Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাইডেনের সঙ্গে কখনো কথা হয়নি আরেফির: ডিবিপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তার কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফির কখনো কথা হয়নি। তবে ২০২১ সালে একটি জুম মিটিংয়ে বাইডেনের স্ত্রীর সঙ্গে তার একবার কথা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মিয়া আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারা ফটকে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ।

হারুন-অর-রশীদ বলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তারের পর তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেছি, কিছু বিষয়ের উত্তরও পেয়েছি। তবে কিছু বিষয় অস্পষ্ট ও দ্বিমত পোষণ করায় আমরা চিন্তা করলাম, কারাগারে গিয়ে (মিয়া আরেফিকে) জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আমাদের জানিয়েছেন, তিনি “ট্র্যাপে” (ফাঁদ) পড়েছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি নেতা সারওয়ার্দী তাঁকে ট্র্যাপে ফেলেছেন। তাঁকে দেশে এনে বিভিন্ন নেতা-কর্মীর নম্বর দেন। মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস ও আবদুল আউয়াল মিন্টুর নম্বর দিয়ে বলেছেন তাঁর কথা বলার জন্য। নেতাদের কাছে গিয়ে তাঁর প্রশংসা এবং “হাইলাইট” করার জন্য বলেন। তিনি (মিয়া আরেফি) আবদুল আউয়াল মিন্টুর বাসায় যান। এসব কাজ করতে সহায়তা করেছেন সারওয়ার্দী।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর এগুলো করার উদ্দেশ্য হলো, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে তিনি ভালো একটি পদ পাবেন। এসবের জন্যই এটি করেছেন। তবে মিয়া আরেফি স্বীকার করেছেন, তিনি বুঝতে পারেননি তাঁর সঙ্গে এভাবে প্রতারণা করে ‘ট্র্যাপে’ ফেলা হয়েছে। এখন তিনি অনুতপ্ত এবং ঠিক করেননি বলে মনে করেন।

এ কাজগুলো করার পেছনে মিয়া আরেফির কী উদ্দেশ্য বা লাভ ছিল, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ডিবিপ্রধান হারুন বলেন, তাঁর লাভ বলতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী সরকারে ভালো অবস্থানে যাবেন। তখন তাঁকে দিয়ে তিনি লাভবান হবেন বা ভালো কিছু পাবেন।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক মিয়া আরেফি। তিনি নিজের পরিচয় দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘উপদেষ্টা’ হিসেবে। পরে ২৯ অক্টোবর রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিয়া আরেফিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বাইডেনের সঙ্গে কখনো কথা হয়নি আরেফির: ডিবিপ্রধান

প্রকাশের সময় : ১০:৪০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তার কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফির কখনো কথা হয়নি। তবে ২০২১ সালে একটি জুম মিটিংয়ে বাইডেনের স্ত্রীর সঙ্গে তার একবার কথা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মিয়া আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারা ফটকে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ।

হারুন-অর-রশীদ বলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তারের পর তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেছি, কিছু বিষয়ের উত্তরও পেয়েছি। তবে কিছু বিষয় অস্পষ্ট ও দ্বিমত পোষণ করায় আমরা চিন্তা করলাম, কারাগারে গিয়ে (মিয়া আরেফিকে) জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আমাদের জানিয়েছেন, তিনি “ট্র্যাপে” (ফাঁদ) পড়েছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি নেতা সারওয়ার্দী তাঁকে ট্র্যাপে ফেলেছেন। তাঁকে দেশে এনে বিভিন্ন নেতা-কর্মীর নম্বর দেন। মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস ও আবদুল আউয়াল মিন্টুর নম্বর দিয়ে বলেছেন তাঁর কথা বলার জন্য। নেতাদের কাছে গিয়ে তাঁর প্রশংসা এবং “হাইলাইট” করার জন্য বলেন। তিনি (মিয়া আরেফি) আবদুল আউয়াল মিন্টুর বাসায় যান। এসব কাজ করতে সহায়তা করেছেন সারওয়ার্দী।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর এগুলো করার উদ্দেশ্য হলো, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে তিনি ভালো একটি পদ পাবেন। এসবের জন্যই এটি করেছেন। তবে মিয়া আরেফি স্বীকার করেছেন, তিনি বুঝতে পারেননি তাঁর সঙ্গে এভাবে প্রতারণা করে ‘ট্র্যাপে’ ফেলা হয়েছে। এখন তিনি অনুতপ্ত এবং ঠিক করেননি বলে মনে করেন।

এ কাজগুলো করার পেছনে মিয়া আরেফির কী উদ্দেশ্য বা লাভ ছিল, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ডিবিপ্রধান হারুন বলেন, তাঁর লাভ বলতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী সরকারে ভালো অবস্থানে যাবেন। তখন তাঁকে দিয়ে তিনি লাভবান হবেন বা ভালো কিছু পাবেন।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক মিয়া আরেফি। তিনি নিজের পরিচয় দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘উপদেষ্টা’ হিসেবে। পরে ২৯ অক্টোবর রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিয়া আরেফিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।