করোনায় বিধি-নিষেধের কারণে প্রতিটি ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। আগামী ৮ জুন থেকে এই ৫০ শতাংশ টিকিটের অর্ধেক অর্থাৎ ২৫ শতাংশ আসন কাউন্টারের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। বাকি অর্ধেক ২৫ শতাংশ মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইনে বিক্রয় করা হবে। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে জারি করা হয়েছে।
এদিকে, শুধুমাত্র অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রির কারণে সাধারণ যাত্রীরা সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন। সংঘবদ্ধ দালাল সিন্ডিকেট অনলাইনে টিকিট কিনে তিনগুণ দামে বিক্রি করছে। দিনাজপুরের পার্বতীপুর, নীলফামারির সৈয়দপুর, বগুড়ার সান্তাহার রেল স্টেশনে তিনগুণ দামে টিকিটি বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। আলাপকালে একজন ভুক্তভোগি যাত্রী জানান, তিনি সৈয়দপুর থেকে রাজশাহীর ১৬০ টাকার টিকিট ৭০০ টাকায় কিনেছেন দালালদের কাছে থেকে।
রেলওয়ের জারিকৃত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রীবাহী ট্রেনসমূহের টিকিট ইস্যুর ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রবর্তন করা হয়েছে।
আগামী ৮ জুন থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হবে। নতুন নির্দেশনা অনুসারে, আগামী ৮ জুন থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের ২৫ ভাগ টিকিট অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে এবং অবশিষ্ট টিকিট রেলওয়ে কাউন্টারে সকাল ৮টা থেকে অগ্রিম ব্যবস্থাপনায় ইস্যু করা হবে।
কাউন্টার ও মোবাইল অ্যাপস, অনলাইন কোটার অবিক্রিত টিকিট যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা পূর্ব হতে যুগপৎভাবে অর্থাৎ যেকোনো মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। জারিকৃত টিকিট ইস্যু এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করার অন্যান্য নিয়মাবলী অপরিবর্তিত থাকবে।