নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, যেদিন মনোনয়ন দাখিল করেছে সেই দিনই তো নির্বাচন হয়ে গেছে। তাই বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ কোন গুরুত্ব বহন করে না।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল কর্তৃক আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে তোপখানা রোডসহ আশপাশ এলাকা লিপলেট বিতরণ করা হয়।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন বর্জন করেছে কারণ এদেশে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। জনগণের ইচ্ছার কোন প্রতিফলন হয় না। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য কিভাবে দিনের ভোট রাতে করবে অথবা ভুয়া সাজানো একটি নির্বাচন করবে এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে ভুয়া একটি ফলাফল তৈরি করে তাদের ইচ্ছামত একটি সরকার গঠন করবে।
মঈন খান বলেন, একদলীয় বাকশাল সরকার গঠন করবে সেই উদ্দেশ্যই তারা এই নির্বাচনের নামে একটা নাটক তৈরি করছে। ইতোমধ্যেই প্রত্যেকটা দেশ বলে দিয়েছে বাংলাদেশের যে নির্বাচন হচ্ছে এটা কোনো নির্বাচন নয়।
তিনি বলেন, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকার তাদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চায়। তারা ক্ষমতার মাধ্যমে মেগা দুর্নীতি করে অবৈধ সংসদ গঠন করবে। বিগত ১৫ বছরে এই সরকার ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারের উন্নীত করেছে। এই দায় দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষের ট্যাক্সের উপরে। এই টাকা তারা লোপাট করে বিদেশে পাচার করে বেগম পাড়া তৈরি করেছে। তারা এই টাকা দিয়ে মালয়েশিয়া সেকেন্ড হোম তৈরি করেছে। বাংলাদেশের মানুষ আজ থেকে ৫২ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধ করে এই দেশে স্বাধীন করেছিল। আমরা বলেছিলাম একটি স্বাধীন দেশ চাই যে দেশে থাকবে গণতন্ত্র গরিব মানুষের স্বাধীনতা। পাকিস্তানের বাইশটি পরিবার সমস্ত সম্পদ কুক্ষিগত করে নিয়েছিল আজ এই আওয়ামী বাকশালী সরকার তাই করছে। সেই ২২ পরিবারের পরিবর্তে তাদের আত্মীয়-স্বজন মিলে ২২০ টি পরিবার তৈরি করেছে। এইজন্যই বাংলাদেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে।
তিনি বলেন, আমরা বিগত এক বছর যাবত প্রতিবাদ করেছি। শুধু একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশের পরিবর্তন আনার জন্য। আমরা সংঘাতের রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনা। আমরা চাই বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এ দেশের পরিবর্তন আনতে। এই সরকার দেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। এখন এই সরকারের স্লোগান হলো আমার ভোট আমি দেবো দিনের ভোট রাতে দিব। এই সরকারকে বুঝতে হবে ২০২৪ সাল কিন্তু ২০১৪ সাল নয়। এই ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে নিবে এ চিন্তা করার কোন সুযোগ নাই। আমরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে মোকাবেলা করব কিন্তু শান্তি ভঙ্গ করবো না। আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব ইনশাল্লাহ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম এর নেতৃত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সহ-সভাপতি আবুল বাশার আকন, জামাল উদ্দিন খান মিলন, যুগ্ম সম্পাদক ফেরদাউস পাটোয়ারী প্রমুখ।