Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাদেরের নির্দেশে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের হামলা: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে সাইন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (২৪ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেছেন, বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করা হয়। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। অতি বাড়াবাড়ি করলে জনগণই উপযুক্ত জবাব দেবে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, মঙ্গলবার (২৩ মে) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সমাবেশে তাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখে ফ্যাসিবাদী হুংকার শুনেছেন নিশ্চয়ই। ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দিয়ে বলেছেন, বিএনপিকে ঠাণ্ডা মাথায় নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। দুইদিন আগেও তিনি বলেছিলেন, এখন থেকে শান্তি সমাবেশ নয়, সারাদেশে বিএনপিকে প্রতিরোধ করতে হবে। বিএনপির আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। ওবায়দুল কাদেরসহ তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের এ হুংকারের পর বিএনপির ওপর হামলা-মামলা-আটকের অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে পুলিশ, র্যাব ও সোয়াত বাহিনী। ধানমন্ডির সাইন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় আমাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় বিনা উসকানিতে হামলা করেছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের বিশেষ বাহিনী। বৃষ্টির মতো টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়েছে। আমাদের বহু নেতাকর্মীকে আহত করেছেন।

তিনি বলেন, এ মাফিয়া সরকার সম্পূর্ণ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের সমাবেশগুলোতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি দেখা যায় না। সম্মেলনস্থলের চেয়ার খালি থাকে। সরকারের গণভিত্তি নেই। তাই পেশিশক্তি, সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে তারা টিকে থাকতে চায়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, পুলিশ ভাইদের বলবো অগণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষ নিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান দেবেন না। এ সরকারই শেষ সরকার নয়। জনগণের সরকার অচিরেই প্রতিষ্ঠিত হবে। মাফিয়ার পতন হবে খুবই শোচনীয়। অতি বাড়াবাড়ি যারা করবে তাদের উপযুক্ত পরিণতি ভোগ করতে হবে।

রিজভী আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এটি সরকারের একটি অশুভ পরিকল্পনা। এ মামলাতেও আসামি ছিলেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিয়ে আওয়ামী প্রধান এ মামলা থেকে নিজের নাম বাদ দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেগম জিয়ার বিচারকার্য চালানো হচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সরকার অতীতের মতো আবারও বাসে আগুন দিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর পুরানো নাটক নতুন করে শুরু করেছে।’

এ সময় রিজভী বলেন, ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এটি সরকারের একটি অশুভ পরিকল্পনা। এই মামলাতে আসামি ছিলেন শেখ হাসিনাও। রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিয়ে আওয়ামী প্রধান এই মামলা থেকে নিজের নাম বাদ দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশনেত্রী বেগম জিয়ার বিচারকার্য চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, গণআন্দোলনে ভীত হয়ে আওয়ামী লীগ খেই হারিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্তে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বৈঠক করে পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মী ও মিছিল-সমাবেশের ওপর হামলা চালাচ্ছে, গুলি চালাচ্ছে। চারিদিকে বিদায় ঘণ্টা বাজায় তারা মরণকামড় দিতে শুরু করেছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই ভোট ডাকাত সরকারের হিংস্রতা প্রকট হচ্ছে। ভোটাধিকারের ন্যায্য দাবি, অত্যাচার, উৎপীড়ন, খুন, গুম, লুণ্ঠন, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও সহ্য করতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরের মতো আবারও ভাঁওতাবাজির নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি করে দেশে নৈরাজ্য ও সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে সরকার। তারা যদি বিরোধীদলের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে দলীয় ক্যাডার ও পুলিশ দিয়ে হামলা এবং বাধা প্রদানের এ ধারা অব্যাহত রাখে, তাহলে জনগণ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। এর জন্য সৃষ্ট যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণ এই ফ্যাসিবাদী নিশিরাতের সরকার উৎখাতে রাস্তায় নেমে পড়েছে। হাটে, মাঠে, ঘাটে মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। আন্দোলনে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিএনপি’র তৃণমূলের শক্তি এখন সবচেয়ে জোরালো। বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শন এদেশের মৃত্তিকা থেকে উৎসারিত। তাই একে উপড়ে ফেলা এত সহজ নয়।

রিজভী বলেন, পুলিশ ভাইদের বলবো অগণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষ নিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেন না। এই সরকারই শেষ সরকার নয়। জনগণের সরকার অচিরেই প্রতিষ্ঠিত হবে। এ সরকারের পতন হবে খুবই শোচনীয়ভাবে। অতি বাড়াবাড়ি যারা করবে তাদেরকে উপযুক্ত পরিণতি ভোগ করতে হবে।

তিনি জানান, গত ছয় দিনে ঢাকাসহ সারাদেশে ১৪৮টি মামলায় পাঁচ হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রাজশাহীতে পুলিশ অঘোষিত সান্ধ্য আইন জারি করেছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে তাণ্ডব চালিয়েছে। ঢাকা থেকে সোয়াত বাহিনী গিয়ে রাজশাহী বিএনপি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে। গত পরশুদিন সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ শামীম সরকারকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে এখনও স্বীকার করছে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম আজাদ, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির

