Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকার বুঝে গেছে তারা চরম সংকটে পড়েছে : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী সরকার স্পষ্টতই বুঝে গেছে যে, তারা এখন চরম সংকটের মধ্যে পড়েছে। সেই কারণে মনে হয় রাতে তাদের ঘুম কম হচ্ছে। সেজন্য প্রায়শই তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা দেখে তাই মনে হয়। স্বাভাবিক চিন্তা, কথাবার্তা ও আচরণের জন্য প্রকৃতির নিয়মে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন।

মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপিনেতা রিজভী আহমেদ।

রিজভী আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন প্রয়োজনে আমেরিকা যাবো না, প্রয়োজনে অন্য মহাদেশ-মহাসাগরে যাবো, ২০ ঘণ্টা ভ্রমণ করে আমেরিকা যাওয়ার দরকার নাই। অন্যদিকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ ও হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে কথা বলায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা। তাদের একজন মন্ত্রী বললেন ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা নাকি বিএনপির বিরুদ্ধে। তাহলে আমেরিকার বিরুদ্ধে হঠাৎ সরকারপ্রধানসহ মন্ত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কেন?

তিনি বলেন, সরকার প্রধানসহ ক্ষমতাসীনদের নিজেদের সন্তান-সন্ততীকে আমেরিকা এবং ইউরোপে পুনর্বাসন করে প্রধানমন্ত্রী ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের স্বার্থে ঘা লাগায় এখন ওইসব দেশ সম্পর্কে আক্রমণাত্মক ভাষায় কথা বলছেন। যেহেতু তাদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু দুর্নীতি আর টাকা পাচার, সেহেতু বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার বিষয়ে কেউ প্রশ্ন উত্থাপন করলেই তাদের গা জ্বালা করে। জনগণের টাকায় তারা ফুর্তিবাজী করছে বলেই সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনলেই ক্ষমতাসীনদের মাথা বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

বিএনপির এই দফতর সম্পাদক বলেন, সারাদেশে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে মানুষের এখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। গ্রামে-গঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় এখন দুয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ আসে। মফস্বল শহরগুলোতে রাতে দুই ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। দিনের বেলাতেও ৫/৬ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকে। রাজধানীতে ভয়াবহ খরতাপের ধুমায়িত বহ্নিতে মানুষ মনে হয় গ্যাস চেম্বারের মধ্যে বসবাস করছে। এখানেও দিনে-রাতে ৩/৪ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে কাফন পরিয়ে তথাকথিত উন্নয়নের ইন্দ্রজাল সৃষ্টির অপপ্রয়াস এখন দেশবাসী দেখছে। শুধু নিজেদের ঘনিষ্ঠজনকে বিপুল-অর্থবিত্তের মালিক করার জন্যই রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ভতুর্কির নামে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা পকেট থেকে কেটে নেয়া হয়েছে। কিন্তু এটি যে ছিল এক ধরণের জালিয়াতি, সেটিই এখন বিকট লোডশেডিংয়ের আত্মপ্রকাশ, তার সুষ্পষ্ট প্রমাণ জনগণ দেখতে পাচ্ছে। লোডশেডিংয়ের বর্তমান দুর্বিষহ পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট সামিট গ্রুপসহ বিভিন্ন প্রাইভেট বিদ্যুৎ স্থাপনা কেন্দ্র। তাহলে আজ কেন পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ একের পর এক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? আওয়ামী সরকার বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের সুযোগ দিয়ে ফৌজদারী অপরাধ করেছে। বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটকে বৈধ করতেই ইনডেমনিটি আইন করা হয়েছে। সেজন্য এই রেন্টাল-কুইক রেন্টালের সাথে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করা উচিৎ। এরা জনগণের সবচেয়ে বড় দুশমন। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র এবং নির্বাচনকে বরবাদ করে আমজনতার মৌলিক নাগরিক চাহিদা ও দৈনন্দিন জীবনের চাহিদার সমাধান না করে মেগা প্রজেক্টের প্রতি বেশি আগ্রহের প্রতিফলন জনগণ দেখতে পাচ্ছে দুর্বিষহ লোডশেডিং। এরপর আরো যে কী বিপর্যয় আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে তা আল্লাহ পাকই জানেন।

সিনিয়র এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের গালগল্প কোথায় গেল। সেই বাড়তি বিদ্যুৎ কোথায় গেল? কয়লা কোথায় গেল, তেলের তো বিশ্বব্যাপী দাম কমছে। কিন্তু দেশে না কি তেল পায় না। তাদের উন্নয়ন হুড়মুড় করে পড়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ নিয়ে এই সরকার মিথ্যা প্রচার করে গেছে।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ৮ জুন জেলা শহরে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত একঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।

সোমবার (৫ জুন) বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা বন্দরে শান্তিপূর্ণভাবে রোডমার্চ চলাকালীন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতাদের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ এনে রিজভী বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পৈশাচিক হামলা চালিয়ে ছয় জনের অধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করেছে। গণতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় আমি তীব্র ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু সকল মামলায় জামিন পাওয়ার পরও গতকাল সোমবার মতিঝিল থানার পুরোনো একটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। রফিকুল আলম মজনুকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া গ্রেফতার না করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও পেন্ডিং মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মীর সরফত আলী সপু, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, মো. মুনির হোসেন, আসাদুল করিম শাহিন, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, আমিনুল ইসলাম, তারিকুল আলম তেনজিং, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

