স্পোর্টস ডেস্ক :
ফুটবল থেকে ‘অস্থায়ীভাবে’ ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার পল পগবাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবনের অভিযোগে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
টেস্টোস্টেরন হলো এক প্রকার হরমোন, এটি খেলোয়াড়দের মাঠের স্থায়িত্ব বাড়াতে সহায়তা করে।
ফ্রান্সের জাতীয় দল ছাড়া ইতালীয় ক্লাব জুভেন্টাসে খেলেন পগবা। ক্লাবটির এন্টি ডোপিং সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২০ আগস্ট সিরি আয় উদিনেসের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয় পায় জুভেন্তাস। যদিও সেই ম্যাচে মাঠে নামেননি পগবা। বেঞ্চে বসে থাকেন পুরোটা সময়। সেই ম্যাচের পরই ডোপিং টেস্ট করানো হয় পগবার। টেস্টের রেজাল্টে এই মিডফিল্ডারের শরীরে টেস্টোস্টেরন সনাক্ত করা হয়। টেস্টোস্টেরন এমন একটি হরমোন যা একজন ক্রীড়াবিদের সহনশীলতা বাড়িয়ে দেয়। ডোপিংয়ে দোষী সাব্যস্ত হলে দুই থেকে চার বছর নিষিদ্ধ হতে পারেন পগবা।
ফরাসি এই মিডফিল্ডারের ইস্যু নিয়ে এক বিবৃতিতে জুভেন্তাস জানায়, ‘গত ২০ আগস্ট পরীক্ষার ফলাফলের প্রেক্ষিতে জাতীয় ডোপিং বিরোধী ট্রাইব্যুনাল থেকে ১১ সেপ্টেম্বর সতর্কতামূলক নিষেধাজ্ঞার আদেশ পেয়েছেন পল লাবিল পগবা। এই বিষয়ে ক্লাব পরবর্তী পদ্ধতিগত পদক্ষেপগুলো বিবেচনা করার অধিকার সংরক্ষণ করে। ‘
ডোপিং বিরোধী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রেজাল্টের প্রেক্ষিতে পাল্টা ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তিনদিন সময় পেয়েছেন পগবা। তাকে এখন বি স্যাম্পল টেস্টের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
পগবার এজেন্ট রাফায়েল পিমেন্তা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা পাল্টা বিশ্লেষণের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি এবং এর আগপর্যন্ত কিছুই বলতে পারছি না। একমাত্র নিশ্চিত জিনিস হলো, পল পগবা কখনোই নিয়ম ভাঙতে চাননি। ‘
এদিকে, ২০২২ সালের জুলাইয়ে পগবাকে ৪ বছরের জন্য দলে ভেড়ায় জুভেন্টাস। তবে এরপর থেকে বারবার ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। এই ইনজুরির কারণে গত বছর কাতার বিশ্বকাপেও খেলতে পারেননি পগবা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নিষিদ্ধ এই দ্রব্যের উপস্থিতির বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত হতে পগবার দেহে আবারও পরীক্ষা চালানো হবে। আর এতে যদি এর উপস্থিতি পাওয়া যায়, তবে ৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি।