নিজস্ব প্রতিবেদক :
গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমাদের দেশে একটা সরকার আছে, যারা ক্ষমতায় থাকার জন্য মানুষের ভোটের ওপর নির্ভর করে না। তারা (সরকার) আমাদের ভোটকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখায়। জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ক্ষমতায় থাকা এত সহজ নয়।’
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদ উদ্যোগে বিএসএফ কর্তৃক বার বার সীমান্তে নিরীহ নিরপরাধ বাংলাদেশি মানুষ হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সাকি বলেন, বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশের মানুষ নিহত হয়। এসরকার তার প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারে না। কারণ হলো, এসরকার ভারতের অনুগ্রহে ক্ষমতায় বসে আছে। এখন ওবায়দুল কাদেরও বলে, ‘ভারত পাশে ছিল বলেই আমরা ক্ষমতায় আছি। ভারত পাশে ছিল বলেই নির্বাচনে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারেনি’। কোনো দেশের মন্ত্রী এরকম একটা বক্তব্য দিয়ে কি ক্ষমতায় থাকতে পারেন? তাকে তো দেশদ্রোহী বলা উচিত। কারণ, তিনি একটি স্বাধীন দেশের মন্ত্রী হয়ে বলেন আরেক দেশ তার পাশে ছিল বলে ক্ষমতায় আছেন। আপনারা দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সেটি আবার বুক ফুলিয়ে বলছেন।
ভারত আমাদের বন্ধু দেশ হতে পারে না মন্তব্য করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘২৬ মার্চ যখন আমরা স্বাধীনতা দিবস পালন করছি, ভারতকে যখন আমরা ফোন করে সংবর্ধনা জানাই, তখন তারা আমাদের দুটো লাশ উপহার দিয়েছে। এটা কোনও বন্ধু দেশের নমুনা হতে পারে না। ভারত আমাদের বন্ধু দেশ নয়। যদি বন্ধু দেশ হতো— তাহলে তারা এভাবে পাখির মতো সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে মারতে পারতো না।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।