Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রিয়াদের শতকে লজ্জার রেকর্ড থেকে বাঁচলো বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:২১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • ২১২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পর টানা তিন হার। জয়ের আশায় নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলো বাংলাদেশ। জয়তো দূরের কথা। কি হাল হলো টাইগারদের! শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকার জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশি বোলাররা। তবে ওইখানেই শেষ। এরপরের গল্পটা শুধুই হতাশার। কুইন্টন ডি ককের ১৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় প্রোটিয়ারা।

বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও হতাশার ষোলকলা পূর্ণ বাংলাদেশের। শুধু আসা যাওয়ার গল্প ব্যাটারদের। প্রাপ্তি বলতে কেবল মাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত সাইলেন্ট কিলারের শতকে লজ্জার হার এড়িয়ে ২৩৩ রানে থামে সাকিব বাহিনী। ফলে ১৪৯ রানের বড় ব্যবধানের জয়ে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে এইডেন মার্করামের দল। এই নিয়ে বিশ্বকাপে টানা চতুর্থ হারের তেঁতো স্বাদ পেলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

৩৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনেই করে দুই টাইগার ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান তুলেন তারা। এরপরই ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের। সপ্তম ওভারে মার্কো জানসেনের শর্ট বলে কট বিহাইন্ড হন তানজিদ তামিম। ১৭ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।

এরপরের বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। জানসেনের ডাউন দ্য লেগের বলে ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন নাজমুল। কিন্তু উইকেটের পেছনে ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এতে প্রথম বলেই কোনো রান না করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। লিজাড উইলিয়ামসের অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে নিজের তৃতীয় ক্যাচটি লুফে নেন হেনরিখ ক্লাসেন। ৪ বলে ১ রান করে আউট হন সাকিব।

দ্রুতই তিন উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিমের দায়িত্ব ছিল লিটনকে সঙ্গে নিয়ে বিপদ সামাল দেয়া। তবে সেটা করতে পারলেন না বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। জেরাল্ড কোয়েতজের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খেলতে গিয়ে ডিপ থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৮ রান করা মুশফিক। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটনও। কাগিসো রাবাদার বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েছেন ২২ রান করা এই ওপেনার। উইকেটে থিতু হলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। কেশভ মহারাজের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন ১১ রান করা এই ব্যাটার।

৮১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশের হয়ে একাই লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সপ্তম উইকেট জুটিতে নাসুম আহমেদকে সঙ্গী করে ৪১ রানের জুটি গড়েন রিয়াদ। তিন চারে ১৯ বলে ১৯ রান করে নাসুম আউট হলে ভাঙে এই জুটি। তবে ৮ম উইকেটে হাসান মাহমুদকে সঙ্গী করে ফের লড়াই চালান বাংলাদেশের এই ‘সাইলেন্ট কিলার’। ৬৭ বলে তুলে নেন চলতি আসরের প্রথম ফিফটি।

নবম উইকেট জুটিতে মোস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪র্থ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ। রাবাদার বলে এক রান নিয়ে ১০৪ বলে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। আগের দু’টি করেছিলেন ২০১৫ বিশ্বকাপে। সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি দ্যা সাইলেন্ট কিলার। কোয়েতজারের বলে উরিয়ে মারতে গিয়ে লং অফে মার্কো জানসেনের হাতে ধরা পড়লে ভাঙে ৬৮ রানের জুটি। আউট হওয়ার আগে ১১১ বলে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১১১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর মাত্র ৬ রান যোগ করতেই আউট হন মোস্তাফিজুর রহমান। উইলিয়ামসের বলে উরিয়ে মারতে গিয়ে টপ এজ হলে কাভারে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার মিলারের হাতে ধরা পড়েন ১১ রান মোস্তাফিজ। সেই সাথে ২৩৩ রানে থামে টাইগাররা।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ টি উইকেট শিকার করেন জেরাল্ড কোয়েতজে। এছাড়াও ২ টি করে উইকেট নেন মার্কো জানসেন, কাগিসো রাবাদা ও লিজাড উইলিয়ামস। ১টি উইকেট পান কেশভ মাহরাজ।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রেজা হেনড্রিকস ও কুইন্টন ডি কক। শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন এ দুই ব্যাটার। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে জীবন পান রেজা হেনড্রিকস। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ইনিংসের সপ্তম ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে বোল্ড হন এ ব্যাটার। এর আগে করেন ১২ রান।

এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসেন রাসি ফন ডার ডুসেন। তবে উইকেটে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ৩৬ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে মাত্র ১ রান করেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে দলকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিতে থাকেন ডি কক ও এইডেন মার্করাম।

আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে খেলতে থাকা ডি কক ৪৭ বলে নিজের অর্ধশত রান তুলে নেন। অপরদিকে ডি ককের পর এইডেন মার্করামও ওয়ানডেতে নবম অর্ধশতক তুলে নেন। এই দুই জনের ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথ দেখে প্রোটিয়ারা। তবে ফিফটির কিছু পরই ফেরেন এ ব্যাটার। দলীয় ১৬৭ রানে মার্করাম আউট হলে ভাঙে ১৩১ রানের এই জুটি। সাকিবের বলে আউট হয়ে সাজঘরের যাবার আগে ৬৯ বলে ৬০ রান করেন তিনি।

মার্করাম বিদায় নিলেও বাংলাদেশের বোলার ওপর তাণ্ডব চালিয়ে চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি কক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে হেনরিখ ক্লাসেন ও ডি ককের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে প্রোটিয়ারা। সাকিব-হাসানদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ট অর্ধশতক তুলে নেন ক্লাসেন। তবে দলীয় ৩০৯ রানে ডি কক আউট হলে ভাঙে ১৪২ রানে বিধ্বংসী এই জুটি। সাজঘরে যাওয়ার আগে ১৪০ বলে ১৭৪ রান করেন তিনি।

এদিকে আফ্রিকার ইতিহাসে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের মালিক নিজের করে নিয়েছেন ডি কক। এর আগে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিলো অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৯ রানের ইনিংস। এখন প্রোটিয়াদের ইতিহাসে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান ডি ককের ১৭৪। অন্যদিকে ডি কক আউট হলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে বাংলাদেশ বোলারদের ওপর চড়া হতে থাকেন ক্লাসেন।

শেষ পর্যন্ত ক্লাসেনের ৯০ রানের ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ১টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ ও সাকিব আল হাসান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজের সুফল পাচ্ছে না মানুষ, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

রিয়াদের শতকে লজ্জার রেকর্ড থেকে বাঁচলো বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ১১:২১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পর টানা তিন হার। জয়ের আশায় নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলো বাংলাদেশ। জয়তো দূরের কথা। কি হাল হলো টাইগারদের! শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকার জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশি বোলাররা। তবে ওইখানেই শেষ। এরপরের গল্পটা শুধুই হতাশার। কুইন্টন ডি ককের ১৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় প্রোটিয়ারা।

বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও হতাশার ষোলকলা পূর্ণ বাংলাদেশের। শুধু আসা যাওয়ার গল্প ব্যাটারদের। প্রাপ্তি বলতে কেবল মাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত সাইলেন্ট কিলারের শতকে লজ্জার হার এড়িয়ে ২৩৩ রানে থামে সাকিব বাহিনী। ফলে ১৪৯ রানের বড় ব্যবধানের জয়ে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে এইডেন মার্করামের দল। এই নিয়ে বিশ্বকাপে টানা চতুর্থ হারের তেঁতো স্বাদ পেলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

৩৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনেই করে দুই টাইগার ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান তুলেন তারা। এরপরই ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের। সপ্তম ওভারে মার্কো জানসেনের শর্ট বলে কট বিহাইন্ড হন তানজিদ তামিম। ১৭ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।

এরপরের বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। জানসেনের ডাউন দ্য লেগের বলে ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন নাজমুল। কিন্তু উইকেটের পেছনে ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এতে প্রথম বলেই কোনো রান না করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। লিজাড উইলিয়ামসের অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে নিজের তৃতীয় ক্যাচটি লুফে নেন হেনরিখ ক্লাসেন। ৪ বলে ১ রান করে আউট হন সাকিব।

দ্রুতই তিন উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিমের দায়িত্ব ছিল লিটনকে সঙ্গে নিয়ে বিপদ সামাল দেয়া। তবে সেটা করতে পারলেন না বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। জেরাল্ড কোয়েতজের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খেলতে গিয়ে ডিপ থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৮ রান করা মুশফিক। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটনও। কাগিসো রাবাদার বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েছেন ২২ রান করা এই ওপেনার। উইকেটে থিতু হলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। কেশভ মহারাজের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন ১১ রান করা এই ব্যাটার।

