বারবার ধাক্কা আসছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, যুব বিষয়ক সহসম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য জেড মোর্তুজা চৌধুরী তুলা, আমিনুল ইসলাম ও তারিকুল আলম তেনজিং প্রমুখ।