Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যস্ত সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ ট্রান্সফরমার, দুপাশে ঝুলছে লাল কাপড়

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : 

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ব্যস্ততম এক সড়কে দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে ১১ হাজার ভোল্টের একটি ট্রান্সফরমার। আর বিপদজ্জনক বোঝাতে এর দুপাশে দুটি লাল কাপড় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। গেল এক মাস ধরে ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমারটি এভাবেই পড়ে আছে।

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ব্যস্ততম শহীদ তুলশীরাম সড়কের শহীদ ডা. বদিউজ্জামান মার্কেটের সামনে একমাস আগে এ ট্রান্সফরমারটি বসানো হয়। এ সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শঙ্কায় আছেন।

জানা গেছে, উত্তরের জেলা নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর। এ শহরের বেশ কয়েকটি ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে শহীদ তুলশীরাম সড়ক। এ সড়কে সৈয়দপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ি, ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড, বেসিক ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক বীমার কার্যালয়, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়, অনেকগুলো ইলেকট্রনিকস্ শো-রুম, নিউ শাহজালাল হোটেল ও নাটোর দই ঘরের মতো হোটেল রেস্তোরাঁ রয়েছে।

এছাড়া এ সড়ক দিয়ে আসা যাওয়া করতে হয় সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম, সৈয়দপুর সরকারি কলেজ, সৈয়দপুর পৌরসভা কার্যালয়, সৈয়দপুর পৌরসভা কমিউনিটি সেন্টার, বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় শ্মশান, কেন্দ্রীয় মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো। আর পশ্চিম দিক থেকে সৈয়দপুর শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কই এটি। আর সৈয়দপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ির পাশে শহীদ ডা. বদিউজ্জামান মার্কেট। ওই মার্কেটের বিপরীতে রয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডের ঠিক সামনে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ১১ হাজার ভোল্টের একটি ট্রান্সফরমার রয়েছে। গত ৭ জুন ওই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারটি আকস্মিক পুড়ে গিয়ে বিকল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় নেসকোর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সেখানে একটি ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমার স্থাপন করে। মূলত ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমারটি বসিয়ে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।

নেসকো সূত্রে জানা গেছে, যেকোনো স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থাকা স্থায়ী ট্রান্সফরমার বিকল হলে সেখানে ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমার লাগানো হয়। পরবর্তীতে বিকল বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার মেরামত করে কিংবা নতুন একটি বসিয়ে ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমার সরিয়ে নেওয়া হয়। তাই ধারাবাহিকতায় শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থাকা ট্রান্সফরমারটি বিকল হলে সেখানে একটি ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমারটি বসানো হয়েছে।

রিকশাভ্যান চালক বেলাল হোসেন বলেন, এ সড়কে সবসময় একটি কুরিয়ার সার্ভিসের মালামাল আনা নেওয়া করি। দিনে রাতে কত বার যে এ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তার কোনো ইয়ত্তা নেই। সড়কের ওপর বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারটি থাকায় ভয় হয়। আতঙ্কে আছি কখন কে যে মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়েন।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হাসনাত বলেন, দুর্ঘটনা ঘটার আগে দ্রুত ট্রান্সফরমারটি সরিয়ে ফেলা উচিত। রাস্তায় ট্রান্সফরমারটি বসানোর সময় বিদ্যুৎ বিভাগ দুদিনের মধ্যেই বিকল হওয়া ট্রান্সফরমারটি মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি।

নেসকোর সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বিকল ট্রান্সফরমারটির বিপরীতে এখনও নতুন ট্রান্সফরমার বরাদ্দ মেলেনি। তবে দ্রুতই নতুন ট্রান্সফরমার বরাদ্দ মিলবে আর তখন ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমারটি সরিয়ে নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ব্যস্ত সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ ট্রান্সফরমার, দুপাশে ঝুলছে লাল কাপড়

প্রকাশের সময় : ০৩:১০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : 

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ব্যস্ততম এক সড়কে দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে ১১ হাজার ভোল্টের একটি ট্রান্সফরমার। আর বিপদজ্জনক বোঝাতে এর দুপাশে দুটি লাল কাপড় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। গেল এক মাস ধরে ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমারটি এভাবেই পড়ে আছে।

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ব্যস্ততম শহীদ তুলশীরাম সড়কের শহীদ ডা. বদিউজ্জামান মার্কেটের সামনে একমাস আগে এ ট্রান্সফরমারটি বসানো হয়। এ সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শঙ্কায় আছেন।

জানা গেছে, উত্তরের জেলা নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর। এ শহরের বেশ কয়েকটি ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে শহীদ তুলশীরাম সড়ক। এ সড়কে সৈয়দপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ি, ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড, বেসিক ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক বীমার কার্যালয়, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়, অনেকগুলো ইলেকট্রনিকস্ শো-রুম, নিউ শাহজালাল হোটেল ও নাটোর দই ঘরের মতো হোটেল রেস্তোরাঁ রয়েছে।

এছাড়া এ সড়ক দিয়ে আসা যাওয়া করতে হয় সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম, সৈয়দপুর সরকারি কলেজ, সৈয়দপুর পৌরসভা কার্যালয়, সৈয়দপুর পৌরসভা কমিউনিটি সেন্টার, বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় শ্মশান, কেন্দ্রীয় মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো। আর পশ্চিম দিক থেকে সৈয়দপুর শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কই এটি। আর সৈয়দপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ির পাশে শহীদ ডা. বদিউজ্জামান মার্কেট। ওই মার্কেটের বিপরীতে রয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডের ঠিক সামনে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ১১ হাজার ভোল্টের একটি ট্রান্সফরমার রয়েছে। গত ৭ জুন ওই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারটি আকস্মিক পুড়ে গিয়ে বিকল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় নেসকোর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সেখানে একটি ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমার স্থাপন করে। মূলত ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমারটি বসিয়ে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।

নেসকো সূত্রে জানা গেছে, যেকোনো স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থাকা স্থায়ী ট্রান্সফরমার বিকল হলে সেখানে ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমার লাগানো হয়। পরবর্তীতে বিকল বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার মেরামত করে কিংবা নতুন একটি বসিয়ে ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমার সরিয়ে নেওয়া হয়। তাই ধারাবাহিকতায় শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থাকা ট্রান্সফরমারটি বিকল হলে সেখানে একটি ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমারটি বসানো হয়েছে।

রিকশাভ্যান চালক বেলাল হোসেন বলেন, এ সড়কে সবসময় একটি কুরিয়ার সার্ভিসের মালামাল আনা নেওয়া করি। দিনে রাতে কত বার যে এ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তার কোনো ইয়ত্তা নেই। সড়কের ওপর বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারটি থাকায় ভয় হয়। আতঙ্কে আছি কখন কে যে মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়েন।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হাসনাত বলেন, দুর্ঘটনা ঘটার আগে দ্রুত ট্রান্সফরমারটি সরিয়ে ফেলা উচিত। রাস্তায় ট্রান্সফরমারটি বসানোর সময় বিদ্যুৎ বিভাগ দুদিনের মধ্যেই বিকল হওয়া ট্রান্সফরমারটি মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি।

নেসকোর সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বিকল ট্রান্সফরমারটির বিপরীতে এখনও নতুন ট্রান্সফরমার বরাদ্দ মেলেনি। তবে দ্রুতই নতুন ট্রান্সফরমার বরাদ্দ মিলবে আর তখন ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমারটি সরিয়ে নেওয়া হবে।