৮১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশের হয়ে একাই লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সপ্তম উইকেট জুটিতে নাসুম আহমেদকে সঙ্গী করে ৪১ রানের জুটি গড়েন রিয়াদ। তিন চারে ১৯ বলে ১৯ রান করে নাসুম আউট হলে ভাঙে এই জুটি। তবে ৮ম উইকেটে হাসান মাহমুদকে সঙ্গী করে ফের লড়াই চালান বাংলাদেশের এই ‘সাইলেন্ট কিলার’। ৬৭ বলে তুলে নেন চলতি আসরের প্রথম ফিফটি।

নবম উইকেট জুটিতে মোস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪র্থ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ। রাবাদার বলে এক রান নিয়ে ১০৪ বলে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। আগের দু’টি করেছিলেন ২০১৫ বিশ্বকাপে। সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি দ্যা সাইলেন্ট কিলার। কোয়েতজারের বলে উরিয়ে মারতে গিয়ে লং অফে মার্কো জানসেনের হাতে ধরা পড়লে ভাঙে ৬৮ রানের জুটি। আউট হওয়ার আগে ১১১ বলে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১১১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর মাত্র ৬ রান যোগ করতেই আউট হন মোস্তাফিজুর রহমান। উইলিয়ামসের বলে উরিয়ে মারতে গিয়ে টপ এজ হলে কাভারে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার মিলারের হাতে ধরা পড়েন ১১ রান মোস্তাফিজ। সেই সাথে ২৩৩ রানে থামে টাইগাররা।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ টি উইকেট শিকার করেন জেরাল্ড কোয়েতজে। এছাড়াও ২ টি করে উইকেট নেন মার্কো জানসেন, কাগিসো রাবাদা ও লিজাড উইলিয়ামস। ১টি উইকেট পান কেশভ মাহরাজ।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রেজা হেনড্রিকস ও কুইন্টন ডি কক। শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন এ দুই ব্যাটার। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে জীবন পান রেজা হেনড্রিকস। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ইনিংসের সপ্তম ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে বোল্ড হন এ ব্যাটার। এর আগে করেন ১২ রান।

এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসেন রাসি ফন ডার ডুসেন। তবে উইকেটে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ৩৬ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে মাত্র ১ রান করেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে দলকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিতে থাকেন ডি কক ও এইডেন মার্করাম।

আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে খেলতে থাকা ডি কক ৪৭ বলে নিজের অর্ধশত রান তুলে নেন। অপরদিকে ডি ককের পর এইডেন মার্করামও ওয়ানডেতে নবম অর্ধশতক তুলে নেন। এই দুই জনের ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথ দেখে প্রোটিয়ারা। তবে ফিফটির কিছু পরই ফেরেন এ ব্যাটার। দলীয় ১৬৭ রানে মার্করাম আউট হলে ভাঙে ১৩১ রানের এই জুটি। সাকিবের বলে আউট হয়ে সাজঘরের যাবার আগে ৬৯ বলে ৬০ রান করেন তিনি।

মার্করাম বিদায় নিলেও বাংলাদেশের বোলার ওপর তাণ্ডব চালিয়ে চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি কক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে হেনরিখ ক্লাসেন ও ডি ককের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে প্রোটিয়ারা। সাকিব-হাসানদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ট অর্ধশতক তুলে নেন ক্লাসেন। তবে দলীয় ৩০৯ রানে ডি কক আউট হলে ভাঙে ১৪২ রানে বিধ্বংসী এই জুটি। সাজঘরে যাওয়ার আগে ১৪০ বলে ১৭৪ রান করেন তিনি।

এদিকে আফ্রিকার ইতিহাসে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের মালিক নিজের করে নিয়েছেন ডি কক। এর আগে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিলো অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৯ রানের ইনিংস। এখন প্রোটিয়াদের ইতিহাসে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান ডি ককের ১৭৪। অন্যদিকে ডি কক আউট হলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে বাংলাদেশ বোলারদের ওপর চড়া হতে থাকেন ক্লাসেন।

শেষ পর্যন্ত ক্লাসেনের ৯০ রানের ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ১টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ ও সাকিব আল হাসান।