কাদেরের নির্দেশে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের হামলা: রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৪:২৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে সাইন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (২৪ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেছেন, বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করা হয়। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। অতি বাড়াবাড়ি করলে জনগণই উপযুক্ত জবাব দেবে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, মঙ্গলবার (২৩ মে) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সমাবেশে তাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখে ফ্যাসিবাদী হুংকার শুনেছেন নিশ্চয়ই। ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দিয়ে বলেছেন, বিএনপিকে ঠাণ্ডা মাথায় নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। দুইদিন আগেও তিনি বলেছিলেন, এখন থেকে শান্তি সমাবেশ নয়, সারাদেশে বিএনপিকে প্রতিরোধ করতে হবে। বিএনপির আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। ওবায়দুল কাদেরসহ তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের এ হুংকারের পর বিএনপির ওপর হামলা-মামলা-আটকের অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে পুলিশ, র্যাব ও সোয়াত বাহিনী। ধানমন্ডির সাইন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় আমাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় বিনা উসকানিতে হামলা করেছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের বিশেষ বাহিনী। বৃষ্টির মতো টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়েছে। আমাদের বহু নেতাকর্মীকে আহত করেছেন।

তিনি বলেন, এ মাফিয়া সরকার সম্পূর্ণ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের সমাবেশগুলোতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি দেখা যায় না। সম্মেলনস্থলের চেয়ার খালি থাকে। সরকারের গণভিত্তি নেই। তাই পেশিশক্তি, সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে তারা টিকে থাকতে চায়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, পুলিশ ভাইদের বলবো অগণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষ নিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান দেবেন না। এ সরকারই শেষ সরকার নয়। জনগণের সরকার অচিরেই প্রতিষ্ঠিত হবে। মাফিয়ার পতন হবে খুবই শোচনীয়। অতি বাড়াবাড়ি যারা করবে তাদের উপযুক্ত পরিণতি ভোগ করতে হবে।

রিজভী আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এটি সরকারের একটি অশুভ পরিকল্পনা। এ মামলাতেও আসামি ছিলেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিয়ে আওয়ামী প্রধান এ মামলা থেকে নিজের নাম বাদ দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেগম জিয়ার বিচারকার্য চালানো হচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সরকার অতীতের মতো আবারও বাসে আগুন দিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর পুরানো নাটক নতুন করে শুরু করেছে।’

এ সময় রিজভী বলেন, ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এটি সরকারের একটি অশুভ পরিকল্পনা। এই মামলাতে আসামি ছিলেন শেখ হাসিনাও। রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিয়ে আওয়ামী প্রধান এই মামলা থেকে নিজের নাম বাদ দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশনেত্রী বেগম জিয়ার বিচারকার্য চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, গণআন্দোলনে ভীত হয়ে আওয়ামী লীগ খেই হারিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্তে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বৈঠক করে পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মী ও মিছিল-সমাবেশের ওপর হামলা চালাচ্ছে, গুলি চালাচ্ছে। চারিদিকে বিদায় ঘণ্টা বাজায় তারা মরণকামড় দিতে শুরু করেছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই ভোট ডাকাত সরকারের হিংস্রতা প্রকট হচ্ছে। ভোটাধিকারের ন্যায্য দাবি, অত্যাচার, উৎপীড়ন, খুন, গুম, লুণ্ঠন, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও সহ্য করতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরের মতো আবারও ভাঁওতাবাজির নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি করে দেশে নৈরাজ্য ও সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে সরকার। তারা যদি বিরোধীদলের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে দলীয় ক্যাডার ও পুলিশ দিয়ে হামলা এবং বাধা প্রদানের এ ধারা অব্যাহত রাখে, তাহলে জনগণ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। এর জন্য সৃষ্ট যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণ এই ফ্যাসিবাদী নিশিরাতের সরকার উৎখাতে রাস্তায় নেমে পড়েছে। হাটে, মাঠে, ঘাটে মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। আন্দোলনে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিএনপি’র তৃণমূলের শক্তি এখন সবচেয়ে জোরালো। বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শন এদেশের মৃত্তিকা থেকে উৎসারিত। তাই একে উপড়ে ফেলা এত সহজ নয়।

রিজভী বলেন, পুলিশ ভাইদের বলবো অগণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষ নিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেন না। এই সরকারই শেষ সরকার নয়। জনগণের সরকার অচিরেই প্রতিষ্ঠিত হবে। এ সরকারের পতন হবে খুবই শোচনীয়ভাবে। অতি বাড়াবাড়ি যারা করবে তাদেরকে উপযুক্ত পরিণতি ভোগ করতে হবে।

তিনি জানান, গত ছয় দিনে ঢাকাসহ সারাদেশে ১৪৮টি মামলায় পাঁচ হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রাজশাহীতে পুলিশ অঘোষিত সান্ধ্য আইন জারি করেছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে তাণ্ডব চালিয়েছে। ঢাকা থেকে সোয়াত বাহিনী গিয়ে রাজশাহী বিএনপি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে। গত পরশুদিন সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ শামীম সরকারকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে এখনও স্বীকার করছে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম আজাদ, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।