Dhaka মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বপ্নের ফাইনালে ভারত

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

মুম্বাইয়ে কিউই বোলারদের কচুকাটা করে রান-উৎসব করেছেন কোহলি-আইয়াররা! তাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে রান পাহাড় গড়েছিল ভারত। জিততে হলে এই পাহাড় টপকে নতুন করে ইতিহাস লিখতে হতো কিউইদের। কিন্তু মোহাম্মদ শামি সেখানে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন! এই ডানহাতি পেসারের আগুনে পুড়েছে কেন উইলিয়ামসনের দল। ৭০ রানের জয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে স্বাগতিকরা।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৯৭ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ১১৭ রান এসেছে বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। তাছাড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ারও।

ভারতের দেয়া ৩৯৮ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনেই করেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবিন্দ্র। তবে রান তোলার চাপে শেষ পর্যন্ত বিদায় নেন কনওয়ে। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে মোহাম্মদ শামির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাউভ করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক না হওয়ায় এজ হয়ে উইকেটের পেছনে থাকা লোকেশ রাহুলের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৩টি চারে ১৩ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

আরেক ওপেনার রাচিন রবীন্দ্রও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শামির দারুণ এক ডেলিভারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাহুলের গ্লাভসে। দারুণ ছন্দে থাকা তরুণ এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর নিউজিল্যান্ডকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন উইলিয়ামসন এবং মিচেল। কাজটা দারুণভাবে করেছেনও তারা দু’জন। সময় যত বেড়েছে নিউজিল্যান্ডের রান তোলার গতি ততই বেড়েছে। উইলিয়ামসন খানিকটা ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও মিচেল প্রায়শই ভারতীয় বোলারদের আক্রমণ করার চেষ্টা করেন। ৪৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পর রান তোলার গতি আরও বাড়িয়ে দেন তিনি। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়া উইলিয়ামসন হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ৫৮ বলে। অন্যপ্রান্তে দারুন ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরিও তুলে নেন মিচেল। মাত্র ৮৫ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

ভারত যখন এই দুজনের জুটি ভাঙতে মরিয়া তখন উইলিয়ামসনের ক্যাচ মিস করেন শামি। যদিও পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ককে সাজঘরে পাঠান ডানহাতি এই পেসারই। শামির লেগ স্টাম্পের বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সুরিয়া কুমার যাদবের হাতে ধরা পড়েন ৬৯ রানের ইনিংস খেলা উইলিয়ামসন। একই ওভারে টম লাথামকে সাজঘরে ফেরান শামি। ভারতীয় এ পেসারের দারুণ এক ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন কিউই এই উইকেটকিপার ব্যাটার।

গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে তারপরও নিউজিল্যান্ডকে কক্ষপথেই রেখেছিলেন মিচেল। ৪১ রান করা ফিলিপসকে ফিরিয়ে ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দেন জসপ্রিত বুমরাহ। এরপর নিউজিল্যান্ডের শেষ স্বীকৃত ব্যাটার মার্ক চ্যাপম্যানও আউট হয়ে যান মাত্র ২ রান করে। তখনই মূলত ম্যাচ হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে যায় কিউইদের। একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকা মিচেলকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট স্পর্শ করেন শামি। আউট হওয়ার আগে মিচেলের ব্যাট থেকে আসে ১১৯ বলে ১৩৪ রানের ইনিংস। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ৭টি ছক্কা ও ৯টি চারের মার।

এরপর আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। মিচেল স্ট্যান্টনারও ফিরে গেলে বড় হার সঙ্গী করেই বিশ্বকাপে পথচলা শেষ হয় কিউইদের। নিউজিল্যান্ডের শেষ দুই উইকেট তুলে নিয়ে শামি নিজের বোলিং শেষ করেন ৫৭ রানে ৭ উইকেট নিয়ে। আর তাতেই নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে যায় ৩২৭ রানে। ভারতের হয়ে একটি করে উইকেট নেন জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও কুলদীপ যাদব।

এর আগে ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা-শুবমান গিল নতুন বলে আক্রমণাত্মক শুরু করেন। ট্রেন্ট বোল্টের মতো বিশেষজ্ঞ সুইং বোলারও সুবিধা করতে পারেননি। শুরুর ৫০ রান তুলতে মাত্র ৩২ বল খরচ করেছেন ভারতীয় ওপেনাররা। যেখানে সিংহভাগ রানই আসে রোহিতের ব্যাট থেকে।

উড়ন্ত শুরু করলেও রোহিত সাজঘরে ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। নবম ওভারে টিম সাউদিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কেন উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েছেন ভারত অধীনায়ক। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ বলে ৪৭ রান।

