Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৯ মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এদিন ধার্য করেন।

এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী হাজিরা দেন। এরপর শুনানির প্রস্তুতির জন্য সময়ের আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন। এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে শুনানি শেষ করে দুদক।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু জানান, আজকে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। আমরা কিছুদিন আগে খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলার প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র চেয়ে আবেদন করি। সম্প্রতি আমরা সেই কাগজের ফটোকপি হাতে পেয়েছি। এখানেই আমাদের আপত্তি। আমরা চেয়েছিলাম সার্টিফাইড কপি, কিন্তু আদালত থেকে দেওয়া হয়েছে ফটোকপি। কিন্তু এই ফটোকপি দেওয়া অবৈধ। সম্প্রতি উচ্চ আদালত ফটোকপি দেওয়া যাবে না মর্মে নির্দেশনা দিয়েছে। আর এ ১৫ হাজার ফটোকপি দেওয়ায় সরকারের ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি হলো।

তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি কনসিডার করে সার্টিফাইড কপি দেওয়ার আবেদন করি। আদালত আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, সার্টিফাইড কপি দেওয়া হবে। আর ৩০ হাজার পৃষ্ঠা পড়তে সময়ও তো লাগে। এজন্য আমরা সময় আবেদন করি। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় ২০১৮ সালের ৫ মে। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (প্রয়াত), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন (প্রয়াত), তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

আসামিদের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন বর্তমানে কারাগারে আছেন। নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ পলাতক রয়েছেন। বাকিদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

Tag :
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেব না : নাহিদ ইসলাম

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৯ মার্চ

প্রকাশের সময় : ০১:০৬:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এদিন ধার্য করেন।

এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী হাজিরা দেন। এরপর শুনানির প্রস্তুতির জন্য সময়ের আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন। এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে শুনানি শেষ করে দুদক।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু জানান, আজকে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। আমরা কিছুদিন আগে খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলার প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র চেয়ে আবেদন করি। সম্প্রতি আমরা সেই কাগজের ফটোকপি হাতে পেয়েছি। এখানেই আমাদের আপত্তি। আমরা চেয়েছিলাম সার্টিফাইড কপি, কিন্তু আদালত থেকে দেওয়া হয়েছে ফটোকপি। কিন্তু এই ফটোকপি দেওয়া অবৈধ। সম্প্রতি উচ্চ আদালত ফটোকপি দেওয়া যাবে না মর্মে নির্দেশনা দিয়েছে। আর এ ১৫ হাজার ফটোকপি দেওয়ায় সরকারের ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি হলো।

তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি কনসিডার করে সার্টিফাইড কপি দেওয়ার আবেদন করি। আদালত আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, সার্টিফাইড কপি দেওয়া হবে। আর ৩০ হাজার পৃষ্ঠা পড়তে সময়ও তো লাগে। এজন্য আমরা সময় আবেদন করি। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় ২০১৮ সালের ৫ মে। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (প্রয়াত), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন (প্রয়াত), তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

আসামিদের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন বর্তমানে কারাগারে আছেন। নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ পলাতক রয়েছেন। বাকিদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।