Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চারদিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ১৬ আগস্ট সারাদেশে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। তার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ১৭ আগস্ট সারাদেশে লিফলেট বিতরণ ও ১৯ আগস্ট সকল মহানগর ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

রিজভী আরও বলেন, অবৈধ, লুটেরা ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ১৮ আগস্ট যুগপৎ আন্দোলনের ধারায় ঢাকা মহানগরসহ সকল মহানগরে গণমিছিল করা হবে।

এ সময় তিনি আরো বলেন, জেলহাজতে বিএনপিসহ বিরোধী দলের বেশকিছু নেতাকর্মী নিপীড়ন নির্যাতনে এবং বিনা চিকিৎসায় ধুকতে ধুকতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। দেশের কারাগারগুলো শেখ হাসিনার কসাইখানায় পরিণত হয়েছে। চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। অথচ এদের আমলে কারাগারে সবচেয়ে বেশি বিরোধী দলের নেতাকর্মী বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছে। আজ দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর স্বাধীনতার ঘোষকের সহধর্মিনী, যিনি বিপন্ন গণতন্ত্রকে এক অকুতোভয় নেতৃত্বে বারবার পুনঃরুদ্ধার করেছেন, দেশের আইনের শাসন, সুবিচার এবং মৌলিক মানবাধিকারের প্রতীক ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। এই আটক অন্যায়, অবৈধ ও কুৎসিত প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। বন্দি অবস্থায় করা হচ্ছে অমানবিক নিপীড়ন। তাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী সরকার দস্যুদলের মতো বন্য আক্রোশের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ ক্ষোভে—বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দুর্বিনীত দুঃশাসনের যাঁতাকলে ‘নির্বাচিত সরকার’ কথাটি জনগণকে ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সভা-সমাবেশ এমনকি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জানাজার অধিকারটুকুও হরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মূলত ২০১৮-এর নির্বাচনটি কোনো নির্বাচনই ছিল না, এটি ছিল জনগণের সাথে প্রতারণা এবং ভোটের নামে অভিনব প্রহসন। কারণ ব্যালট বাক্স ভর্তি হয়েছিল আগের রাতের অন্ধকারে। বর্তমান আওয়ামী সরকার অবৈধ ও দখলদার সরকার। আগামী নির্বাচনেও তারা দখলের মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ এমন একটি দলে পরিণত হয়েছে যে দলটি প্রমাণ করে তারা কোনো মানবিক পরিবেশ থেকে উৎসারিত নয়। এদের কাছে গণইচ্ছার কোনো দাম নেই। এরা এমন একটি নিপীড়ক দল যারা বহু মত ও পথকে শত্রুজ্ঞান করে। তাই ক্ষমতায় এসেই তারা জনগণকে ত্যাজ্য করে দেয়। ক্ষমতায় থাকার উদগ্র লালসা এদেরকে হিংস্র ও রক্তপিপাসুতে পরিণত করে। এরা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে করে। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনাকে তারা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ বলে বিবেচনা করে। এ কারণেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের লাশ পাওয়া যায় নদী-নালা, খালে-বিলে। অনেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় চিরদিনের জন্য।

তিনি বলেন, আজ দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর স্বাধীনতার ঘোষকের সহধর্মিণী, যিনি বিপন্ন গণতন্ত্রকে এক অকুতোভয় নেতৃত্বে বারবার পুনঃরুদ্ধার করেছেন, দেশের আইনের শাসন, সুবিচার এবং মৌলিক মানবাধিকারের প্রতীক ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। এই আটক অন্যায়, অবৈধ ও কুৎসিত প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। সরকারের নির্দেশে একটি মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীকে সাজা দেয়া হয়েছে। বন্দী অবস্থায় করা হচ্ছে অমানবিক নিপীড়ন। তাকে উন্নতমানের চিকিৎসা দিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী সরকার দস্যুদলের মতো বন্য আক্রোশের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ ক্ষোভে-বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ৩

বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চারদিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ১৬ আগস্ট সারাদেশে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। তার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ১৭ আগস্ট সারাদেশে লিফলেট বিতরণ ও ১৯ আগস্ট সকল মহানগর ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

রিজভী আরও বলেন, অবৈধ, লুটেরা ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ১৮ আগস্ট যুগপৎ আন্দোলনের ধারায় ঢাকা মহানগরসহ সকল মহানগরে গণমিছিল করা হবে।

এ সময় তিনি আরো বলেন, জেলহাজতে বিএনপিসহ বিরোধী দলের বেশকিছু নেতাকর্মী নিপীড়ন নির্যাতনে এবং বিনা চিকিৎসায় ধুকতে ধুকতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। দেশের কারাগারগুলো শেখ হাসিনার কসাইখানায় পরিণত হয়েছে। চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। অথচ এদের আমলে কারাগারে সবচেয়ে বেশি বিরোধী দলের নেতাকর্মী বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছে। আজ দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর স্বাধীনতার ঘোষকের সহধর্মিনী, যিনি বিপন্ন গণতন্ত্রকে এক অকুতোভয় নেতৃত্বে বারবার পুনঃরুদ্ধার করেছেন, দেশের আইনের শাসন, সুবিচার এবং মৌলিক মানবাধিকারের প্রতীক ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। এই আটক অন্যায়, অবৈধ ও কুৎসিত প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। বন্দি অবস্থায় করা হচ্ছে অমানবিক নিপীড়ন। তাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী সরকার দস্যুদলের মতো বন্য আক্রোশের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ ক্ষোভে—বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দুর্বিনীত দুঃশাসনের যাঁতাকলে ‘নির্বাচিত সরকার’ কথাটি জনগণকে ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সভা-সমাবেশ এমনকি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জানাজার অধিকারটুকুও হরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মূলত ২০১৮-এর নির্বাচনটি কোনো নির্বাচনই ছিল না, এটি ছিল জনগণের সাথে প্রতারণা এবং ভোটের নামে অভিনব প্রহসন। কারণ ব্যালট বাক্স ভর্তি হয়েছিল আগের রাতের অন্ধকারে। বর্তমান আওয়ামী সরকার অবৈধ ও দখলদার সরকার। আগামী নির্বাচনেও তারা দখলের মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ এমন একটি দলে পরিণত হয়েছে যে দলটি প্রমাণ করে তারা কোনো মানবিক পরিবেশ থেকে উৎসারিত নয়। এদের কাছে গণইচ্ছার কোনো দাম নেই। এরা এমন একটি নিপীড়ক দল যারা বহু মত ও পথকে শত্রুজ্ঞান করে। তাই ক্ষমতায় এসেই তারা জনগণকে ত্যাজ্য করে দেয়। ক্ষমতায় থাকার উদগ্র লালসা এদেরকে হিংস্র ও রক্তপিপাসুতে পরিণত করে। এরা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে করে। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনাকে তারা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ বলে বিবেচনা করে। এ কারণেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের লাশ পাওয়া যায় নদী-নালা, খালে-বিলে। অনেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় চিরদিনের জন্য।

তিনি বলেন, আজ দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর স্বাধীনতার ঘোষকের সহধর্মিণী, যিনি বিপন্ন গণতন্ত্রকে এক অকুতোভয় নেতৃত্বে বারবার পুনঃরুদ্ধার করেছেন, দেশের আইনের শাসন, সুবিচার এবং মৌলিক মানবাধিকারের প্রতীক ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। এই আটক অন্যায়, অবৈধ ও কুৎসিত প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। সরকারের নির্দেশে একটি মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীকে সাজা দেয়া হয়েছে। বন্দী অবস্থায় করা হচ্ছে অমানবিক নিপীড়ন। তাকে উন্নতমানের চিকিৎসা দিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী সরকার দস্যুদলের মতো বন্য আক্রোশের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ ক্ষোভে-বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম প্রমুখ।