রোহিত ফেরার পর রানের গতি কিছুটা কমেছিল। তবে সেটা ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন গিল। তাতে ১৩তম ওভারেই তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে স্বাগতিকরা।

প্রথমবার কোনো আইসিসি ইভেন্টের সেমিতে খেলতে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন গিল। ৪১ বলে ছুঁয়েছিলেন ব্যক্তিগত ফিফটি। দারুণ সব শটে এগোচ্ছিলেন শতকের দিকেই। তবে তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায় চোট। পায়ের পেশিতে টান লাগায় ২৩তম ওভারের খেলা চলাকালে মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে সেই চোট গুরুত্বর ছিল না। ৪ উইকেট যাওয়ার পর আবারও ব্যাটিংয়ে নেমেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৮০ রানে।

তিনে নেমে ধীর গতির শুরু করেছিলেন কোহলি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বের হয়ে এসেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। স্বভাবজাত ব্যাটিংয়ে আরও একবার বড় মঞ্চে নিজের জাত চেনালেন তিনি। ৫৯ বলে ফিফটি করেছিলেন। পরের ৫০ রান করতে খেলেছেন ৪৭ বল। সবমিলিয়ে ১০৬ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছেছেন তিনি। এটি ওয়ানডেতে তার ৫০তম সেঞ্চুরি। তাতে শচীনকে ছাড়িয়ে এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক হলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১১৭ রান করে থেমেছেন কোহলি।

এরপর আক্রমনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন আইয়ার। কোহলি রানে-বলে সেঞ্চুরি করলেও আইয়ার এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে। ৩ চার আর ৮ ছক্কায় শতকে পৌঁছেছেন মাত্র ৬৭ বলে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭০ বলে ১০৫ রান।

শেষদিকে আবারও ব্যাট করতে নামেন ইনজুরিতে মাঠ ছাড়া গিল। তবে এই যাত্রায় তার ব্যাট থেকে আসে কেবল এক রান। আর লোকেশ রাহুলের ২০ বলে ৩৯ রানের ক্যামিওতে ৩৯৭ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন সাউদি। তবে বল হাতে সাউদি রান দিয়েছেন ১০০। বাকি উইকেটটি পান ট্রেন্ট বোল্ট।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলকাতায় অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচেই বিরাট কোহলিদের বিশ্বকাপের ফাইনালের প্রতিপক্ষ নির্ধারণ হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

স্বপ্নের ফাইনালে ভারত

প্রকাশের সময় : ১১:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

মুম্বাইয়ে কিউই বোলারদের কচুকাটা করে রান-উৎসব করেছেন কোহলি-আইয়াররা! তাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে রান পাহাড় গড়েছিল ভারত। জিততে হলে এই পাহাড় টপকে নতুন করে ইতিহাস লিখতে হতো কিউইদের। কিন্তু মোহাম্মদ শামি সেখানে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন! এই ডানহাতি পেসারের আগুনে পুড়েছে কেন উইলিয়ামসনের দল। ৭০ রানের জয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে স্বাগতিকরা।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৯৭ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ১১৭ রান এসেছে বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। তাছাড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ারও।

ভারতের দেয়া ৩৯৮ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনেই করেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবিন্দ্র। তবে রান তোলার চাপে শেষ পর্যন্ত বিদায় নেন কনওয়ে। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে মোহাম্মদ শামির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাউভ করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক না হওয়ায় এজ হয়ে উইকেটের পেছনে থাকা লোকেশ রাহুলের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৩টি চারে ১৩ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

আরেক ওপেনার রাচিন রবীন্দ্রও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শামির দারুণ এক ডেলিভারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাহুলের গ্লাভসে। দারুণ ছন্দে থাকা তরুণ এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর নিউজিল্যান্ডকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন উইলিয়ামসন এবং মিচেল। কাজটা দারুণভাবে করেছেনও তারা দু’জন। সময় যত বেড়েছে নিউজিল্যান্ডের রান তোলার গতি ততই বেড়েছে। উইলিয়ামসন খানিকটা ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও মিচেল প্রায়শই ভারতীয় বোলারদের আক্রমণ করার চেষ্টা করেন। ৪৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পর রান তোলার গতি আরও বাড়িয়ে দেন তিনি। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়া উইলিয়ামসন হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ৫৮ বলে। অন্যপ্রান্তে দারুন ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরিও তুলে নেন মিচেল। মাত্র ৮৫ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

ভারত যখন এই দুজনের জুটি ভাঙতে মরিয়া তখন উইলিয়ামসনের ক্যাচ মিস করেন শামি। যদিও পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ককে সাজঘরে পাঠান ডানহাতি এই পেসারই। শামির লেগ স্টাম্পের বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সুরিয়া কুমার যাদবের হাতে ধরা পড়েন ৬৯ রানের ইনিংস খেলা উইলিয়ামসন। একই ওভারে টম লাথামকে সাজঘরে ফেরান শামি। ভারতীয় এ পেসারের দারুণ এক ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন কিউই এই উইকেটকিপার ব্যাটার।

গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে তারপরও নিউজিল্যান্ডকে কক্ষপথেই রেখেছিলেন মিচেল। ৪১ রান করা ফিলিপসকে ফিরিয়ে ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দেন জসপ্রিত বুমরাহ। এরপর নিউজিল্যান্ডের শেষ স্বীকৃত ব্যাটার মার্ক চ্যাপম্যানও আউট হয়ে যান মাত্র ২ রান করে। তখনই মূলত ম্যাচ হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে যায় কিউইদের। একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকা মিচেলকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট স্পর্শ করেন শামি। আউট হওয়ার আগে মিচেলের ব্যাট থেকে আসে ১১৯ বলে ১৩৪ রানের ইনিংস। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ৭টি ছক্কা ও ৯টি চারের মার।

এরপর আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। মিচেল স্ট্যান্টনারও ফিরে গেলে বড় হার সঙ্গী করেই বিশ্বকাপে পথচলা শেষ হয় কিউইদের। নিউজিল্যান্ডের শেষ দুই উইকেট তুলে নিয়ে শামি নিজের বোলিং শেষ করেন ৫৭ রানে ৭ উইকেট নিয়ে। আর তাতেই নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে যায় ৩২৭ রানে। ভারতের হয়ে একটি করে উইকেট নেন জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও কুলদীপ যাদব।

এর আগে ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা-শুবমান গিল নতুন বলে আক্রমণাত্মক শুরু করেন। ট্রেন্ট বোল্টের মতো বিশেষজ্ঞ সুইং বোলারও সুবিধা করতে পারেননি। শুরুর ৫০ রান তুলতে মাত্র ৩২ বল খরচ করেছেন ভারতীয় ওপেনাররা। যেখানে সিংহভাগ রানই আসে রোহিতের ব্যাট থেকে।

উড়ন্ত শুরু করলেও রোহিত সাজঘরে ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। নবম ওভারে টিম সাউদিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কেন উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েছেন ভারত অধীনায়ক। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ বলে ৪৭ রান।

রোহিত ফেরার পর রানের গতি কিছুটা কমেছিল। তবে সেটা ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন গিল। তাতে ১৩তম ওভারেই তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে স্বাগতিকরা।

প্রথমবার কোনো আইসিসি ইভেন্টের সেমিতে খেলতে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন গিল। ৪১ বলে ছুঁয়েছিলেন ব্যক্তিগত ফিফটি। দারুণ সব শটে এগোচ্ছিলেন শতকের দিকেই। তবে তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায় চোট। পায়ের পেশিতে টান লাগায় ২৩তম ওভারের খেলা চলাকালে মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে সেই চোট গুরুত্বর ছিল না। ৪ উইকেট যাওয়ার পর আবারও ব্যাটিংয়ে নেমেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৮০ রানে।

তিনে নেমে ধীর গতির শুরু করেছিলেন কোহলি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বের হয়ে এসেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। স্বভাবজাত ব্যাটিংয়ে আরও একবার বড় মঞ্চে নিজের জাত চেনালেন তিনি। ৫৯ বলে ফিফটি করেছিলেন। পরের ৫০ রান করতে খেলেছেন ৪৭ বল। সবমিলিয়ে ১০৬ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছেছেন তিনি। এটি ওয়ানডেতে তার ৫০তম সেঞ্চুরি। তাতে শচীনকে ছাড়িয়ে এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক হলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১১৭ রান করে থেমেছেন কোহলি।

এরপর আক্রমনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন আইয়ার। কোহলি রানে-বলে সেঞ্চুরি করলেও আইয়ার এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে। ৩ চার আর ৮ ছক্কায় শতকে পৌঁছেছেন মাত্র ৬৭ বলে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭০ বলে ১০৫ রান।

শেষদিকে আবারও ব্যাট করতে নামেন ইনজুরিতে মাঠ ছাড়া গিল। তবে এই যাত্রায় তার ব্যাট থেকে আসে কেবল এক রান। আর লোকেশ রাহুলের ২০ বলে ৩৯ রানের ক্যামিওতে ৩৯৭ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন সাউদি। তবে বল হাতে সাউদি রান দিয়েছেন ১০০। বাকি উইকেটটি পান ট্রেন্ট বোল্ট।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলকাতায় অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচেই বিরাট কোহলিদের বিশ্বকাপের ফাইনালের প্রতিপক্ষ নির্ধারণ হবে।