Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫২ বছর পরও গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য। যে লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম, তা বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও আমাদের গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে, আমাদের লড়াই সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আমাদের ভোটের অধিকার হারিয়ে গেছে। আমাদের কথা বলার অধিকার হারিয়ে গেছে। সাংবাদিকদের সত্য কথা লেখার অধিকার হারিয়ে গেছে।

রোববার (২৬ মার্চ) সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির সূর্যসন্তানদের বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের আশা, আকাঙ্ক্ষা ও স্বাধীনতার চেতনা ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার। কিন্তু আজ স্বৈরাচারী–কর্তৃত্ববাদী এই আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিরোধী দলকে নির্মূল করছে। বিরোধী দলীয় নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি রেখেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের কি দুর্ভাগ্য, দেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণীকে শুধুমাত্র গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের জন্য তাকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসিত করা হয়েছে। ৩৫ লাখের বেশি আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যখন স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছিলাম, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে আমাদের যে স্বপ্ন ছিল, যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করা। কিন্তু দুর্ভাগ্য আজ ৫২ বছর পরও সেই গণতন্ত্রের জন্য আমাদের প্রাণ দিতে হচ্ছে, লড়াই করতে হচ্ছে, সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আমাদের ভোটাধিকার আজ হারিয়ে গেছে, আমাদের কথা বলার অধিকার হারিয়ে গেছে, সাংবাদিকদের সত্য কথা লেখার অধিকার হারিয়ে গেছে। আমাদের দেশের সত্যিকার অর্থে একটি কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই মহান দিনে, স্বাধীনতা দিবসের শুভলগ্নে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে শপথ গ্রহণ করছি– আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে; ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে; চাল, ডাল তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য এবং দেশকে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য যে সংগ্রাম শুরু করেছি, তা চালিয়ে যাবো।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে, বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সকল শহীদরা প্রাণ দিয়েছেন, আমাদের লাখো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং আমাদের যে সকল নেত্রী বর্গ স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহাজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

৫২ বছর পরও গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ১২:৫০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য। যে লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম, তা বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও আমাদের গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে, আমাদের লড়াই সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আমাদের ভোটের অধিকার হারিয়ে গেছে। আমাদের কথা বলার অধিকার হারিয়ে গেছে। সাংবাদিকদের সত্য কথা লেখার অধিকার হারিয়ে গেছে।

রোববার (২৬ মার্চ) সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির সূর্যসন্তানদের বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের আশা, আকাঙ্ক্ষা ও স্বাধীনতার চেতনা ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার। কিন্তু আজ স্বৈরাচারী–কর্তৃত্ববাদী এই আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিরোধী দলকে নির্মূল করছে। বিরোধী দলীয় নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি রেখেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের কি দুর্ভাগ্য, দেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণীকে শুধুমাত্র গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের জন্য তাকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসিত করা হয়েছে। ৩৫ লাখের বেশি আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যখন স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছিলাম, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে আমাদের যে স্বপ্ন ছিল, যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করা। কিন্তু দুর্ভাগ্য আজ ৫২ বছর পরও সেই গণতন্ত্রের জন্য আমাদের প্রাণ দিতে হচ্ছে, লড়াই করতে হচ্ছে, সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আমাদের ভোটাধিকার আজ হারিয়ে গেছে, আমাদের কথা বলার অধিকার হারিয়ে গেছে, সাংবাদিকদের সত্য কথা লেখার অধিকার হারিয়ে গেছে। আমাদের দেশের সত্যিকার অর্থে একটি কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই মহান দিনে, স্বাধীনতা দিবসের শুভলগ্নে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে শপথ গ্রহণ করছি– আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে; ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে; চাল, ডাল তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য এবং দেশকে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য যে সংগ্রাম শুরু করেছি, তা চালিয়ে যাবো।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে, বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সকল শহীদরা প্রাণ দিয়েছেন, আমাদের লাখো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং আমাদের যে সকল নেত্রী বর্গ স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহাজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।