সরকার বুঝে গেছে তারা চরম সংকটে পড়েছে : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০২:০৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী সরকার স্পষ্টতই বুঝে গেছে যে, তারা এখন চরম সংকটের মধ্যে পড়েছে। সেই কারণে মনে হয় রাতে তাদের ঘুম কম হচ্ছে। সেজন্য প্রায়শই তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা দেখে তাই মনে হয়। স্বাভাবিক চিন্তা, কথাবার্তা ও আচরণের জন্য প্রকৃতির নিয়মে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন।

মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপিনেতা রিজভী আহমেদ।

রিজভী আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন প্রয়োজনে আমেরিকা যাবো না, প্রয়োজনে অন্য মহাদেশ-মহাসাগরে যাবো, ২০ ঘণ্টা ভ্রমণ করে আমেরিকা যাওয়ার দরকার নাই। অন্যদিকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ ও হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে কথা বলায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা। তাদের একজন মন্ত্রী বললেন ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা নাকি বিএনপির বিরুদ্ধে। তাহলে আমেরিকার বিরুদ্ধে হঠাৎ সরকারপ্রধানসহ মন্ত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কেন?

তিনি বলেন, সরকার প্রধানসহ ক্ষমতাসীনদের নিজেদের সন্তান-সন্ততীকে আমেরিকা এবং ইউরোপে পুনর্বাসন করে প্রধানমন্ত্রী ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের স্বার্থে ঘা লাগায় এখন ওইসব দেশ সম্পর্কে আক্রমণাত্মক ভাষায় কথা বলছেন। যেহেতু তাদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু দুর্নীতি আর টাকা পাচার, সেহেতু বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার বিষয়ে কেউ প্রশ্ন উত্থাপন করলেই তাদের গা জ্বালা করে। জনগণের টাকায় তারা ফুর্তিবাজী করছে বলেই সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনলেই ক্ষমতাসীনদের মাথা বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

বিএনপির এই দফতর সম্পাদক বলেন, সারাদেশে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে মানুষের এখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। গ্রামে-গঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় এখন দুয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ আসে। মফস্বল শহরগুলোতে রাতে দুই ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। দিনের বেলাতেও ৫/৬ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকে। রাজধানীতে ভয়াবহ খরতাপের ধুমায়িত বহ্নিতে মানুষ মনে হয় গ্যাস চেম্বারের মধ্যে বসবাস করছে। এখানেও দিনে-রাতে ৩/৪ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে কাফন পরিয়ে তথাকথিত উন্নয়নের ইন্দ্রজাল সৃষ্টির অপপ্রয়াস এখন দেশবাসী দেখছে। শুধু নিজেদের ঘনিষ্ঠজনকে বিপুল-অর্থবিত্তের মালিক করার জন্যই রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ভতুর্কির নামে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা পকেট থেকে কেটে নেয়া হয়েছে। কিন্তু এটি যে ছিল এক ধরণের জালিয়াতি, সেটিই এখন বিকট লোডশেডিংয়ের আত্মপ্রকাশ, তার সুষ্পষ্ট প্রমাণ জনগণ দেখতে পাচ্ছে। লোডশেডিংয়ের বর্তমান দুর্বিষহ পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট সামিট গ্রুপসহ বিভিন্ন প্রাইভেট বিদ্যুৎ স্থাপনা কেন্দ্র। তাহলে আজ কেন পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ একের পর এক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? আওয়ামী সরকার বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের সুযোগ দিয়ে ফৌজদারী অপরাধ করেছে। বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটকে বৈধ করতেই ইনডেমনিটি আইন করা হয়েছে। সেজন্য এই রেন্টাল-কুইক রেন্টালের সাথে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করা উচিৎ। এরা জনগণের সবচেয়ে বড় দুশমন। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র এবং নির্বাচনকে বরবাদ করে আমজনতার মৌলিক নাগরিক চাহিদা ও দৈনন্দিন জীবনের চাহিদার সমাধান না করে মেগা প্রজেক্টের প্রতি বেশি আগ্রহের প্রতিফলন জনগণ দেখতে পাচ্ছে দুর্বিষহ লোডশেডিং। এরপর আরো যে কী বিপর্যয় আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে তা আল্লাহ পাকই জানেন।

সিনিয়র এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের গালগল্প কোথায় গেল। সেই বাড়তি বিদ্যুৎ কোথায় গেল? কয়লা কোথায় গেল, তেলের তো বিশ্বব্যাপী দাম কমছে। কিন্তু দেশে না কি তেল পায় না। তাদের উন্নয়ন হুড়মুড় করে পড়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ নিয়ে এই সরকার মিথ্যা প্রচার করে গেছে।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ৮ জুন জেলা শহরে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত একঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।

সোমবার (৫ জুন) বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা বন্দরে শান্তিপূর্ণভাবে রোডমার্চ চলাকালীন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতাদের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ এনে রিজভী বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পৈশাচিক হামলা চালিয়ে ছয় জনের অধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করেছে। গণতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় আমি তীব্র ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু সকল মামলায় জামিন পাওয়ার পরও গতকাল সোমবার মতিঝিল থানার পুরোনো একটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। রফিকুল আলম মজনুকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া গ্রেফতার না করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও পেন্ডিং মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মীর সরফত আলী সপু, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, মো. মুনির হোসেন, আসাদুল করিম শাহিন, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, আমিনুল ইসলাম, তারিকুল আলম তেনজিং, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।